somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগীয় এক বছর উপলক্ষে কোর আই সেভেন এর একটা জ্ঞানগর্ভ (!!!) পোস্ট

০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি আপাদমস্তক একটা ঝামেলাবাজ লোক। দিন দুনিয়ার কোন জায়গায় ক্যামনে ঝামেলা লাগানো যায় সারাদিন সেইটা নিয়া গুবিষুণা করা আর ঘুমানো ছাড়া আসলে আমার কুন কাজ নাই। এক বছর আগে এই ব্লগেও আমার আগমন ঝামেলা করার উদ্দেশ্য নিয়া। ফেসবুকের একটা লিংক ধইরা আমার এই ব্লগে পদার্পণ ঘটেছিল। তা যেই পোস্ট পড়তে আসলাম কোন একটা কথা পইড়া মেজাজ বহুত খ্রাপ হইল, সাথে সাথে একটা একাউন্ট খুইলা ফেললাম। কিন্তু খুইলা আরো মেজাজ খ্রাপ হইল। আরি শ্লার এতেতো দেখি কমেন্ট করা যায় না!!! বহু খোঁজাখোজি করলাম কুন চোরাই সিস্টেম আছে নাকি কমেন্ট করার, কিন্তু পাইলাম না। যাই হোক, আলু ব্লগে আমার কতগুলা আবাল টাইপ লেখা আসিল ওইগুলা থেইকা আস্তে আস্তে কপি পেস্ট মারতে লাগলাম। তো সেইফ হইতে প্রায় এক মাস লাগল। তারপর যথারীতি আমার প্রথম কমেন্টটাই ক্যাচাইলা। তবে দুঃখের কথা ক্যাচাল লাগানোর চেষ্টাটা সফল হয় নাই। কইতে গেলে পুরাই ধরা। ওই কমেন্টের রিপ্লাই ই পাই নাই! যাউকগা হেরপর থিকা শুরু। আবিষ্কার করলাম ব্লগটা ক্যাচাল লাগানোর লিগা আদর্শ জায়গা। তবে কোন একটা আজিব কারণে খুব একটা ক্যাচাল কারো সাথেই লাগে নাই। এর কারণ হইতে পারে আমি ব্লগে কখনোই খুব একটা নিয়মিত না। তাছাড়া সত্যি কথা কইতে হেখন ব্লগে প্রোপাগান্ডা টাইপ পাবলিক বেশি। এদের সাথে ক্যাচালে যাওয়ার মানে হয় না। যাদের খাওয়া পরা ব্লগে ক্যাচাল লাগানোর উপর নির্ভর করে, তাদের সাথে যুক্তি দিয়া ক্যাচালে যাওয়ার মানে হয় না।


যাই হোক এই এক বছরে পোস্ট দিসি মাশাল্লা ৬৬টা। এর মইধ্যে বেশিরভাগই আউল ফাউল টাইপের পোস্ট। ব্লগীয় সাহিত্যের এমন কোন জায়গা নাই যেইটায় আমি আমার বামহাত ঢুকাই নাই। আত্মকথা থিকা শুরু কইরা টেকি হইয়া কবিতা পর্যন্ত লেখসি। ক্যাচাইলা পোস্টও কম দেই নাই। সবচেয়ে মজা হইসে শেভাগরে গালিগালাজ করা নিয়া একটা পোস্ট দিসিলাম ওইটা নিয়া। রেকর্ড ২৮টা মাইনাস খাইসি। গালিগালাজও কম খাই নাই। এমনকি ব্লগের এক বিশিষ্ট ব্লগীয় বুদ্ধিজীবি পর্যন্ত আইসা গালিগালাজ কইরা গেসে। যাই হোক তার ভারত বিদ্বেষের কথা আমি পরে জানসি। আর একটা ক্যাচাইলা পোস্টের কথা মনে পড়ে। ব্লগার হাইফেন রে নিয়া একটা পোস্ট দিসিলাম। াল গালিটারে এই ভদ্রলোক রীতিমত শিল্পের পর্যায়ে নিয়া গেসিলেন। তার যে কোন কমেন্টের আগে পরে মাঝখানে এই গালি থাকতই। আর আশরাফুল এই ব্লগারের শালা সম্বুন্ধি না কি আসিল জানি না, তয় আশরাফুলরে নিয়া কিসু কইলেই তার জায়গায় জায়গায় জ্বলুনি শুরু হইত আর গালিটা বেশি শুনা যাইত। তো এই ব্লগাররে নিয়া একটা পোস্ট দিসিলাম। তার গালিগালাজের ১৫-২০ টা স্ক্রিনশট দিয়া। যদিও এইগুলা অতি ক্ষুদ্র নিদর্শন, তারপরেও দিসিলাম। মডারেটররা আমার ওই পোস্ট ডিলিট করসিল আর সেই ভদ্রলোকের কিসু পোস্ট ড্রাফট করসিল। তাতে উনি ভীষণ দুঃখিত হইয়া ব্লগ ত্যাগ করেন। তবে ব্লগে সবচেয়ে বেশী ক্যাচাল কইরা মজা পাই আমার বাস্তবে বান্ধবী আর ব্লগের সবচেয়ে বড় শত্রু নৈশচারী'র সাথে। এলিট ব্লগারদের কথাবার্তা থিকা ধারনা করি তার লেখা খুবই উন্নতমানের। ধারণা করি এই কারণে যে তার লেখা পইড়া আমি কিসু বুজি না সুতরাং পড়ার চেষ্টাও করি না। তবে আমিই তারে ঠেইলা ঠুইলা লেখানো শুরু করসিলাম এই কথা ভাবতে ভালই লাগে তয় দুঃখও কম লাগে না। এছাড়াও কয়েকটা ক্যাচাইলা পোস্ট হইল- কর্তৃপক্ষ বলে দিন, লেখকের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করব???, আসেন দেখি কে কি বলেনঃ কমার্শিয়াল ক্র্যাক করা সফটওয়্যার vs ফ্রি (বিশেষ করে যেগুলো ওপেনসোর্স) সফটওয়্যার। কমার্শিয়াল সফটওয়্যার কি আর দরকার নাই?, কোন মোবাইল কোম্পানী কিন্তু নেটের অফার দেয়ার সময় বলে না স্পিড কেমন দিবে!!!, ইহা হইলে যাহা হইত (ফানপুষ্ট), জরিপ পোস্টঃ ব্লগে ভাল পোস্টের সংখ্যা।, আসেন আমরা একে অন্যের লুঙ্গি ধরে টানাটানি করি (আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ব্লগযুদ্ধ প্রসঙ্গে), এমন একটা পোস্টের বিরুদ্ধে কেন এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হল না???, চট্টগ্রাম নির্বাচনের ফলাফল দেশবাসীকে যেসকল দৃশ্য থেকে বঞ্চিত করেছে।, একখানা টাইয়ের আত্মকাহিনী (একটি ডেসটিনি বিষয়ক চুলকানীমূলক পোস্ট)


মৌলিক লেখা লেখি নাই তা না, কিন্তু আমার সবচেয়ে হিট পোস্ট হইল আমার ১৮+ জোক‌্স এর সিরিজ। অন্য পোস্ট যেইখানে দুই মাসে ২০০ হিট হয় না, ১৮+ পোস্ট করার দুই মিনিটের মাঝে ২০০র উপরে হিট হইয়া যায়। আমার ১৮+ এর প্রথম পোস্টের হিট প্রায় ৩০০০! ফটকামি সিরিজটা লেইখাও মজা পাইসি। ওই সিরিজটা কন্টিনিউ করার ইচ্ছা আসে। ব্লগে অনেকের প্রিয় পোস্ট এর লিস্ট অনেক বড়। লোড হইতেও অনেক টাইম লাগে। ওইটা দেইখা আমার প্রিয় পোস্টের আলাদা একটা পোস্ট দিসিলাম। তাতে লাভ হইসে একটাই এডিট করার আলসেমিতে ওইটাতে নতুন কিসু এড করা হয় না।

ব্লগে লেখালেখি শুরু করার পরে মাথায় খালি আইডিয়া ঘুরত। এই পোস্ট সেই পোস্ট পুরা মাথাই নষ্ট। সবচেয়ে যন্ত্রণা গেসে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার সময়। দুই মিনিট পরে পরে আইডিয়া আসে! সে এক মহা যন্ত্রণা!! তবে কথা সত্য যে আগে ব্লগে যে ইন্টার‍্যাকশন ছিল তা আর নাই। আগে বলতে আমি যখন লেখা শুরু করলাম। ছাগুর দল আগেও আসিল এখনও আসিল। আগে বেশি আসিল, এখন কম আসে। তবে ইদানীং আরো কিসু পেইড ব্লগার যোগ হইসে। কিসু হইলেই মাতম শুরু করা এদের প্রধান কাজ। কিসু বুঝুক আর না বুঝুক মাতম কইরা দিনে দুই তিনটা পোস্ট না দিলে তাদের পেট ক্লিয়ার হয় না। রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু এর মানে যদি এই হয় যে আমি ছাড়া সবাই খারাপ ওই জিনিসের কুন মানে নাই। রাজনৈতিক গ্রুপিং এর কারণে ব্লগের আগের সেই মজা আর নাই। ব্লগিং হইল ইন্টার‍্যাকশনের জায়গা। সবাই যদি গ্রুপ গ্রুপ কইরা আলাদা হইয়া নিজেরা নিজেদের পিঠ চাপড়ায় আর অন্যরে বাঁশ মারার ধান্দা করে তাইলে ক্যামনে কি!!! সচলায়তন নিজেরা এমন একটা কমিউনিটি আর সামুতে এমন অনেকগুলা কমিউনিটি এইটুকই তফাত। সবার কমেন্ট একটু খেয়াল করলেই এক গ্রুপের সাথে অন্য গ্রুপের দ্বন্দ্ খুব ভালমত বুঝা যায়। আমরা যতদিন এমুন গ্রুপিং করুম ততদিন আম্রিকা কোলে তুইলাও উন্নতি করাইবার পারব না। যেইদিন থিকা গ্রুপিং বাদ দিয়া বড় কিসু চিন্তা করতে পারুম তখন ইন্ডিয়ার বাপও টাইনা নিচে নামাইতে পারব না।

ব্যক্তিগতভাবে আমি পুরাপুরি নাকউচা আর অসামাজিক টাইপের মানুষ। তারপরেও ব্লগের বেশ কয়েকজনের সাথে ভাল খাতির হইসে। এদের মইধ্যে মাহমুদ হাসান আর কালীদাস ভাইয়ের কথা না কইলেই না। আগেই কইয়া রাখি, আমার সোজাসাপ্টা কথায় লেখা পোস্টগুলা ভাল লাগে। এন্টিনা দিয়া পোলারাইজ কইরা এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল সিগনাল ধরতে হয় এমন লেখা পড়তে আমার কোন আগ্রহ নাই। এমনেই এই বয়সে চুল পাইকা যাইতাসে। ওই জাতীয় লেখা পড়া শুরু করলে দেখা যাইব যেইগুলা বাকি আসে ওইগুলাও পাইকা গেসে! ব্লগে অনেকের লেখা ভাল্লাগে। সবার নাম কইতে গেলে দিন পার হইয়া যাইব। তারপরেও যে কয়জনের কথা মনে আসে- বড় বিলাই, ম্যাভেরিক, ইমন জুবায়ের, মাহমুদ হাসান, কালীদাস, ইরফান, রাগিব, শাহরিয়ার নির্জন, রনি রাজশাহী, শায়মা, বাবুনি সুপ্তি, বিলাস বিডি, চিকনমিয়া, নাফিস ইফতেখার, অমি রহমান পিয়াল, বিডি আইডল, শয়তান, ফিউশন ফাইভ, জিকসেস, হেমায়েতপুরী এবং আরো আরো অনেকে। আপাতত এই নামগুলাই মনে আসে।

জ্ঞানগর্ভ পোস্টের এইখানেই সমাপ্তি। এক বছরে কিমুন করলাম সে সম্পর্কে ছোটখাট রিভিউ দিয়া যাওয়ার জন্য ব্লগারদের প্রতি অনুরোধ রইল।


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২০
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×