অক্টোবর ৯,
সাধারন আর আট দশ টা দিনের মতই,
ব্যতিক্রম কিছু নয়।
সেদিনের সকালটা অন্ধকার ছিল না,
আকাশে কাল মেঘ ও ছিল না,
তবু কিভাবে যেন, মেঘহীন বিকেলের আলো,
প্রলয়ংকারী ঝড়ে বদলাল।
গন্তব্য পানে ছুটেছি সেদিন দুরন্ত গতিতে,
কোন তাড়া ছিল না সম্মুখে,
ভাবনায় ছিল না কোন দুঃচিন্তার রেখা,
অযাচিত বাস্তব তবু দেখা দিল দুর্ঘটনা রুপে।
যান্ত্রিক দ্বি-চক্রযান পিছলায়,
সঙ্গে পিছলায় এক রাশ স্বপ্ন
অনুভুতির সব জানালা ভেঙ্গে নামে হিম শিহরন,
নিশ্চিত যাত্রা অনিশ্চিতের পথে ধায়।
বাস্তব আর কল্পনার বিভ্রমে কাটে কিছুটা সময়,
জাগতিক চিন্তাগুলো কিছুটা দম নেয়,
লোকজনের জিজ্ঞাসু চাহনি ভীতির সঞ্চার করে মনে,
ব্যথার তীব্রতা তার অস্তিত্বের জানান দেয়।
ততক্ষণে কপালের রক্তস্রোত,
কপোল পেরিয়ে গেছে,
অজান্তেই বুক চিড়ে,
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
কপালে চেপে ধরা হাত,
মনকেও শক্ত করে,
অসহ্য যন্ত্রণাগুলো,
ব্যক্ত হয় অস্ফুট স্বরে।
নিজেকে প্রবোধ দেই,
না না এ হতে পারে না,
হোক যত যন্ত্রণা,
যাক ভেঙ্গে হাত, শরীর ছুলে যাক,
পাই শত ব্যথা,
তবু বেঁচে তো আছি, এটাই বড় কথা।
আমি ভাগ্যবান ভীষণ,
তাইতো পেয়েছি লাইফের এক্সটেনশন,
শারীরিক কষ্ট হোক, তবু হারাব না মানসিক দৃঢ়তা,
কারন, অদ্ভুত সুন্দর এই বেঁচে থাকা।
......... খালিদ মাহবুব (রোমেল) ০৫.১১.২০১৫।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩