এবারে আমার জীবনে দ্বিতীয় বারের মত ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছি। প্রথম ভোট দিয়েছিলাম ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে এবং দ্বিতীয় বার ভোট দিচ্ছি RDJA নির্বাচনে।
ভোট মানেই একটা উচ্ছ্বাস-উন্মাদনার ব্যাপার আছে, এখানেও সেটির কমতি নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট (DRU) এ আমাদের মত চুনপুটি সাংবাদিক থেকে শুরু করে দেশের প্রিন্ট-ইলেকট্রনি ও অনলাইন মিডিয়ার জাদরেল-জাদরেল সাংবাদিকদের সমাগম।
তাদের সাথে পরিচয় ও সৌজন্যবোধে সারাদিন কাটিয়ে দিলেও তিলার্ধ খারাপ লাগার সুযোগ নেই এখানে। এদের সাথে সম্পৃক্ত না হলে জানাই হতো না রংপুর অঞ্চলে এতো দেশখ্যাত-বিখ্যাত সাংবাদিক আছেন।
আমি খুব আগ্রহ নিয়ে একজন প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলাম। আচ্ছা আনিসুল হক স্যার কখন আসবেন কিংবা ভোটের দিন আসবেন তো..? তিনি খুব ব্যথিত হয়ে উত্তর দিলেন তিনি আসবেন না এবং ভোটও দিবেন না। কারণ তিনি ভোটার হননি। কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন আনিসুল হকের বাবার জন্মস্থান নোয়াখালী। যদিও আনিসুলের জন্ম রংপুর (নীলফারী)। তা সত্ত্বেও তিনি ভোটার হননি। তাকে আনেক জোড়াজড়ি করেও ভোটার করা যায়নি। তার মানে তিনি নোয়খালী অঞ্চল হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।
তাই তো বেলি যেভাবে পাবনা-কুষ্টিয়া, বরিশাল, রাজশাহী অঞ্চলের ভাষায় নাটক, সিনেমা তৈরি হয়েছে সেভাবে কেন রংপুর অঞ্চলের ভাষার অগ্রগতি হয়নি..!
নাট্যকার সালাহউদ্দিন লাভলু, বৃন্দাবন দাশসহ অন্যান্য নাট্যকার, লেখক, সাহিত্যিক যেভাবে তাদের আঞ্চলিক ভাষা তুলে ধরেছেন। সেভাবে আনিসুল হক তার অঞ্চলের ভাষাকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তুলে ধরবেন কি করে তার জন্মস্থান রংপুর হওয়াতে তিনি নিজেকে গর্বিত অনুভব করেন না। তা না হলে এমন একটি সংগঠিত-সংঘবদ্ধ সাংবাদিক সংগঠনের তিনি ভোটার হবেন না কেন..?
স্যার দ:খিত অনেক কঠিন কথা বলে ফেললাম। আসলে আপনাকে উদাহরণ দিয়ে কত তর্ক-বিতর্ক করেছি, নিজেদের কে ওপরে তুলেছি, সম্মানিত করেছি। সেই আপনিই আমাদের সাথে নাই। তাহলে আর ভবিষ্যতে কেমন করে অন্য এলাকার মানষের সাথে তর্ক করে, গর্ব করে বলব দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আমাদের রংপুরের..!
স্যার..এই ঘটনায় আর কারো কিছু না হলেও আপনার একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি, লজ্জিত হয়েছি। অবশ্য আমার মত একজন চুনপুটির কষ্টে, লজ্জায় আপনার কি যায় আসে..!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০