দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু এইরকম নাম না জানা বহু দেব-দেবীকে যে আমাদের হিন্দু ভাই বোনেরা পূজা করে এই সব দেব-দেবীদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ? আলেমদের এইসব দেব-দেবীদের সম্পর্কে অভিমত কি ? আল-কোরআনের সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন আমি জ্বীন ও মানুষ উভয়ের মাঝেই নবী প্রেরন করেছি। মানুষের মাঝে তো কারা নবী হিসাবে আসছে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু জ্বীনদের মাঝে নবী কারা ? মানব জাতির পৃথিবীতে বসবাস করার অনেক আগে থেকেই জ্বীনরা এই পৃথিবীতে বসবাস করত।বুখারী মুসলিম শরীফের অনেক হাদীসেই হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামের পৃথিবীতে আগমণের পূর্বে জ্বীন জাতির অনেক ঘটনা পাওয়া যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তখন জ্বীনদের মাঝে অনেক নবী এসেছিল। এখন জ্বীনদের মাঝে কারা নবী এই সম্পর্কে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে মুফতী মোহাম্মদ শফী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বেদের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। বেদে অল্ল মুহাম্মদ শব্দ গুলি এসেছে। বেদের ৪ টা ভাগ। ঋকবেদ অথর্ববেদ সাম বেদ ও যযুর্জবেদ। বেদের অনেক শ্লোক আর আল-কোরআনের অনেক আয়াতের অর্থ প্রায় একই। পুরা বেদের কোথাও মূর্তি পূজার কথা উল্লেখ নাই। আপনারা যারা ডাক্তার জাকির নায়েকের Similarities between Hinduinsm and isLam এই Lecture টা শুনেছেন তারা ব্যাপার টা ভাল বুঝবেন যে বেদ অনেকটা বাইবেল/ইঞ্জিলের মত। তো ধারনা করা হয় বেদ পৃথিবীতে এসেছিল প্রায় ২০/৩০ হাজার বছর আগে। তো স্বাভাবিক ভাবেই ধরা যায় বেদ আদম আলাইহিস সাল্লাম পৃথিবীতে আসার আগেই জ্বীনদের উপর নাযিল হয়েছিল। তারপর জ্বীনদের মাধ্যমে বেদের বাণী ঋষিদের কাছে পৌছেছিল। এরপর মানব জাতির কাছে। দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু এরা হয়ত জ্বীনদের মাঝে নবী ছিলেন। আর বেদ হয়ত দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব এদের উপর নাযিল হয়েছিল। এখন আপনি দেখবেন দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব উনাদের আকার আকৃতি হল অনেকটা হাতির মত শূড়, কারো অনেক গুলি হাত পা আবার কারো ৪ টা মুখ।
মানুষের কখনো এরকম আকৃতি হতে পারে না। তবে জ্বীনদের এরকম আকৃতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন জ্বীনদের আকৃতি সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় যে দলীল টা পাওয়া যায় সেখানে উনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিলেন বিভিন্ন বিচিত্র আকৃতির প্রানীকে আপনার কাছে আসতে দেখলাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আপনারা এই লিংকে ক্লিক করলেই পাবেন
আবার দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু উনাদের আকৃতি গুলিও কিন্তু বিচিত্র আকৃতির। হতে পারে উনারা জ্বীনদের মাঝে নবী ছিলেন পরবর্তীতে ঋষিদের মাধ্যমে যখন বেদের বাণী গুলি মানুষের কাছে এসেছিল তখন মানুষ আল্লাহ কে বাদ দিয়ে দূর্গা কালি লক্ষী শিব উনাদের কেই উপাস্য বানিয়ে ফেলেছে। আরবের কাফেররা যে লাত উজ্জার পূজা করত হাদীস শরীফেও কিন্তু বলা আছে যে তারা জ্বীন ছিল। আবার অনেক জ্বীন পরবর্তী তে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনলেও তাদের মানুষ অনুসারীরা আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনে নি। এই জাতীয় বর্ননাও বিভিন্ন রেওয়াতে পাওয়া যায়।
তো এখন কথা হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসার পর কিন্তু পূর্ববর্তী সকল নবী রাসুলদের বিধান রহিত হয়ে গেছে। তাই বেদের সকল বিধান রহিত হয়ে গেছে। সবাই কে অবশ্যই আল-কোরআন ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনতে হবে। খ্রিষ্টান রা যেমন ঈসা আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলছে, ইহুদীরা যেমন উযাইর আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলছে ঠিক তেমনি হিন্দু ভাই বোনেরাও দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু কে তাদের আল্লাহ বানিয়ে আল্লাহ সুবহানাতায়ালর সাথে শিরক বা অংশীবাদ করছে।
বেশ কিছু বছর আগে সৌদি আরব সরকার থেকে বিনামূল্যে তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনের বাংলা ভাষায় একটা অখন্ড খণ্ড বাংলাদেশে দেয়া হয়েছিল ব্যাপক ভাবে। ঐ এক খন্ডে প্রকাশিত তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনের প্রচ্ছদ টা কাল ছিল। দেশের সকল লাইব্রেরি মসজিদে ও অনেকের বাসায় এটা এখনো আছে। আপনি ঐ তাফসীর মা আরেফুল কোরআনের অখন্ড খন্ডের ৪১৩-৪১৪ পৃষ্ঠা উল্টালে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা টা পাবেন। সেইখানে আমি আপনাদের কে দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে যা বলেছি তা হুবহু পাবেন। তাছাড়া কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি উনার লেখা তাফসীরে মাযহারীতেও দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে একই কথা বলেছেন। যাই হোক এটা মূলত আলেমদের একটা ধারনা। এটা ভুলও হতে পারে। তবে আমরা মুসলমানদের উচিত হবে না দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে খারাপ কথা বলা বা তাদের কে গালিগালাজ করা। কারন উনারা যদি মুসলমান জ্বীন হয়ে থাকেন বা উনাদের উপর যদি বেদ নাযিল হয়ে থাকে তাইলে উনাদের গালিগালাজ করলে আমাদের গোনাহ হবে। যাই হোক সব কিছু আল্লাহ সুবহানাতায়ালাই ভাল জানেন।
ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব
বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা
ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল
স্টালিনের নৃশংসতার স্বীকার এক বাঙ্গালী বিপ্লবী
মাওসেতুং এর সময় চীনা মুসলমানদের দূর্দশতার কথা শুনুন
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



