একটি নদী; ব্রক্ষপুত্র।(এটি নদ নদী নয়, কিন্তু আমি নদী ই লিখলাম কারন নদীতে মা, মা গন্ধ আছে)
পাল তোলা নৌকায়,
গামছা নিয়ে,
হাড্ডিসার কালো মাঝি।
ঠিক কালো নয়,
রোদে পোড়া,অভাবী মায়া মুখ।
ঝিলমিল ঝিলমিল,
টলমল টলমল,
বালি রেখায় ছবি আঁকার ক্যানভাস।
বৈশাখী মেলায় যাওয়া ছোট্ট আমি,
নৌকার দোলে ভয়ে জড়সড়।
তীর ঘেষে বালুময় প্রান্তর!
আর আমার গ্রাম।
আজ শুধু ছবি আমার চোখে।
একে ছিলাম দুনয়নে,
অবুঝ মনে।
শরতের কাশফুল ফুটে; থোকায় থোকায়।
নৌকা চড়ে সে দৃশ্য আর দেখা হয় না।
ডিজিটাল যুগের হাওয়ায়,
পাড় বাঁধানো পাকা সেতুর উপর থেকে,
দেখি আমার মাকে।
সেই মায়া আজও আছে।
তবে কে যেন ছিনিয়ে নিল সেই রুপ!
জোনাক জ্বলা, চাঁদের হাসি মাখা,
গাঁয়ের ধুলোমাখা মেঠোপথ।
এই তো সেদিন পা ডুবিয়ে
হেঁটেছি যে পথে।
কই গেল আমার মিষ্টি ধুলো সোনার দল?
কই গেলিরে জোনাকিরা?
সভ্যতার গড়া আলো বুঝি কেড়ে নিল
তোদের স্বপ্নময় ধান ক্ষেত?
কই গেলারে আমার দাদা সোনা?
কই হারাইলা আমার দাদী মনি?
বড় আদরের নদী, জোনাক, মোঠোপথ
সভ্যতার সাঁকো বেয়ে
দাদা সোনা-দাদীমনির মত কি
ওপাড়ে চলে গেছে ওরা?
দু-টাকা নিয়ে বৈশাখী মেলায়,
আর যাব না কখনও এই আমি।
ও আজ আমি বড় হয়ে গেছি!
অনেক বড়,
ডিজিটাল যুগের দেশে।
রচনা কাল
১লা বৈশাখ,১৪২২