সামহোয়ারে সবচেয়েকার্টুনপ্রিয় ব্যক্তিটির নাম ইবনে সালাম। এমনিতে তাকে কালেভদ্রে দেখা যায়। ক'দিন আগে জাগারান ওরফে আশরাফ রহমানের উপার্জনে ভাগ বসিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু তার কার্টুনপ্রেম পরীক্ষিত। ভদ্রলোকের হবি ইসলামবিরোধীকার্টুন জমানো। তাই অমনিবাস যখন ভুলে মহানবীর কার্টুন প্রোফাইলে দিলো, সবার আগে আগুন লাগিয়ে দিলেন ইবনে সালাম (যাকে অনেকে সালাম আঙ্কেলের ছেলেও ডাকেন)। প্রথম আলোর ফানম্যাগ আলপিনের কেলেঙ্কারিও তিনিই প্রথম সামহোয়ার ইন ব্লগে আনার হকদার। দৈনিক নয়াদিগন্ত কপিপেস্ট মারা তার সেই বিখ্যাত পোস্ট দৈনিক প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আলপিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-কে বিদ্রূপ করে কার্টুন প্রকাশ ! সামহোয়ারে আসার পরই আগুন লেগে যায়। পাঠকদের জন্য চমকপ্রদ হচ্ছে এই পোস্টে কিছু প্রগতিশীল বলে কথিত ব্লগারের মন্তব্য।
সালামপুত্রের আশীবার্দের পর ব্লগে পোস্ট পড়তেই থাকে। অনেক ধ্রুপদী পোস্ট সংশ্লিষ্ট ব্লগার ব্যান খাওয়ায় দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে। প্রথম আলোর অপরাধ এবং কার্টুনিস্ট আরিফের গ্রেপ্তারের সবচেয়ে দুর্দান্ত পোস্টটি দিয়েছিলেন পারভেজ নামে একজন। তার প্রথম আলোর আলপিন বাজেয়াপ্ত কার্টুনিষ্ট আরিফুর রহমান গ্রেফতার পোস্টে উনি আরিফের আকা কার্টুনের দারুণ বর্ণনা দিয়েছেন মর্দে মুসলমানদের ঈমান জাগাতে। লিখেছেন প্রসঙ্গতঃ প্রথম আলোর সাময়িকী ‘আলপিন’-এ একটি কার্টুনে একটি হুলো বিড়ালের মুখে দাড়ি লাগিয়ে তার নাম দেয়া হয় ‘মোহাম্মদ বিড়াল’। এছাড়া ‘সংযম’ নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে ব্যঙ্গচিত্র।
এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের বিবৃতিতে এই ব্যঙ্গচিত্রের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।
ব্লগের অন্যতম জামাতি বুদ্ধিজীবি মাহুমুদ রহমান অসাধারণ এক আবিষ্কার করে পোস্ট দেন। আরিফের কার্টুনে বিড়াল আকাটাও যে ছিলো আসলে উদ্দেশ্যমূলক সেই রহস্য ফাস করেন তিনি প্রথম আলোর বিদ্রুপ মেগাজিন আলপিন প্রসংগে নামক পোস্টে। এটা পড়েই আমরা জানতে পারি আবু হোরায়রাও প্রথম আলোর ষড়যন্ত্রের শিকার। সেখান ব্লগের জামাতে ইসলামী চেতনার ঝাণ্ডা উড্ডীয়মান রাখতে শপথ নেওয়া ছাগুরাম দারুণ একটি মন্তব্য করেছেন : ত্রিভুজ বলেছেন: ৫
কৌতুকটা ছিলো একটা নির্দোষ কৌতুক মাত্র.. কিন্তু কার্টুনটায় দাড়ি টুপিওয়ালা এক হুজুরের ছবি দিয়ে বেশ ভাল করেই মুসলমান ও তাদের ধর্মকে ইঙিত করা হয়েছে। এর ভেতর আছে প্রথম আলোর মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব। সুতরাং তারা এটা ইনটেনশনালীই করেছে।
আশার আলো ভাল একটা মন্তব্য করেছিলো। টেষ্ট কেস! আসলেই টেষ্ট কেস! দেখতে চেয়েছিলো এদেশে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা। এযাত্র ওরা পার পেয়ে গেলে পরবর্তীতে আরো বড় ধরনের আঘাত করবে সন্দেহ নাই।
ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।
এরপর সামহোয়ারের পাঠের দিক দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করা পোস্টটির জন্ম। বগুড়ার সূর্য্যসন্তান মেহেরুল হাসান সুজনপ্রথম আলোর আলপিনেই প্রথম নয়, শিবিরের পত্রিকাটিও দেখুন পোস্টটি দিয়ে জামাত শিবিরের মুখে জুতা ঘষে দেন।
ছাগলের পাল তবু হাল ছাড়েনি। এই পোস্টেরও কিছু নমুনা মন্তব্য তুলে দেয়া হলো :
ত্রিভুজ বলেছেন: আলপিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল কারনটা হচ্ছে আলপিনে একটি ছবি একে সেটাকে 'মোহাম্মদ' বলে আখ্যায়িত করেছে যা খুবই খুবই নিন্দনীয়। এই বিষয়টা আমাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরা বুঝবে আশা করিনি।
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: @মাথামোটা
আমার পালানোর কি আছে?
আমি কৌতুকের কথাগুলো জানতে চেয়েছি। স্বাপ্নিক জানিয়েছেন, তাকে ধন্যবাদ।
আপনার ফালতু চিল্লাচিল্লিতে আমারে কখনো পাবেন না।
আমারে নিয়া এখানে টিটকারী মারতেছেন কেন?
সবুর করেন, কারা কারা ব্লগে উস্কানী দিয়া গালাগালির পরিবেশ তৈরী করেন তার একটা দলিলসমেত রিপোর্ট আমাকে তৈরী করতেই হবে দেখছি।
(পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারিতে অকালে বিদায় নিতে হওয়ায় এই দলিলসমেত রিপোর্টটি আর আলোর মুখ দেখেনি)
চতুরভূজ বলেছেন: একটি শিশু এবং একটি পত্রিকার সম্পাদক এক হল?
অজানা একজন বলেছেন: আরে তুমিওতো একই লাইনের লোক । বাহ ভাল মেমোরী আছে ত তোমার । আর শিবিরের পত্রিকার কার্টুন আছে তা তুমি জানলা ক্যামনে । এহন ত মনে হইতাছে তুমিই শিবিরের লোক ।
সুজন বাছা কবে থিকা এই ধান্ধা খুলছ । এখনো তো পাকা হও নাইকা । এমন কার্টুন দিলা যার ক্যাপশনই বোঝা যায়না ।
আরও বড় কইরা দেও যাতে মাইনষে বুঝবার পারে ।
ছাগুদের নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গিয়েছিলো্ একটা পোস্টে। মুছে ফেলা কার্টুন গ্যাঞ্জাম (সন্ধ্যাবাতি) পোস্টটিতে গেলে দেখা যাবে সেই গৃহযুদ্ধের উৎকৃষ্ট নমূনা। মূর্খ ধর্মান্ধ আর জ্ঞানী ধর্মান্ধের যুক্তির সে লড়াই বাধিয়ে রাখার মতো।
সন্ধ্যার হাতে নাকাল হয়েই খালাস হয়নি ছাগু। গদাম খেয়েছে শ্রদ্ধেয় মানবী আপুর হাতেও।
কার্টুনিস্ট আরিফ এবং মানবীর একটি প্রশ্ন! পোস্টের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানেই মন্তব্যে আরিফের মুক্তি পাওয়ার খবরটি জানান এক ব্লগার।
এর বাইরে আরেকজনের একটি আন্তরিক পোস্ট দিয়ে আমার লেখা শেষ করছি। জনাব মাহমুদ মামুন আমি কার্টুনিষ্ট আরিফ বলছি (একটি কল্পিত আত্মকথা) নামের হৃদয় ছোয়া লেখাটি লিখেছিলেন।
পড়ুন পোস্টগুলো এবং মন্তব্যগুলো। ঘুরে আসুন মৌলবাদীদের জান্তব মুখেশোর সামনে থেকে।
আর পোস্ট ব্যবহৃত ছবিটি রূদ্র আরিফ থেকে হিমুরূদ্র বনে যাওয়া এক াল মাহমুদের কমেন্টের স্ক্রিন শট (এদেরও চিনে রাখা দরকার আছে)
সামহোয়ার ক্লাসিক : কার্টুন কেলেঙ্কারি ও ছাগুদের ম্যাতকার (ইতিহাসের পাতা থেকে)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন