
রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?


বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং। "আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়া গেছে", We are looking for শত্রুজ" , ২৪ ঘন্টার মধ্যে শত্রুকে ধরা হবে বলে বছর পার। কিন্তু একজন ট্রেইনড বাহিনীর কর্মজীবন শেষে উনি মনে হয় একটু বেশি অথর্ব।

হাদির মৃত্যু, বিচার "ঠন ঠনা ঠন" লাভের গুড় কোন দল বেশি খাইলো?

প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব একটি দার্শনিক এজেন্ডা রয়েছে: ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্যের ভিত্তিতে একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে ধার্মিক ব্যক্তি স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবেন এবং একজন সমকামী তার ব্যক্তিস্বাধীনতা ভোগ করবেন। চাপিয়ে দেওয়া কোনও বিধান এই দৃষ্টিকোণে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে না।এই আদর্শ নিয়ে সমাজে নানা সময়ে আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে, সমালোচনাও রয়েছে। কিন্তু পত্রিকাটি তার সম্পাদকীয় নীতি যাই হোক না কেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখেছে এবং প্রয়োজনবোধে সরকারের সমালোচনাও নিয়মিত করে এসেছে।শেখ হাসিনা একবার উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি প্রথম আলো পড়েন না। তার শাসনামলে পত্রিকাটি নানা সময় তীক্ষ্ণ ও তির্যক মন্তব্যের মুখোমুখি হয়েছে। ধর্মীয় দলগুলোর কাছ থেকেও এটি প্রায়শই "দিল্লি আলো" এর মতো তকমা পেয়েছে, যা তার উপর বিদেশী প্রভাবের অভিযোগকে ইঙ্গিত করে।সর্বশেষ, গতকাল এই পত্রিকার কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল কবির কে যারা দীর্ঘদিন চিনেন বা শুনেন তিনি সমাজতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ, সাম্য অধিকার, সমাজে ন্যায্যতা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবসময় কথা বলে আসছেন; তিনি আনু মুহাম্মদের সহপাঠী এবং বন্ধু। ১/১১ সরকার সহ আওয়ামী লীগ তার কন্ঠ রোধ করার বহু চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি তার আদর্শ থেকে বিন্দু মাত্র বিচ্যুতি হননি। হটাৎ করে ঠিক কি কারনে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর রোষানলে তাকে পড়তে হলে, তা হয়তো বিচার বিশ্লেষন করে ব্যখ্যার প্রয়োজন পড়ে না।
দেশটা হচ্ছে এখন মগের মুল্লুক! তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমি আরো দুটো সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব দিবো। নিয়মিত গোয়েন্দা সংস্থা PBI, CID, NSI, DGFI এর বিলুপ্ত করে জুলকার সায়ের কে দায়িত্বে দেওয়া হোক। উনার কাছে যেহেতু মোটামোটি সব তথ্য-উপাত্ত থাকে এবং সেটা চুড়ান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও জন সাধারণ বিশ্বাস করে। এরপরে নিম্ন আদালতের বিলুপ্ত ঘোষণা করে "ইলিয়াস" কে এর দায়িত্ব দেওয়া হোক এর পিনাকীকে উচ্চ আদালত। দেশের সব সমস্যার সমাধান, ন্যায্যতা, যেহেতু তারাই ফেসবুকের মাধ্যমে রায় দিয়ে দিচ্ছে। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থ এবং সময় দু'টো বাঁচবে।
হাদির মৃত্যু কে কেন্দ্র করে গতরাতের সহিংসতায়, নাশকতা, অগ্নি ও মবসন্ত্রাস, কি নির্দিষ্ট একটি দলের কিছু নেতৃবৃন্দ এড়াতে পারে? "লাশের বদলে লাশ", ভারত সেভেন সিটার্স আলাদা করে দিবো এই শিশুসুলভ অযাচিত মন্তব্য করে আদতে কি লাভ হলো? অস্থিতিশীল, বিশ্ব মিডিয়ায় নীতিবাচক শিরোনামে কি ভারত পরিচিতি পেলো নাকি বাংলাদেশ?

সর্বশেষে, হাদি ছিল একজন একনিষ্ঠ নজরুল ভক্ত। নজরুল মতোই বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ একজন এবং জুলাই আন্দোলন থেকে পাওয়া একটি "কষ্টি পাথর"।
“আমার আকাঙ্ক্ষা, কোনো এক উত্তাল মিছিলের কণ্ঠস্বর হতে চাই—
যে স্লোগানে মিশে আছে সমস্ত ন্যায়ের দাবি,
আর তারই প্রতিধ্বনিতে,
পুলিশের গুলির আঘাতে
এ জীবন যেন হয়ে ওঠে এক অমর শহীদের গল্প।”
"মহান রব তার বান্দাকে কবুল করিয়াছেন।"
ইনকিলাব জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩