somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদ্ভুত প্রেমের গল্প- (পর্ব ১৩)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শনিবার। পুলক আরাম করে দেরী করে ঘুম থেকে উঠল। রীতার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আজকে দেখা হবে তাঁদের। বেশ অনেকদিন পর দেখা। শেষ দেখা সপ্তাহ দুয়েক আগে হয়েছে। কোন শার্টটা পরবে? মন ভালো থাকলে নিজের দিকে একটু মনোযোগ দিতে ভালো লাগে। রেডি হয়ে ভালমত নিজেকে আয়নায় দেখে সন্তুষ্ট হল পুলক। খারাপ না।

আজকে রীতাকে বিয়ের কথা বলবে। এখন তো আর সেই বয়স নেই যে অনির্দিষ্টকাল ধরে প্রেম করে যাবে। পুলকের মনে কোন ‘কিন্তু’ নেই। সে রীতাকে পছন্দ করে। রীতাও তাঁকে পছন্দ করে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা যে রীতা তাঁকে পছন্দ করে। তাঁকে বোঝে। তাঁকে সহ্য করে। এর চেয়ে বেশী আর কিছুই চাওয়ার নেই।

-কি হে!! কী অবস্থা? শুকায়ে গেস দেখি। খাওয়া দাওয়া কর না, নাকি?
রীতাকে দেখে পুলক বলল।

পুলককে দেখে রীতার হাসি যেন ধরেই না। কতদিন পর দেখা। যেন কয়েক বছর পর দেখা হল। ও পুলকের হাতটা ধরল। আহ!! খুব আনন্দ হচ্ছে রীতার। বাচ্চা মেয়েদের মত পুলকের হাত ধরে দোলাচ্ছে রীতা। রীতার এরকম পাগলামি পুলকের খুব মজা লাগে। কারো কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ আগে সে কখনোই ছিল না। সে সারাজীবন এরকম অনুভব করতে চায়।

-কই? এত শুকাইলা কেমনে?
পুলক আলতো করে গালে হাত বুলায় রীতার।
-কই শুকাইসি। আমি একদম ঠিক আছি।
-বললেই হল!!! যাই হোক বাদ দেও। চল কোথাও বসি। আর হাঁটতে ইচ্ছা করতেসে না।
-ওকে
দুইজনে বসল।
-রীতা তোমার বাসায় কবে যাবো?
-মানে? বাসায় কেন যাবা?
-আরে!! বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
-ও বিয়ে? না বাবা! এখনি না।
-কেন? এখনি না কেন?
-আগে আমার মাকে বলা লাগবে।
-কি বলা লাগবে?
-আরে! তোমার আমার কথা।
-এতে এত বলাবলির তো কিছু নাই। এমনিতেও আমাদের দেখা বিয়ের উদ্দেশ্যেই হয়েছিল। এবং তা আমাদের অভিভাবকদের কথামতই।
-তাও আমি মাকে আলাদা করে বলতে চাই। তুমি তো জানো মায়ের কাছ থেকে কিছু লুকালে আমার শান্তি হয় না। মনে হয় যে কিছু একটা ভুল হয়ে যাচ্ছে।
-আচ্ছা বাবা!! ঠিক আছে। তুমি মায়ের সাথে কথা বল।
-কিন্তু পুলক!! আমি চাকরি না পাওয়ার আগে বিয়ে করতে চাচ্ছি না।
-আচ্ছা তাও সই। বিয়ে তো আর বললেই হয়ে যাচ্ছে না। তোমাকে একটু বুক করে রাখি। নইলে কবে আবার কোন দিকে দৌড় দিবা। ঠিক আছে কোন?
-(কৌতুকময় স্বরে) তা অবশ্য ঠিকই বলসো। কোনোই ঠিক নাই। এক লোকের সাথে আর কত?
-(রাগতস্বরে)কি??? আমার সাথে আর থাকতে ভালো লাগছে না? ওকে। থাক। তোমার আর আমার সাথে থাকা লাগবে না।
পুলক রাগে উঠে দাঁড়াতে গেল। রীতা জোর করে ওঁকে হাত ধরে বসিয়ে পুলকের গালে একটা চুমু দিল।
-আমার বোকা বাবু।
পুলক রীতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রাগের পরপরই তক্ষুনি কেউ রাগ থামিয়ে দিলে খুব কান্না আসে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষমানুষের কান্না মোটেও শোভন নয়। সে তাড়াতাড়ি উঠে পরল।
-চল। খিদে লেগেছে। আজিজে যাই।
রীতা বসা অবস্থায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর দিকে। ওঁকে টেনে তুলে ওরা আজিজ সুপার মার্কেট এর দিকে চলল।

নাজমা হক আজকে একটু বের হয়েছিলেন। বাসার আকুয়ারিয়ামের জন্য গোল্ড ফিশ কিনতে হবে। মিতার খুব শখ হয়েছে গোল্ড ফিশ কিনার। বেশ অনেকদিন ধরে চিল্লায়ে কানের পোকা নাড়িয়ে দিচ্ছে মেয়েটা। গোল্ড ফিশ কিনে আনো! গোল্ড ফিশ কিনে আনো! মেয়েটা এত অস্থির আর অবাধ্য!! যা বলবে তাই তাঁর কিনা লাগবে। মেয়েদের শার্ট পড়া একদম পছন্দ না নাজমা হকের। রীতাকে সে কখনো সালওয়ার কামিজ আর শাড়ি ছাড়া কিছু পড়তে দেননি। কিন্তু মিতা ঠিকই শার্ট পড়ে ঘুরে বেড়ায়। তাঁকে কিছুই বলা যায় না।

একটু আজিজেও যাওয়া দরকার। রীতা-মিতার বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনতে হবে। লোকটার জন্মদিন সামনের সপ্তাহে। হঠাৎ নাজমা হক যেন ভূত দেখলেন। তিনি দেখলেন তাঁর সামনে দিয়ে রীতা একটা ছেলের হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেল। তাঁর মেয়ে রীতা।

পর্ব-১
Click This Link

পর্ব-২
Click This Link

পর্ব-৩
Click This Link

পর্ব-৪
Click This Link

পর্ব-৫
Click This Link
পর্ব-৬
Click This Link

পর্ব-৭
Click This Link

পর্ব-৮
Click This Link

পর্ব-৯
Click This Link

পর্ব-১০
Click This Link

পর্ব-১১
Click This Link

পর্ব-১২
Click This Link
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×