মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী অধ্যাপক সুয়াদ সালেহ একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা মুসলিমদের জন্য জায়েজ! বিষয়টি ব্যাপক
আলোচিত হচ্ছে অনলাইন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের বলছি এমন অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না। ইসলাম কখনই এমন অপকর্মে অনুমতি দেয়নি। ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এমন বিশ্রী মন্তব্য করা হয়েছে।
ইসলাম নারীদের সর্বাধিক মর্যাদা দিয়েছে হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম।
নারীদের যেকোন ধরনের যৌন নিপীড়ন, জুলুম থেকে রক্ষা করতে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেছেন:-
“আর তোমরা নারীদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্যে আটকে রেখো না। আর যারা এ ধরণের জঘন্যতম অন্যায় করবে তারা নিজেদের উপরই জুলুম করবে।”
—সূরা বাকারা : আয়াত নং ২৩
নারীরা যাতে কোন হয়রানি, নিপীড়িত, ধর্ষিত না হতে পারে সে জন্য পুরুষের দৃষ্টি সংযত রাখতে বলা হয়েছে তবে এক্ষেত্রে নারীদেরও হিজাব করার বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে পুরুষদের বলা হয়েছে:-
“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।”
—সূরা আন নুর : আয়াত নং ৩০
নারীদের বলা হয়েছে:-
“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”
আর অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসংগে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:-
“তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম , আর আমার ধর্ম আমার কাছে।”
—সূরা কাফেরূন : আয়াত নং ০৬
***ইসলাম সর্বক্ষেত্রে নারীকে তার ন্যায্য অধিকার দিয়েছে তা নিয়ে আমি পরে আলোচনা করবো। ইসলামের শত্রুরা যতই অপপ্রচার চালাক তারা কখনই সফলকাম হবে না। আমি সবাইকে কোরআন পাঠ করার জন্য অনুরোধ করছি। একমাত্র কোরআন পাঠ করেই আপনি ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাবেন।
লিখা: আজহার শাহী
সিলেট বিভাগীয় প্রধান।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩