ক্ষুধার্ত পশু যেমন সামনে যা পায় তাই খেয়ে ফেলে ঠিক তেমনি আমাদের সমাজের কিছু নরপশুরাও যেন আজ ক্ষুধার্ত নারী ধর্ষণ পিপাসু হয়ে গেছে!
আজকাল আমাদের সমাজে ৫ বছরের বাচ্চা শিশুকে ধর্ষিতা হতে দেখি যা অত্যন্ত লজ্জা জনক কথা যার ধিক্কারের ভাষা আমার জানা নেই।
ইদানিং কালে ভারতে যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তা মিডিয়ার সুবাদে নিশ্চয়ই আপনারা জানতে পেরেছেন?
এখন কথা হচ্ছে কেন এই সকল অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে আমাদের সমাজে?

ধরুণ আপনি একটা কাবাব ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছে আর দেখতে পাচ্ছেন অনেক লোভনীয় ভাবে কাবাবের পিছ গুলো সাজানো আছে কাবাবের পিছ গুলো আরও লোভনীয় করার জন্য তার উপর সুন্দর সুন্দর মরিচ, রক্ত রাঙা টমেটোর কচি কচি পিছ, হলকা বাদামের বিচি ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে আরও লোভনীয় করে রেখেছে যা দেখে আপনার জিভে জল এসে গেছে এখন যদি আপনার সামর্থ্য থাকে হয় আপনি কাবাবটি খাওয়া ইচ্ছে পোষণ করবেন না হয় তাকিয়ে ফেল ফেল করে চলে যাবেন এই তো?
এর উত্তরে আপনি নিশ্চয়ই বলবেন হ্যাঁ।
আমাদের সমাজে নারীদের অবস্থাও তাই, তারা যখন পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অনুকরণে নিজের শরীর নাম মাত্র ঢেকে ঘুরে বেড়ায় তখন যে সকল পশু মনে করে যে সে অপরাধ করলেও ছাড়া পেয়ে যাবে কিংবা ঐ সকল আকর্ষণীয় নারীকে দেখে একজন পুরুষ হিতাহিত নৈতিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তখনই সে নারীটিকে ধর্ষণ করে।
তাছাড়া উঠতি বয়েসের যে ছেলেটা দিন রাত ঐ
পর্নোগ্রাফির মধ্যে ডুবে থাকে তার
মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই যৌন
আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। যার ভেতরে যৌন
আকাঙ্ক্ষা (Sexual fantasy and Sexual
Obsession) তৈরি হবে সে সেটাকে হয়
অবদমিত করবে, প্রশমিত
করবে নতুবা সেটাকে বাস্তবায়িত করার পথ
,খুঁজবে। সে যদি দূরন্ত, দুষ্ট, মা বাবার
অবাধ্য, বখাটে টাইপের হয়- সে তার যৌন
আকাঙ্ক্ষা পূরনের পথ করে নেবে।
এছাড়াও আমরা সাধারণত যারা নেট জগতের
সাথে পরিচিত তারা ইকটু আকটু
সুন্দরী মেয়েদের নগ্ন কিংবা স্পর্শ কাতর
ছবি আনেকেই দেখেছি।
ফলে যুবকরা স্বাভাবিক ভাবেই
মনে করে সুন্দরী মেয়েরা ইকটু দুষ্ট প্রকৃতির
। তাই ছেলেরা সুন্দরী মেয়েদের
ইভটেজিং করে। কেননা দুষ্টের
সাথে দুষ্টামি করলেই দুষ্ট আনন্দ পাই এই
কথা মাথায় রেখেই ছেলেটা মেয়টাকে যৌন
উত্তেজক কথা গুলো ছুড়ে মারে । এই
হয়রানি হতে মেয়েদের
মুক্তি পেতে হলে আমি মনে করি বিশেষ
করে মিডিয়া জগতের নগ্ন মেয়েদের
ছবি অপসারণ করা উচিত কেননা আমাদের
চোখের ভিতর রয়েছে কনভেক্স নামক লেন্স
যার ফলে আমরা আমাদের বিশেষ
দৃষ্টিকে ইচ্ছে করলে স্পষ্ট দৃশ্যের মত
দেখতে পারি। ফলে ছেলেরা স্বাভাবিক
ভাবেই ঐ নগ্ন কিংবা স্পর্শ কাতর
দৃশ্যে দেখা মেয়েটির ছবি মনে করে ঐ নগ্ন
সুন্দরী মেয়ের
সাথে বাস্তবে দেখা মেয়ে টি কে মিলিয়ে এই
মেয়েটিকে ইভটেজিং করতে থাকে।
সুতরাং এই ইভটেজিং রোধ করতে হলে সকল
মিডিয়া গুলো হতে মেয়েদের নগ্ন ও স্পর্শ
কাতর ছবি এবং দৃশ্য হতে প্রথমে মেয়েদের
মুক্ত করতে হবে।

এই ইচ্ছে আমার দৃষ্টিতে একজন নারী ধর্ষিতা কিংবা ইভটিজিং এ শিকার হবার কিছু যুক্তিক কারণ।
তাছাড়াও আমাদের সমাজে গটফাদারদের ইশারায় কুখ্যাত যে সকল মানুষ গুলো আইনে ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায় তারা এই আপরাধের সাথে একটু তুলনামূলক বেশি জড়িত হতে দেখা যায়।
তাই আমাদের সমাজের এইসকল অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হলে নারী, পুরুষ, মিডিয়া সহ প্রত্যেক শাসক কে যায় যায় ক্ষেত্র হতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে।