somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত আমার ভাল লাগার ১০ টি মুভি :) ডাউনলোড লিংকসহ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১। সেভিং প্রাইভেট রায়ান (১৯৯৮) : এই মুভি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমার দেখা সবচেয়ে ভাল লাগার মুভি হল সেভিং প্রাইভেট রায়ান। সবাই দেখেছে এবং সবার ভাল লেগেছে। টম হ্যাংকস , ম্যাট ডেমন , টম সিজমোর ,ব্যারি পিপার এর অসাধারন অভিনয়ে মুভিটি হয়ে উঠেছে আরো অসাধারন। পরিচালক ছিলেন স্পিল বার্গ। সেই সময় টম সিজমোর, ম্যাট ডেমন, ব্যারি পিপার, ভিন ডিজেল রা নতুন। তাদের দিয়ে কিভাবে স্পিল বার্গ এমন অভিনয় বের করে নিয়েছেন তা সত্যি অসাধারন।
বিধবা মায়ের চার ছেলে যুদ্ধে যায়।যুদ্ধে চার ছেলের মাঝে ৩ জনই মারা যায়।এ খবর মিএ বাহিনীর উপর মহলে চলে যায়। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে বাকি যে ছেলে বেচে আছে তাকে যুদ্ধ ক্ষেএ থেকে ফেরত নিয়ে এসে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে। বাকি ছেলেটাকে উদ্ধারের দায়িত্ব পডে ক্যাপ্টেন মিলার (টম হ্যাংস) এর উপর। সে আরো ৭ জন সোলজার নিয়ে বের হয় রায়ান কে খুজতে। এর পর থেকে ঘটতে থাকে বিভিন্ন ঘটনা। বিয়োগান্তক ঘটনা ।

Download



২। এ ব্রিজ টু ফার (১৯৭৭) : যুদ্ধ ক্ষেএের প্রকৃত স্বাদ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় সকল ধরন তথা এ্যাকশন সম্পর্কে জানতে হলে এরচেয়ে বস মুভি খুব কমই আছে।

বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির লাইনের ভেতর বেশ কয়েকটি ব্রিজ দখল করা নিয়ে এগিয়েছে মুভিটির কাহিনী। এসব ব্রিজ দখল করলে জার্মনির হল্যান্ড ভুখন্ডের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। কৌশলগত সুবিধা পাবে মিত্র বাহিনী। আমেরিকান , ব্রিটিশ আর পোলিশ বাহিনী একএিত হয়ে হাজার খানেক প্যারাট্রুপার পাঠায় জার্মান লাইনের মাঝে। রিএনফোর্সমেন্ট আসা পর্যন্ত ব্রিজগুলো দখলে রাখার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায় তারা।

মুভিটিতে সময় নিয়ে বিমান বাহিনী , প্যারাট্রুপার , ট্যাংক , আর্টিলারি , সবকিছুর ব্যাবহার খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে।সত্যি ভাল লাগার মতই একটা মুভি।আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর মাঝে অন্যতম।


Torrent


৩। ক্রস অফ আইরন (১৯৭৭) : এটিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুভি । এখানে অভিনয় করেছেন জেমস কোবার্ন ।

রফ স্টেইনার (জেমস কোবার্ন ) যুদ্ধে বীরত্বপূর্ন অবদানের জন্য সার্জেন্ট পদে উর্ত্তীন্ন হয়।এসময় উচ্চাকাঙ্খী ভীরু ক্যাপ্টেন স্টানস্কি তার স্কোয়াডের প্রধান হয়ে যোগ দেয়।
লেফটেনেন্ট মায়ারের নেতৃত্বে একটি রক্তাত্ব যুদ্ধে স্টেইনাররা জয়ী হয়।সে যুদ্ধে অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে লেফটেনেন্ট মায়ার নিহত হয়।

কিন্তু ক্যাপ্টেন স্টানস্কি (যার ক্রস অফ আইরন পদকের পাবার খুব ইচ্ছা থাকে ) দাবি করতে থাকে যে সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। এবং ক্রস অফ আইরন পদকের দাবি করতে থাকে। এ কাজের জন্য সে স্টেইনার (জেমস কোবার্ন ) এর সাহায্য চায়। কিন্তু অন্যায় কাজে থাকবে না বলে ক্যাপ্টেন কে ফিরিয়ে দেয়। এর পর থেকে শুরু হয় দুজনের বিবাদ। পুরো মুভিটি ওয়ানম্যান শো বলা চলে। প্রথাগত যুদ্ধের মুভির বাইরে ভিন্নধারার মুভি এটি।

Download


৪। দ্যা গ্রেট এসকেপ (১৯৬৩) : বন্দি শিবির থেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে পালিয়ে যাবার যেসব মুভি আছে তাদের মদ্ধে প্রথম সারিতেই থাকবে এই মুভিটি।
এখানে যারা অভিনয় করেছে তাদের মাঝে আমি শুধু দুজনকে চিনি। বাকিদের মুভি দেখি নি। তবে মনে হয়েছে তারা বড মাপের অভিনেতা।এ মুভিতেও আছে জেমস কোবার্ন ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিএবাহিনীর বিমানবাহিনীর একটি অংশ আটক হয় জার্মানিদের হাতে। তাদের একটি ক্যাম্পে আটক রাখা হয়। বুদ্ধিদীপ্ত বিমানবাহিনীর সব অফিসার সব সময় পালিয়ে যাবার কথা চিন্তা করে।তারা পালিয়ে যাবার অভিনব সব উপায় বের করে। কিন্তু সব সময় জার্মানিদের হাতে আটক হয়। ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন একজন নরম মনের জার্মান অফিসার । তাই এতসব অপরাধ করার পরও তেমন শাস্তি দিতেন না।

এই সুযোগে কয়েকজন অফিসার মিলে একটি গ্রেট প্লান করতে থাকে যে কিভাবে একসাথে অনেক জনকে বের করে নেয়া যায়। শেষ পর্যন্ত কি তারা তাদের প্লান সফল করতে পারে ?

মুভিটি সত্যি ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। মুভিটি দেখার সময় শশান্ক রিডেম্পশন মুভিটির কথা মনে পডে যায়।

Download



৫। লেটার্স ফ্রম আইও জিমা (২০০৬) : আইও জিমা দ্বীপকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা ও জাপানের মাঝে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার উপর নির্মিত একটি মুভি। মুভিটিতে অভিনয় করেছেন নামকরা দুই অভিনেতা ইনসেপশন খ্যাত কেন এবং (রেডক্লিফ এর) সাইডো।

আইওজিমা দ্বীপটি জাপানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন কেননা মিএবাহিনী এ দ্বীপটি ব্যাবহার করে জাপানের মূলভূখন্ডে আঘাত হানতে পারে।বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে দ্বীপটির কমান্ডার নিযুক্তকরা হয় । বিদেশ থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত জেনারেল কুরিবাশি দ্বীপে এসে দেখলেন যে এত কম হাতিয়ার দিয়ে এ দ্বীপ দখলে রাখা সম্ভব না। আজ হোক কাল হোক আমেরিকানরা এটা দখল করবেই। তাই তিনি নতুন কৌশল নিলেন। প্রতিটি জাপানি সোলজারের জীবনের বিনিময়ে আমেরিকার বিজয় বিলম্বিত করার যে কৌশল তিনি নেন তার পরিনতি হয় খুবই করুন।

মুভিটি এমন অনেক জায়গা আছে যা দেখে চোখে পানি এসে যায়।অসাধারন একটি মুভি।

View this link


৬। এ ব্রিজ অন দ্যা রিভার কাই (১৯৫৭) : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বন্দি বৃটিশ সেনাদের শ্রমশিবির এ পাঠানো হয়। সেখানে তাদের উপর একটি রেলওয়ে ব্রিজ তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। কেউ ভাল ভাবে কাজ না করায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। এ নির্যাতনের হাত থেকে সোলজারদের বাচাতে কর্নেল নিকারসন তাদের বুঝালেন যে ব্রিজটি বৃটিশ স্হাপত্বের নিদর্শন হবে । তখন থেকে সোলজাররা কাজ করতে শুরু করল এবং খুব সুন্দর একটি রেলওয়ে ব্রিজ তৈরি করল।

এদিকে মিএ বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি স্কোয়াড পাঠানো হল ব্রিজটি ধ্বংশ করার জন্য। যে ব্রিজটির পেছনে এত শ্রম সাধনা ব্যায় হল সে ব্রিজটি কি কর্নেল নিকারশন ধংশ হতে দিবে ? জানতে হলে মুভিটি দেখতে হবে।

Download


৭। শিন্ডার্স লিস্ট (১৯৯৩) : সেভিং প্রাইভেট রায়ানের মত এটাও গ্রেট মুভি। স্পিলবর্গের পরিচালনায় অসাধারন ভাবে ফুটে উঠেছে জার্মান নাতসি বাহিনীর বর্বরতার চিএ। একজন ব্যক্তিত্বশালী জার্মান শুধুমাএ নিজের বুদ্ধির জোরে জার্মান নাতসিদের নাকের ডগা থেকে জীবন বাচায় অনেক ইহুদির। এই মুভিটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলব না কেননা এটার কাহিনী আপনারা সবাই জানেন।

Torrent


৮। দ্যা পিয়ানিস্ট (২০০২) : যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রাক্ষা পায় না একজন পিয়নিস্টের জীবনও। অন্যসব জিউসদের মত সেও নাতসিদের নির্যাতনের শিকার হয়। তবে তাকে সবাই চেনার কারনে কোনক্রমে শ্রমশিবির এ যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি এলাকায় সে আত্মগোপন করে।
খাবার খোজা খুজি করতে গিয়ে একজন জার্মান অফিসারের সামনে গিয়ে পডে। পিয়ানিস্ট জানার পরে অফিসারটি তাকে একটি পিয়ানো বাজিয়ে শোনাতে বলেন। পিয়ানোর সুর মুগ্ধ করে জার্মান অফিসারকে। সে তাকে লুকিয়ে থকতে সহায্য করে। পিয়ানিস্ট কি বাচতে পারে ? কি হয় সে জার্মান অফিসারটির ?

মুভিটিতে জিউসদের উপর নির্যাতনগুলো খুব ভাল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

Torrent


৯।ডাউনফল -হিটলার্স ডেথ (২০০৪) : এমন অনেক তথ্য এই মুভি দেখেছি যা আগে জানতাম না। হিটলারের অন্দর মহল সম্পর্কে জানতে হলে এবং মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা খুব ভাল ভাবে পরিচালক তুলে ধরেছেন। এছাডাও হিটলারের বড বড জেনারেল পরাজয়ের মুখে কেমন আচরন করেছে তা উঠে এসেছে এই মুভিটিতে। এছাডাও রয়েছে ইভা ব্রাউনের হাসি খুশি উপস্হিতি। মোটকথা মুভিটিকে একটি ঐতিহাসিক দলিল বলে মনে হবে।সত্যি ঘটনা নিয়ে নির্মত একটি মুভি।

Torrent



১০। ব্যালাড অফ এ সোলজার (১৯৫৯) : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অসাধারন নৈপূন্য প্রদর্শন করে মেডেল জিতে। সে মেডেলের পরিবর্তে ১ দিনের ছুটি চায়। তার ছুটি মন্জুর হয় । রওনা হয় সে বাডির পথে রওনা হয়। বাডিতে ফিরতে গিয়ে দেখা হয় অনেক সৈন্যের সাথে। তাদের অনেকের আবদার রাখে সে। ট্রেনে একটি মেয়ে সুরার সাথে দেখা হয় তার। দীর্ঘ ট্রেন ভ্রমনে আস্তে আস্তে ভাব হয় সে মেয়ের সাথে। বাকি কাহীনি আর বলব না। মুভি দেখে জেনে নিবেন।

মুভিতে মা ও ছেলের দেখা হওয়া ও বিদায়ের দৃশ্য যেকোন বিচারে সেরা একটি দৃশ্য।






সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪১
২৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×