somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদ্ভুত প্রেমের গল্প- (পর্ব ১০)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একে অপরের জন্য। Made for eachother. কথাগুলোর মধ্যে কীরকম মেলোড্রামা কাজ করে। এই একই কথা একটু অন্যভাবে কীভাবে বলা যায়!!! আমরা যদি ক্রিকেটের বাংলা ধারাভাষ্যে যাই তাহলে বলা যায় ‘ব্যাটে বলে হওয়া’। আরেকভাবে বলা যায়। ‘খাপে খাপ মিলা’।

মানুষ সম্পর্কে আবদ্ধ হয় অনেকটা দায়ে পড়ে। কীসের দায়? সামাজিক রীতি-নীতির দায়, শারীরিক চাহিদার দায়, একাকীত্ব থেকে বাঁচার দায়, এরকম আরো অনেক ঠাহর করতে না পারা দায়। এইসব দায় থেকে বাঁচার জন্য মানুষ দিনের পর দিন সম্পর্কগুলো নিয়ে এগিয়ে যায়। এর মধ্যে ঠিক কটা সম্পর্ক ‘ব্যাটে বলে হয়’ কিংবা ‘খাপে খাপ মিলে যায়’? বলাই বাহুল্য যে উত্তরটা হবে হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র।

আপাতদৃষ্টিতে পুলক আর রীতার সম্পর্কটা হাতে গোনা সেই কয়েকটা সম্পর্কের মধ্যেই পড়ে। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে তথাকথিত ভালোবাসার সম্পর্কের শুরুটা সবসময়ই এক অসাধারণ অনুভূতির জন্ম দেয়। যে অনুভূতির ঠিক ব্যাখ্যা হয় না। যুক্তিবাদীদের ভাষায় বলা যায় ‘কেমিক্যাল রিএকশন’। কিন্তু তারপরেও একটা সম্পর্কের মধ্যে অনুভূতির বাইরেও বোঝাপড়ার একটা ব্যাপার থাকে। শুরুর দিকের অনুভূতি যদি কিছুটা ফিকেও হয় তাহলে সেই বোঝাপড়া সম্পর্ককে শুধু রক্ষাই করে না। আরো গভীর করে।

বেশীরভাগ সময়েই দেখা যায় একই সম্পর্কে অবস্থিত দুই জন মানুষ দুই স্তরে বিরাজ করে। অনেক সময় চেঁচিয়েও তারা একজন আরেকজনের কথা শুনতে পায় না। এমনও দেখা যায় যে তারা জানতেও পারেনা যে তাদের অবস্থান একই স্তরে নয়। পাঠকরা হয়তো ভাবছেন এই স্তর আবার কোন স্তর। ধরা যাক! একটা মাঠ। সেখানে সবুজ গাছ-গাছালি আর অনেক পশু পাখি। দুজন মানুষ একইসাথে এই দৃশ্য দেখছে। একজন বুঁদ হয়ে দেখছে পশু পাখি। আরেকজন বুঁদ হয়ে দেখছে গাছপালা। এ থেকেও বোঝা যাবে না কে কোন স্তরে আছে। বোঝা যাবে ঠিক তখন যখন একজন জানবে যে আরেকজন ঠিক কী দেখছে!! যদি মেলে তাহলে তারা একই স্তরে। না মিললে ভিন্ন স্তরে। থাক আমরা এই জতিল মনস্তত্বের ব্যাখ্যা থেকে বের হয়ে এসে পুলক আর রীতার কাছে ফিরে যাই।

অবশেষে পর্দার অন্তরাল থেকে পুলক আর রীতা একজন আরেকজনের সামনে এসে দাঁড়ালো। কিছুটা সংকোচ, বেশ অনেকটা ভালোলাগা, তার চেয়েও বেশ অনেকটা ভালোবাসা যাকে আমরা কেমিক্যাল রিএকশনও বলতে পারি, এসব কিছু নিয়ে তারা একে অন্যের সামনে দাঁড়ালো। নিজেদের যেন আরো গভীরভাবে আবিষ্কার করতে থাকল।

আবেগের জগত থেকে বাস্তবের জগতে ফেরা যাক। রীতার মা নাজমা হক মেয়ের জন্য নতুন ছেলের খোঁজ এনেছেন। ছেলে ডাক্তার। বাইরে থাকে। বাইরে বলতে লন্ডনে। দেশে এসেছে বিয়ে করার জন্যই। বাড়ির ছোট ছেলে। এবার নাজমা হক নিজেই ছেলের সব খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ছেলে নিখুঁত। অভিজাত পরিবারের ছেলে। ছেলের বাবা-মাও ডাক্তার। ছেলের দাদা ছিলেন টাঙ্গাইলের নামকরা ব্যারিস্টার। এরকম একটা ছেলে হাতে পাওয়া গেছে তা নাজমা হকের বিশ্বাসই হচ্ছে না। আল্লাহ!! কোনোভাবে যদি এই ছেলের সাথে রীতার বিয়েটা হয়ে যেত!! মেয়েটার কপাল খুলে যেত।

(৯ পর্ব লিখার পর এই গল্পটা আর লিখতে ইচ্ছা করলো না। হঠাৎ একদিন মনে হলো গল্পটা শেষ করা উচিৎ। তাই আবার শুরু করেছি। জানি না আবার কবে থেমে যাবে। ইচ্ছা আছে শেষ করার। যারা আগের পর্বগুলো পড়তে চান। তাদের জন্য নিচে আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক দিয়ে দিলাম)

পর্ব-১
Click This Link

পর্ব-২
Click This Link

পর্ব-৩
Click This Link

পর্ব-৪
Click This Link

পর্ব-৫
Click This Link

পর্ব-৬
Click This Link

পর্ব-৭
Click This Link

পর্ব-৮
Click This Link

পর্ব-৯
Click This Link
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×