১.
ত্রিচক্রযান কুয়াশা কেটে কেটে এগিয়ে যায়, ঘাপটি মেরে
বসে থাকে বিড়াল, ঘুমঘুম চোখে রাত থেকে দিন হওয়ার সময়টা দেখে, ভাবে গাছ গুলো এতো দৌড়ায় কেনো!
ত্রিচক্রযানের দৌড়ে বিড়াল গর্ভগৃহে এসে পড়ে, যেখানে কত সহস্র শৈশব খেলা করে…
২.
ছাইদানিতে ছাই জমে থাকে, জানালার ওপাশে কুয়াশার মিছিল, জমে থাকে পৃষ্ঠা ভর্তি রুবিক্স কিউবের সূত্র,
এটা সিমেন্টের জঙ্গল,
কোথাও তাবু গেঁড়ে শুয়ে থাকাটা এখনো স্বপ্নতে আটকে আছে।
সেদিন পাহাড়ের গল্প শুনেছি,
শুনেছি বর্ষায় সরতা খালের গগণ বিদারী কান্নার কথা, রাতের রঙটা ঘন কালো, রাতের পাহাড়ে প্রকৃতির নুপুরের শব্দ, পাহাড়ের গভীরে পরমআত্মার ছোঁয়া।
পাহাড় মানে মৌন মুখরতা…
সবুরের ধারনায় পাহাড় নারীর স্তনের মত, পাহাড়ি মানুষদের অপ্রাপ্তির চিৎকার পাহাড়ের দেয়ালে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে।
কতশত অপ্রাপ্তি নিয়েই সবাই পঁচে ছাই হয়…
ছাইদানিতে ছাই জমে থাকে,
আজও অলিখিত কথা চেনা-জানা গল্প।
৩.
স্বরলিপির বয়সে আকাশটাকে সাদাই ভাবতাম।
চাঁদটা যে হাঁটতে জানে না সেটাও অনেক পরে জানলাম।
শৈশব আর বার্ধক্য…
পুরোটাই শেকড় আর মগডালের গল্প।
কেউই কেউকে ছুঁতে পারে না।
অথচ একদিন ভেঙে পড়বে, ভেঙে পড়তে হয় জানে,
ছুঁতে না পারার অতৃপ্তিটুকুই বোধ হয় জীবন।
আমি রাত্রির গায়ে এঁকেছি স্বপ্নের নীল ছবি…
৪.
রঙচটা দেওয়ালের মাঝে পিঁপড়েদের লাইন।কিছুদূরে দেয়ালের ফাটলে, পিঁপড়েদের সংসার। জয়ন্তের নির্লিপ্ত চোখ সেখানটায় আটকে আছে। পিঁপড়েরা স্বাধীন, কারাগারের ভেতরেও পিঁপড়েরা স্বাধীন ।অথচ মানুষ কখনই স্বাধীন না। না ঘরে,না বাহিরে, কোথাও না…
দুটি টিকটিকি, প্রতি সন্ধ্যায় এদের সাথে জয়ন্তের দেখা।কয়েকটা তেলাপোকা অতিথিদের মতো উড়ে আসে,বিরক্ত করে, চলে যা ফের।
এককোণে একটি মাকড়সা। কাল- পরশু বাচ্চা ফুটাবে। অথচ জয়ন্ত দেখে যেতে পারবে না। কাল সে মুক্তি পাবে,কারাগার থেকে…
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩