somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতার বিস্বাদ প্রহর

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবিতার মাঝে আমরা খুঁজে পাই অনুভূতির সাত রঙ। একজন কবির কাছে কবিতার চাইতে তাই আর তেমন কিছুই প্রিয় নয়। হতে পারে না। কবি জীবন চলার পথে সব সময় কবিতাকে আশ্রয় করে চলেন। সাতটি রঙের রঙধনু যেমন খুব কম সময়ের জন্য আকাশটাকে তার রঙের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে ধীরে ধীরে আকাশের নীলে বিলীন হয়ে যায়, তারপর এক সময় সেই আকাশে রাত্রি নামে, আঁধার ভর করে। তখন সেই একই আঁধারের মানে এক এক জনের কাছে এক এক রকম হয়ে ধরাদেয়, স্থান কালে তার স্বতন্ত্র অবস্থানের কারণে। আর সবার মত এক জন কবিও কখনই এই নিয়মের বাইরে নন। জীবনের পথ পরিক্রমায় তাকেও অতিক্রম করতে হয় নানান ঘাত প্রতিঘাতের। স্বাদ নিতে হয় কত যে অনাকাঙ্ক্ষিত বিস্বাদের। কি রাত,কি দিন,কি রঙ ধনু ছাওয়া আলো ঝলমল আকাশ, এমন সময় এলে কোন কিছুই সেই বিস্বাদকে ঢেকে দিতে পারেনা। কবিকে তাই “কবিতার বিস্বাদ প্রহর”এর স্বাদ নিতে হয়। সেই বিস্বাদকে সাথি করেই তিনি কবিতার অন্তহীন মহাসমুদ্রের তটে হেটে বেড়ান, কবিতার সীমাহীন সেই তীর ভূমির ঢেউ খেলা নরম বালির উপরে অস্থির আঙ্গুল চালাতে থাকেন। এভাবে আঁকা হয় কিছু রেখা, রেখার এই বিমূর্ত চলনে যে ছবি আঁকা হয় তাও এক সময় অতি মূর্ত হয়ে ধরা দেয়। এ যেন অবচেতনের শিল্পাভাস। চেতনার গভীরের মূর্ত-বিমূর্তের অপরূপ এক মেলবন্ধনের প্রকাশ। ঠিক এই ভাবে কবির চিন্তনে শব্দের বুনটে গেঁথে ওঠা কথাও যেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এক সময় কবিতা হয়ে ওঠে। এক জন কবির এমন অস্থির সময়কে ধারণ করে রাখা অসাধারণ একটি কাব্য গ্রন্থ “কবিতার বিস্বাদ প্রহর”।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ “শুধু তুমি কবিতা” উপহার দেবার মাত্র দু বছরের মাঝে কবি সোহরাব সুমন তার দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ “কবিতার বিস্বাদ প্রহর” নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হয়েছেন। বর্তমান গ্রন্থটিতে চলমান সহস্রাব্দের প্রথম দশকে তার নিজস্ব কবি জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত, জীবন বোধ ও স্মৃতি কথা ঠাই পেয়েছে।
কবি সোহরাব সুমন দেশের বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং প্রথম সারির কাগজ গুলোতে নিয়মিত ফিচার,গল্প,কবিতা সহ নানা ধরনের সৃষ্টিশীল লেখা ও অনুবাদ লিখে চলেছেন।
শিল্পী হেদায়েতুল ইসলাম অপুর আঁকা চাররঙ্গা প্রচ্ছদে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ। বইটির দাম রাখা হয়েছে ১২০টাকা। এটি বই মেলার ১৯৭ নং স্টলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাবে। মেলাছাড়াও দেশের পরিচিত সব লাইব্রেরী সহ বইটির ডিজিটাল ভার্শন পাওয়া যাবে http://www.sohrabsumon.me সাইটটিতে। এবং যে কেউ কবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন [email protected] এই ইমেইলে।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫১
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×