অধিকার আর সমানাধিকার দুইটা বিষয় এর মধ্যে রাত দিন তফাত।গুলিয়ে ফেলার মাধ্যমে দুইটাকে একত্রিত করার যে প্রয়াস তা-ই একধরনের মানসিক সন্ত্রাস।
যাহা অধিকার তাহা সমানাধিকার নহে কিন্তু যাহা সমানাধিকার তাহা অধিকারের কিছু ক্ষেত্র কে ধারণ করে কৃত্রিম ভাবে নির্মিত হয়।
অধিকার যেখানে উহ্য রেখে সমানাধিকার কথাটি আনা হয় সেখানে বড় ধরেনর রাজনৈতিক আর মানসিক সন্ত্রাস চলে।
সকল নাগরিকের সমানাধিকার! আসলেই কি তাই হয়?
কিংবা নারী পুরুষের সমানাধিকার!
প্রত্যেক নাগরিকের একটা নিদৃস্ট মৌলিক অধিকার থাকলেও সমানাধিকার কখনোই থাকতে পারে না।
মানুষে মানুষে পারস্পরিক একটা সাধারন অধিকার থাকলেও তা কখনোই সমানাধিকার পর্যায়ে পরে না।
তেমনই সমাজে নারী পুরুষের সমানাধিকার বলে যে ধোঁয়া তোলা হয় তা কি আদৌ সম্ভব?
পুরুষ চাইলেও যেমন নারী হতে পারবে না তেমনি নারী চাইলেও পুরুষ হতে পারবে না।
প্রতিষ্ঠা করে যতটুকু ব্যাবস্থা করা যায় তা শুধুই অস্থিতিশীলতা ছাড়া আর কিছু না।
বরং কথা হওয়া উচিত তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করায়।
কিন্তু অধিকারের বিষয় কে বাদ দিয়ে সমানাধিকার কে বড় করে ফুটিয়ে অগ্রাধিকার দেয়ার যে তাড়না তা মূলত মানসিক সন্ত্রাস।এতে করে অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে এবং মানুষ ও তাদের অবস্থান কে দিন দিন নড়বড়ে করে ফেলছে।
সুখ ও শান্তি ক্যালকুলেটর এর বোতামে আটকে যাচ্ছে।
(নারীর অধিকার নারীর মর্যাদা দান কিন্তু এসএসসি পাশ মেয়ে অনার্স পাশ ছেলের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়ে বেশী কোটায় দেশী চাকুরী করবে এটা অধিকার না।তর্ক করতে পারেন তবে আসল জায়গায় ফিরে গেলে স্বর্গীয় সমাধান হবে নয়তো টুং টাং টুং টাং করেই একটা জীবন পাড় করে দিতে হবে।)