পাঁচ নম্বরে উল্লেখকৃত লেখকেরতৃতীয় দলীলহযরত জাবের রা. কর্তৃক বর্ণিতহাদীস। হাদীসটির শেষে আছে ﻭﺍﻟﺼُّﺒْﺢَﺑِﻐَﻠَﺲٍ অর্থাৎ রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামফজরের সালাত আদায় করতেনঅন্ধকারে।
হাঁ, এই হাদীস দ্বারা বাহ্যত বোঝাযায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকারেফজর আদায় করতেন। তবে এইদলীল সম্পর্কে এই লেখার শেষদিকে কিছু বলব ইনশাআল্লাহ।উল্লেখ্য , লেখক হাদীসটির বরাতদিয়েছেন, ‘সহীহ আবু দাউদ হা/৩৯৭।অথচ হাদীসটি সহীহ বুখারীতে ওসহীহ মুসলিমেও আছে। (বুখারীহাদীস নং ৫৬৫, মুসলিম হাদীস নং৬৪৬) কোনো হাদীস বুখারী ওমুসলিম শরীফে থাকলে তো কথাইনেই এতদুভয়ের কোন একটিতেথাকলেও অন্য কিতাবের বরাতদেওয়ার প্রয়োজন হয় না।প্রয়োজন হলেও সঙ্গে বুখারী ওমুসলিমের বরাত অবশ্যই দেওয়া হয়।তার কারণ ব্যাখ্যা করানিষ্প্রয়োজন। সম্ভবত লেখকেরখবরই নেই যে, হাদীসটি বুখারী ওমুসলিম শরীফে আছে। এই যদিলেখকের অবস্থা হয় তাহলে তাঁরমনে যা আসবে তাই তিনি লিখবেনএটাই স্বাভাবিক। তিনি সহীহহাদীসের আলোকে আদায়কৃতসালাতকে, সাহাবী ও তাবেঈগণেরসালাতকে জাল হাদীস দ্বারাআক্রান্ত মনে করবেন এটাইস্বাভাবিক। থাকুক সে কথা। আমাদেরআলোচনায় ফিরে আসি।ছয় নম্বরে উল্লেখকৃত লেখকেরচতুর্থ দলীলসহীহ বুখারীর এই হাদীস :ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﻭَﻣَﺎﻳَﻌْﺮِﻑُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎﺟَﻠِﻴْﺴَﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌْﺮِﻓُﻪُ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳَﻘْﺮَﺃُ ﻓِﻴْﻬَﺎﻣِﻦَ ﺍﻟﺴِّﺘِّﻴْﻦَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤِﺄَﺓِঅর্থাৎ রাসূল (ছাঃ) ফজরের ছালাতএমন সময়ে পড়তেন, যখন আমাদেরকেউ পার্শেব বসা ব্যক্তিকে চিনতেপারত না, যাকে সে আগে থেকেইচিনে। তিনি ফজর ছালাতে ৬০ থেকে১০০টি আয়াত তেলাওয়াত করতেন।(লেখকের অনুবাদ)ইসফার বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণের পক্ষে পেশকৃত আবূবার্যাহ আসলামী রা. কর্তৃক বর্ণিতবুখারী শরীফেরই একটি হাদীসেরসঙ্গে আলোচ্য হাদীসটির বাহ্যতবিরোধ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আবূবারযাহ আসলামী রা-এর হাদীসটিকেআমার এই লেখনীতে ইসফার বিলফাজরের পক্ষে চতুর্থ দলীল হিসাবেদেখানো হয়েছে। সেই হাদীসটিতেবলা হয়েছে,ﻭّﻛَﺎﻥَ ﻳَﻨْﻔَﺘِﻞُ ﻣِﻦْ ﺻَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟْﻐَﺪَﺍﺓِ ﺣِﻴْﻦَﻳَﻌْﺮِﻑُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺟَﻠِﻴْﺴَﻪُ(এবং তিনি ফজরের সালাত সম্পন্নকরতেন যখন ব্যক্তি তার পার্শেবউপবিষ্ট ব্যক্তিকে চিনতে পারত।)এই বিরোধ নিষ্পত্তির উপায় কীলেখক তা বলেননি। কেন বলেননি?এটিও তো বুখারীর হাদীস। তাহলেএটিকে আমলে না নিয়ে এটিরবিরোধী হাদীসকে দলীল হিসাবেউপস্থাপন কি একদেশদর্শিতা নয়?আমরা অবশ্য এই বিরোধেরনিষ্পত্তি কীভাবে হবে তা নিয়ে পরেআলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।