আমি একবার তাবলীগ জামাতের চট্টগ্রাম শহরের মার্কাজ লাভলেইনে বৃহস্পতিবারের বয়ান শুনতে গিয়েছিলাম। তো সেখানে একজন বর্ষীয়ান আলেম যিনি ১৯৭৬ সালের প্রথম দিকে মাওসেতুং এর সময় Business visa নিয়ে চীনের জিংজিয়াং প্রদেশে গিয়েছিলেন তাবলীগে জামাতে সময় লাগাতে।
চীনের প্রথম তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ থেকেই গিয়েছিল। উনি বললেন মাও সেতুংএর সময় চীনের সকল মসজিদ তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। কোন মুসলমান ধর্মকর্ম করতে পারতো না। বাপ নামায পড়তো আর ছেলে ঘরের বাইরে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতো দেখত কোন পুলিশ আসে কিনা। আবার বাপের নামায শেষ হলে ছেলে নামায পড়তো আর বাপ ঘরের বাইরে দাড়িয়ে থাকতো যেন কোন পুলিশ না জানতে পারে। চীনের মুসলমানরা তাদের ঘরের কোরআন শরীফ ঘরের নীচে মাটিতে পুতে রাখতো। কারন যদি কোন পুলিশ ঘরে এসে কোরআন শরীফ দেখতে পেত তাইলে সাথে সাথে জেল। আর চীনের কত মুসলমানদের কে যে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে হত্যা করা হয়েছিল তার ইয়াত্তা নাই। ঐ আলেম তার চীন সফরের বর্ণনা বলছিলেন আর কাদতেছিলেন। পুরা সময়টাই উনাদের জামাত টা একটা স্থানীয় হোটেলে ছিল। মসজিদে থাকবে কিভাবে ? সকল মসজিদ তো তালা মারা। এই মাওসেতুং ছিল কট্টর নাস্তিক। সে কমিউনিজমের ছদ্মবেশে চীনের মুসলমানদের উপর অত্যাচারের স্টীম রোলার চালানো হয়েছিল। আবার সোভিয়েত রাশিয়ায় লেনিন স্টালিনও রাশিয়ার সকল মসজিদ গীর্জা তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। স্টালিনের নৃশংসতার স্বীকার এক বাঙ্গালী বিপ্লবী
আজকে যেসকল নাস্তিকরা মানবতার কথা বলে ঠিক তাদের মত মাওসেতুংও মানবতার কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছিল। খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি অনেক মুসলমান ছেলে মাওসেতুং এর নামে স্লোগান দেয়। ঐ মুসলমান ছেলেরা কি চীনের মুসলমানদের বেদনাদায়ক ইতিহাস কে অস্বীকার করতে চায় ?
ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব
বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা
ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৬