somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৭) : কানাডায় আমার প্রথম হ্যালুইন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে vs এক আবেগী জাতির পাগলামি

১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদের মতো পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ন উৎসব শেষ হয়ে গেল। উৎসবের মেজাজে থাকতে থাকতে মনে হয়েছিল এটাই হয়ত কানাডিয়ান এবং বাংলাদেশীদের উৎসবের ধরন, মিল, বৈপরিত্ব নিয়ে পর্ব লেখার সঠিক সময়। সবকিছুতেই উৎসব স্পেশাল কিছু থাকে, তো আমিই বা বাদ পরব কেন? হাহা।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি

হ্যালুইন: তখন আমি মোটামুটি নতুনই, কেবল এডজাস্ট করতে শুরু করেছি। ইংলিশ বলতে পারি ভালোমতোই কিন্তু একসেন্ট আলাদা হওয়ার কারনে কেউ তেমন বুঝতে পারেনা। তবে আমি কানাডিয়ানদের বেশিরভাগ কথা পরিষ্কারভাবে বুঝি। কানাডায় যে ক্লাসটা আমার জীবন নরক বানিয়ে রেখেছিল সেটা হচ্ছে জীম ক্লাস। দুই তলাবিশিষ্ট জীম ক্লাসটা কি ভীষন বড় ছিল! উপরের তলাটা অনেক ধরনের বিশালাকার নাম না জানা জটিল সব এক্সারসাইজ মেশিনে সাজানো! আমি কোনটা কি করতে হয় কিছুই জানতাম না প্রথমদিকে। দেয়াল ঘেষে আঁটা বড় আয়নার সামনে বিভিন্ন সাইজের ডাম্বেলস রাখা। সারি সারি সাইক্লিং মেশিন রাখা আরেক পাশের দেয়ালের সামনে। আর নিচতলা তো আরোই এলাহী কাজকারবার। বিশাল রুমের মেঝে ঘিয়ে টাইলসে মোড়ানো এবং ঝকঝকে থাকত সবসময়, নিজের চেহারা পরিষ্কার দেখা যেত। দেয়াল ঘেষে অনেকগুলো ফোল্ডিং সিস্টেমের বেঞ্চ যা স্কুলের অর্ধেকের বেশি স্টুডেন্টকে ধরে ফেলবে। একটা স্টোররুমও ছিল এককোনে যাতে হকি থেকে শুরু করে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ল্যাকরস, বাস্কেটবলসহ সবধরনের খেলার সরন্জাম থাকত। টিচার বলতেন আজ এই খেলা হবে। সেই অনুযায়ী ক্লাস টিএরা সব সেট করে ফেলত নিমিষেই! আবার ক্লাস শেষ তো পুরো রুম আগের মতো কিছুই নেই, ফাঁকা! জিমের পিছন দরজা দিয়ে চলে যাওয়া যায় সবুজ, সতেজ ঘাসবিশিষ্ট মাঠে। কি বিশাল এক মাঠ সে! স্নো না থাকলে ক্লাসটা সেখানেই হতো। এজন্যে সবাই গরমের চেয়ে শীতের সেমিস্টারে জীম ক্লাস নিতে বেশি পছন্দ করত নাহলে তপ্ত সূর্যের নীচে দৌড়াতে দৌড়াতে জান চলে যাবে যে!

অন্য কানাডিয়ান স্টুডেন্টরা এসব খেলা, এক্সারসাইজ মেশিন মায়ের পেট থেকে পরেই ব্যবহার করতে শুরু করে। আমাদের চেয়ে শারিরীক গঠনে এগিয়ে থাকে লম্বায় চওড়ায়। আমার বেশ অস্বস্তি বোধ হত ওদের সাথে ক্লাস করতে। বুঝতাম ওদের তুলনায় বেশ দূর্বল আমি। খেলাগুলো খেলে হাত লাল করে বাড়ি ফিরে আসতাম। মনে হত সেই ৭০ মিনিটে শরীর ভেংগে যাচ্ছে! ভয় লাগত ক্লাসটার কথা মনে পরলেই। প্রতিদিন কেন জীম ক্লাস থাকে তাই ভাবতাম!
আর বাংলাদেশে তো ড্রিল ক্লাসের মজাটাই অন্যরকম ছিল। সপ্তাহে একদিন হওয়া ৩০ মিনিটের ক্লাসটার জন্যে সবাই অপেক্ষা করে থাকতাম। প্রথম ক্লাস থেকেই বান্ধবীদের সাথে আজ খেলাধূলা হবে বলে ইশারাবাজি। কি সহজ সব মজার খেলা আর হাত উঠানামা করার এক্সারসাইজ ছিল। কোন মেশিন, বল কিছুই ছিলনা। ব্যাস নিজের ব্যক্তিগত হাত পা ব্যবহার করে যতো যা করা যায় করতে থাকো হাহা। সেই আমার জন্যে এমন ক্লাস তো কঠিন মনে হবেই!

যাই হোক, প্রথমদিকের ঝক্কি পেরিয়ে একটা পর্যায়ে এসেছি যখন একটু অভ্যাস হতে শুরু করেছে খাটনিটা। ভালো লাগত না কিন্তু করতে করতে ভয়টা কেটে গিয়েছিল। ক্লাসের শুরুতে আমরা স্টুডেন্টরা সারি করে নিচতলায় এক কোনে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছি। এভাবে কিছুক্ষন থেকে রেস্ট নিয়ে তারপরে দৌড় এবং অন্যান্য কার্যবলী শুরু হবে। সব খুব শান্ত হয়ে আছে। তিনজন টিচার জীম ক্লাসে থাকতেন, তারা কাছেই চেয়ার নিয়ে বসে আছেন। এটা তুফানের আগের শান্তি বলতাম আমি মনে মনে। এমন শান্তিময় সময়ে হঠাৎ করে বিকট শব্দ করতে করতে একদল অদ্ভুত ভয়ালদর্শন পোশাকের মাস্কধারী মানুষ ঢুকল রুমে। দৌড়ে পা দাপিয়ে লাফাতে লাফাতে আমাদের কাছে এসে হাত মুখ বিকৃত করে অংগভংগি করতে লাগল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি একদম গায়ের মধ্যে ঢুকে আসছে চিল্লাতে চিল্লাতে। আমি দেয়ালে আরো ঠেস দিয়ে পিছনে সরার চেষ্টা করলাম। চমকে, হতবিহব্বলতায় আমার মুখ পলকেই রক্তশুূন্য হয়ে গেল। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। একটু দূরে বসে থাকা একজন কানাডিয়ান সহপাঠির চিৎকার শুনতে পেলাম। প্রচন্ড উৎকণ্ঠায় মেয়েটার কি হয়েছে দেখার চেষ্টা করি ঘাড় ঘুরিয়ে।

কিন্তু একি! মেয়েটার মুখ হাসি হাসি! ভয়ের ভান করছে, কিন্তু ভয় পাচ্ছে না। টিচাররাও মুচকি মুচকি হাসছেন! আরেহ! রক্তলাল রং মাখা, মাস্ক পরা মানুষটা টিচারের সাথে হাই ফাইভ করছে! আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। আশেপাশের সবাই যেন ভয়ের একটা দৃশ্যের রিহার্সাল শেষ করে স্বরুপে মজা করছে! দিব্যি হাসাহাসি, গল্প চলছে দৌড়ে আসা মুখ ঢাকা মানুষগুলোর সাথে। কারুকাজপূর্ন মাস্ক পরা আরেকটা ছেলে হাতে কুমড়ার মতো প্লাস্টিকের পাত্র থেকে নিয়ে চকলেট ছুড়ে মারছে সবার দিকে! একটা এসে আমার কোলের ওপরে পরল। একটু ধাতস্থ হয়ে বুঝলাম এদের কোন মজার দিন। কি কিছুই জানতাম না তবে সবাইকে খুশি দেখে ভাল লাগল। আমার ভয় পেয়ে চমকে যাওয়াটা যে বোকামী হয়েছে বুঝতে পেরে মুখে এমন হাসি আনলাম যেন আমি ওদের উৎসবের সব জানি এবং খুব মজা পাচ্ছি এমন কান্ডকর্মে। সবাই একে অপরকে "হ্যাপি হ্যালুইন!" বলে উইশ করছে। এখন বাংলাদেশে অনেকেই হ্যালুইন কি তা জানার সাথে সাথে সেলিব্রেটও করে। কিন্তু আমি তেমন কিছু জানতাম না তখন। কোন গল্পের বইয়ে একবার পড়েছিলাম কিছু তবে ডিটেইলে তখন মাথায় ক্লিক করেনি।

পরের দিন E.S.L. ক্লাসে টিচার বললেন আজকে তোমরা কানাডিয়ান উৎসব হ্যালুইন সম্পর্কে জানবে। অনেক লেকচার দিয়ে ওয়ার্কশিট দিলেন এসাইনমেন্ট হিসেবে। একজন ইজিপ্টের স্টুডেন্ট জিজ্ঞেস করল, "তোমাদের উৎসব কিন্তু স্কুল ছুটি না কেন?" টিচার মিষ্টি হেসে বললেন, "বাচ্চারা তাহলে সারাদিন দুষ্টুমি করত, তাই সারাদিন স্কুলে আটকে রেখে দুষ্টুমির লিমিটটা শুধু রাতের জন্যে বেঁধে দেওয়া হয়।" আমরা সবাই মাথা নাড়লাম বুঝতে পেরে।

হ্যালুইনের ইতিহাস অনেককিছু জানলাম টিচারের লেকচার শিটগুলো পড়ে। ওয়ার্কশিটগুলো ফিল করতে করতে একটা প্রশ্নে এসে থমকে গেলাম। প্রশ্নটা ছিল, এমন একটা উৎসব বর্ণনা করো যা হ্যালিউনের মতোই তবে তোমাদের কালচারে পালন করা হয়! আমি এখন কি করি? বাংলাদেশে থাকতে তো হ্যালিউন কি তাই ঠিকমতো জানতাম না, আবার তার মতো কোন উৎসব! কি লিখি? অনেক চেষ্টা করেও কিছুই মনে করতে পারলাম না। টিচারের কাছে গেলাম, ভাগ্যবসত সেদিন এক সাব টিচার এসেছিলেন যার সাথে অনেক ফ্রি ছিলাম। তিনি এক বয়স্ক, মোটাসোটা, টাক মাথার হাশিখুশি মানুষ ছিলেন। তার কাছে গিয়ে বললাম, আমাদের কালচার অনেক আলাদা, মিলের কিছু নেই আসলেই। আপনি আমাকে অলটার্নেট কোন প্রশ্ন দিন। উনি নাটকের সুরে অনেক অভিনয় করে কথা বলতেন। তিনি বললেন, "নেইইই? সব কালচারেই কিছু মিল থাকেই। না করতে পারলে তো ফেইল করবে তুমি!" আমি ভয় নিয়ে তাকালে উনি হেসে ফেললেন, বললেন, "তোমাদের দেশের উৎসবগুলো আমাকে বল, হেল্প করে দিচ্ছি।"

আমি বোধহয় ভাষা দিবস দিয়ে শুরু করে শেষ করছিলাম বৈশাখে। মাঝখানে দুই ঈদ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা ফাল্গুন, চৈত্র যা যা আছে গড়গড় করে বলে গেলাম উৎসবের ধরনসহ। আমি কানাডিয়ান কালচারের ক ও জানতাম না। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশী কালচারের প্রায় সবকিছুই ছোটবেলা থেকে গুলে খাওয়ানো হয়েছিল আমাকে। টিচারের সবুজাভ চোখ আর জ্বলজ্বল করে উঠল, উত্তেজিত হয়ে আমাকে বললেন, "তোমাকে তোমার দেশের উৎসবের কথা বলতে বলেছিলাম, তুমিতো পুরো দুনিয়ার উৎসবের কথা শুনিয়ে দিলে হাহা।" আমি বললাম আমাদের কালচারে প্রায় প্রতি মাসেই কিছু না কিছু হতেই থাকে। উনি বললেন, "Wow! How amazing that should be! You might find us Canadians a little boring!" আমি তখন বেশ ছোট, অতো ভদ্রতা জ্ঞান ছিলনা। বলেই ফেললাম বেশি না একটু বোরিং মনে হয়। উনি যে কি ভীষন জোরে হেসে ফেলেছিলেন এখনো কানে বাজে আমার। আমিও হেসে ফেললাম, হাসতে হাসতে ঘড়ির দিকে নজর গেল। একি! কথা বলতে বলতে তো আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি ক্লাসের। ঐ প্রশ্নটা? এখন জমা না দিলে হোমওয়ার্ক হিসেবে করতে হবে আবার। আমি জলদি করে ওনাকে বললাম দেখলেনতো কোন মিল নেই আপনার, আমার কালচারের? প্রশ্নটা বাদ দিই?

উনি বললেন, "ইয়াং লেডি! এটা কখনো ভাববে না আমাদের কালচারে কোন মিল নেই। তোমরা আমাদের চেয়ে বেশি উৎসব করো এর মানে তোমার অনেক অপশন আছে সিমিলিয়ার কিছু বের করার। যেমন তোমাদের সব উৎসবে সার্টেইন ওয়েতে ড্রেস করো, আমরাও হ্যালিউনে সাজি।" আমি বললাম আমরাতো ওভাবে ভয়ংকর হওয়ার জন্যে সাজিনা, সুন্দর হবার জন্যে সাজি! উনি বললেন, "প্রশ্নটা আবারো পড়, আমি পড়লাম, উনি বললেন, "লাইক শব্দটা আছে মানে তার মতো, ওটাই না।" আমি বুঝলাম বিষয়টা পুরোপুরি। কি লেখা যায় মনে একটা খসড়া মুহূর্তেই হয়ে গেল। আমি বললাম আপনারা যেমন কুমড়ার বিভিন্ন পদ করেন আমাদেরও বিশেষ বিশেষ খাবার হয় উৎসবে। সেটাও বলতে পারি? উনি বললেন, "একদম তাই, You got the idea!" আমি ঝটপট দশ মিনিটে লিখে জমা দিয়ে ঝাড়া হাত পা কোন হোমওয়ার্ক ছাড়া বাড়ি আসলাম।

উপরের কনভার্সেসনটা কানাডিয়ান এডুকেশন সিস্টেম সম্পর্কে আপনাদেরকে একটা আইডিয়া দেবে। ওখানে টিচাররা চান স্টুডেন্ট নিজে থেকে ভেবে লিখুক, কোন কিছু যেন মুখস্থ না করে। ভাবতে ভাবতে কোন স্টুডেন্ট আটকে গেলে টিচার বন্ধুর মতো গল্প করতে করতে স্টুডেন্টের মুখ দিয়েই উত্তর বের করিয়ে নেন। এ এক অসাধারন ট্যালেন্ট কানাডিয়ান টিচারদের!

ভ্যালেনটাইনস ডে: এটা আমি দেশে থাকতেই জানতাম। আমাদের দেশে তখন পুরোদমে সেলিব্রেট করা হয়। প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রীই শুধু না সন্তানেরা বাবা মাকে, স্টুডেন্ট টিচারকে উইশ করে। সপ্তাহ ধরে কোন জামা পরা হবে তার প্ল্যান শুরু হয়ে যায়। পেপারগুলো বিশেষ খাবারের ফিচার করে, সব চ্যানেলে বিশেষ ভালোবাসার নাটক। সবমিলিয়ে এলাহি কান্ড। আমাদের মফস্বলে বিরাট আকারে তখনো হতো না কিন্তু ঢাকার জনসাধারনের উত্তাপটা বেশ টের পেতাম। আমার পরিবারে খুব একটা কিছু না করা হলেও একে অপরকে উইশ করত অবশ্য।

বিদেশী এক উৎসব যা আমরা এত মন নিয়ে পালন করি, আমিতো ভেবেছিলাম কানাডিয়ানরা কি করবে আর না করবে? তখন আবার একটা ক্লাসের চার পাঁচটা দুষ্টু কানাডিয়ান ছেলে আমার পিছনে খুব লাগত। সবার সামনেই ফ্লার্ট করত। টিচারও দেখতাম মুচকি হাসছেন ওদের আমার জন্য করা পাগলামিগুলো নিয়ে। বুঝে গিয়েছিলাম এদের দেশে এসব খারাপ চোখে দেখেনা। কি করতাম আর? চুপ করে সহ্য করতাম ওদের দুষ্টুমি। অশালীন কিছু করতনা কিন্তু একটু পরে পরে আমাকে টেনেই আনত সবকিছুতে। আমার আশেপাশেই থাকত, বিরক্তির চেয়ে ভয় লাগত বেশি। দেশে থাকতে মা খালাদের কাছে শুনেছিলাম খারাপ ছেলেদের নজরে পরলে মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়! এসব ভেবে ভয় পেতাম। এতটাই যে ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিনে প্রচন্ড রেগুলার আমি না যাওয়ার প্ল্যান করলাম! কিন্তু পরে মনে হল ক্লাস মিস করলে আমারি ক্ষতি, ওদের তো কিছু হবেনা। একটা ক্লাসই তো সহ্য করে নেব।

প্রথম দুইটা ক্লাস শান্তিতে করার পরে যথারীতি সেই ক্লাসটা আসল সোশাল স্টাডিজের। দুরু দুরু বুকে ঢুকলাম। আল্লাহই জানেন আমাকে নিয়ে কি প্ল্যান ছেলেগুলোর! সেদিন সিটিং প্ল্যানটা এমন ছিল যে দুইটা করে ডেস্ক একসাথে নিয়ে বড় টেবিল করে ৮ জনের গ্রুপে করে বসা, এবং আলোচনা করা একটা টপিক নিয়ে। টিচার ঠিক করে দেন কে কোথায় বসবে, কোন টেবিল কোথায় থাকবে সাপ্তাহিক আলোচনার দিনগুলোতে। সেদিনই আমার সামনে তিনটা ছেলে এবং ডান পাশে আরো একটা ছেলে পরল। কিছু মেয়ে ছিল বাম পাশে। সর্বনাশের মাথায় বারি আমার পিছনে লাগা পাঁচটা ছেলের মধ্যে চারটা ছেলেই কাছে বসা, শুধু একজন অন্য গ্রুপে পরল। আমার তো আরোই অবস্থা খারাপ। কি আছে কপালে আজকে?

ক্লাস যাচ্ছে, ওরা নরমাল দুষ্টুমিগুলো করে যাচ্ছে। বলোত তুমি বেশি স্মার্ট না আমরা, আরো কিসব হাবিজাবি বলে যাচ্ছে। আমি মেয়েগুলোর সাথে আসল টপিক ডিসকাস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওদের কথা ইগনোর করে। ওরা আবার বলছে তুমি কি ইগনোর করছো আমাদের? এই তুমি জেফকে অপছন্দ করো না? জেফ আবার বলছে না আমিতো ওর ফেবারিট। বলে একে অপরের গায়ে গড়াগড়ি দিয়ে হাসাহাসি করছে।

ওদের আমার পিছে লাগার কারনটা একটু বলে নেই। আমি বেশ শান্ত নরম সরম মানুষ। কানাডায় ভাষা সমস্যায় আরোই শান্ত হয়ে গেলাম। শুধু পড়াশোনা ছাড়া কিছুতে মনযোগ দিতাম না। ওদের কাছে একটা মেয়ের এতটা শান্ত স্বভাবের হওয়াটা ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। অপোসিট এট্রাকশন বলে ইংলিশে একটা কথা আছে। সেটা কাজ করেছিল সম্ভবত। আর আমাকে যতোই জ্বালাক না কেন কিছুই বলতাম না, চুপ করে সহ্য করতাম বলে আরো মজা পেত। ভিনদেশীদের সাথে ঝগড়া করে আমি বাংলাদেশের রেপুটেশন খারাপ করতে চাইনি। স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষ ঝগড়াটে এটা ভয় পেতাম। আর এমনিতেও ঝগড়া, চিল্লাচিল্লি করার মানুষ আমি না। কারন হিসেবে এটাই আমার মনে হয়, টিচারও প্রায় এই কারনগুলোই বলেছিলেন আমাকে। ওরাই আসল কারন বেটার বলতে পারত যদিও।

যাই হোক কাহিনীতে ফিরে আসি। আলোচনা চলছে এমন সময়ে দুটো মেয়ে গোলাপি গেন্জি ও স্কার্ফ পরা, হাতে গোল কাঁচের পাত্রে অনেকগুলো ছোট ছোট গোলাপি পেপারের হার্ট নিয়ে আসল। এসে ক্লাসের মাঝখানে দাড়িয়ে ঘোষনার সুরে বলল, ''আজকে ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে স্কুল ক্লাব থেকে মজার একটিভিটির আয়োজন করেছে। সব মেয়েকে একটা করে পেপারের হার্ট দেওয়া হবে। যখনই একটা মেয়ে কোন ছেলের সাথে কথা বলবে ছেলেটাকে হার্টটা দিতে হবে। যে ছেলে সবচেয়ে বেশি হার্ট কালেক্ট করতে পারবে তার এবং তার ভ্যালেনটাইনের জন্য পুরষ্কার আছে। মেয়েদেরকে চেষ্টা করতে হবে যার তার সাথে কথা বলে যেন নিজের হার্টটা নষ্ট না করে।''

আমিতো ভয় পেয়ে গেলাম। আলোচনা হচ্ছে, এখন তো সবাই কথা বলবেই। অন্য মেয়েরাও বলে উঠল আমরাতো আলোচনা করছি একটা পড়ার বিষয়ে, এটাও কি কথা হিসেবে ধরা হবে? টিচার বললেন, "না না এখন তোমরা কশাস হবেনা, এসব মজা ক্লাসের বাইরে। এখন ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সাবজেক্টে কনসেনট্রেইট করো।" টিচার যাই বলুন না কেন সব ছেলের দুষ্টুমি শুরু হয়ে গেল। মেয়েরাও কথা বলবেনা, মুখ বন্ধ করে আছে। আমিতো আরোই। মাথা নিচু করে আলোচনার পয়েন্টগুলো নোট করছিলাম যেটা টিচারকে সাবমিট করতে হবে। এমন সময় আমার হাত থেকে পেন কেড়ে নিল পাশের ছেলেটা। আমি বিরক্ত হয়ে জোর খাটিয়ে ওর কাছে থেকে পেন নিয়ে নিলাম এবং হাতে ছোঁয়া লেগে গেল।

ছেলেটা অন্য বন্ধুদের বলল, "ও আমাকে টাচ করেছে, মানে আমাকে পছন্দ করে। ওর হার্ট আমিই পাব, তাইনা?" বলে টেবিলে রাখা আমার হার্টটার দিকে লোভী দৃষ্টিতে তাকাল। আমি সাথে সাথে হার্টটা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম ও ছিনিয়ে নেবার আগেই। ওর কথা শুনে লজ্জায়, অস্বস্তিতে অবস্থা খারাপ। আমি মুখ খুললাম কিছুটা সেদিন, বললাম, টিচার বলেছেন এসব ক্লাসের বাইরে হবে। প্লিজ টপিক নিয়ে আলোচনা করো। আমি তোমাদের এতজনের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। পড়ছি, ভাবছি, লিখছি, তোমাদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে। ওরা একটু সিরিয়াস হলো তখন এবং আলোচনা করে এসাইনমেন্ট শেষ করতে করতে সেই ক্লাস শেষ। আমার বিপদ কেটে গেল, আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

এক আবেগী জাতির পাগলামি: আবেগী জাতি যখন বলেছি নিঃসন্দেহে আমার বাংলাদেশের কথা বলেছি। পাগলামির অংশটুকু বর্ণনা করি। সেদিনকার E.S.L. ক্লাস থেকে বাড়িতে এসে মনে হল আমাদের দেশের উৎসব শুনেই এমন মুগ্ধ হলেন টিচার, যদি দেখতেন কি ভীষন মজা আমরা করি, কত রং কি করতেন? উনি যতোই বলুক কানাডিয়ানদের উৎসব ভাবনা আর আমাদেরটা অনেক বেশি আলাদা। আমরা এমন এক জাতি যারা সাধারনত কোন উৎসবের শুধু দিনটা পালন করিনা। পুরো মাসব্যাপি উৎসব চলে ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস এবং ঈদ, পূজা হলেতো কথাই নেই। প্রতিদিন শপিং করা নিজের, পরিবারের জন্যে, ঈদ আসছে ঈদ আসছে বলে এক মাস ধরে আমরা কিছু না কিছু করতেই থাকি।
কানাডায় যেকোন উৎসবে সকল স্টোরে সেল দেয়, ব্যাংকে গেলেও ডেকোরেশন আলাদা হয়ে যায় যেমন ক্রিসমাসে বড় ক্রিসমাস ট্রি দেখবেন। কিন্তু জনসাধারনের মধ্যে বাংলাদেশের মতো উৎসবপ্রিয়তা দেখিনি। রাস্তায় বেড়োলেই একটা উৎসবের আবহ অনুভব করাটা খুব মিস করি এখানে। কানাডিয়ানরা সাধারনত উৎসবের কয়দিন প্রচন্ডভাবে এনজয় করে এবং ভুলেও যায় তারপরে। তবে উৎসবে পরিবারের সবার এক হওয়াটা এবং একসাথে ডিনার করাটাকে খুব গুরুত্বের সাথে দেখে।
উৎসবের সংখ্যাতেও নিঃসন্দেহে আমরা বহুগুনে এগিয়ে। আমাদের আবেগ, পাগলামি, মেতে থাকাটা এখানে পাইনি বা বলা চলে তুলনায় বেশ কম। একটা ক্রিকেট ম্যাচ জিতলেই আমরা রাস্তায় যেভাবে নাচানাচি করি সারারাত ধরে! সপ্তাহজুড়ে আনন্দউল্লাসে পরে থাকি। কোন শেষ নেই যেন কোনকিছুর। কানাডিয়ানরা হকিতে জিতলে অনেক উল্লাস করে তবে পরেরদিন ভুলেও যায়। কোনকিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা কানাডিয়ানদের স্বভাবে নেই। ব্যাস উৎসবের দিনটা পার করে পরেরদিন বিনয়ী, মিষ্টিহাসি মুখে নিয়ে যান্ত্রিকতার খোলসে ঢুকে যায়। ভীষন কোলাহলমুক্ত, শান্তিপূর্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত কানাডিয়ানরা। তবে অনেক ব্যতিক্রমধর্মী কানাডিয়ান আছেন যারা আমাদের মতো এক্সাইটেড থাকেন সবকিছু নিয়ে। আমি নিজের চোখে দেখা মেজোরিটির কথা লিখছি শুধু।

অনেক বাংলাদেশী বলে থাকেন আমরা বেশি বেশি করছি, এতটা উচ্ছাস ভালো নয়। আমার মনে হয় খারাপ কি? উৎসবের রং তীব্র করে যদি একটা জাতি আনন্দে মেতে থাকে সমস্যা কি? উন্নত বিশ্বকেও বাঁচতে শিখিয়ে দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা এ জাতি। যারা হাজারটা সমস্যা পার করেও তৈরি থাকে সর্বদা আনন্দ উল্লাস করার জন্যে। অনেক অনিশ্চয়তা, জটিলতাকে তুড়ি মেরে মুহূর্তেই উড়িয়ে দেয় প্রানখোলা হাসি দিয়ে! তীব্র কঠিন দুঃখগুলোকে ছোট ছোট সুখের ভেলায় ভাসিয়ে দেয় পলকেই! ড্যান্সিং শুটা পরাই থাকে, ব্যাস নাচার একটা কারন চাই। আমাদের এ উৎসবপ্রিয়তা শুধু আমার সেই টিচারকেই না যেকোন বিদেশীকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে! আমরা যেন এরকমই থাকি। উৎসবমুখর, পাগলামি, আবেগ, সারল্যে ভরা এক জাতি। এ বাংলাদেশকেই আমি নিজের দেশ বলি, এ জাতিকে নিয়েই গর্ব করি। কানাডায় যখন কেউ জিগ্যেস করে তোমার ন্যাশনালিটি কি? তীব্র একটা গর্বের কাঁপুনি নিয়ে বলি আমি বাংলাদেশী। অন্য অনেক প্রবাসীরও এমনই হয় জেনেছি।
তবে আমি কোনভাবেই বলছিনা যে আমরা পারফেক্ট জাতি হিসেবে। অনেককিছুতে ভাবনা চিন্তায় আমাদের এগিয়ে যাবার সুযোগ রয়েছে এখনো। তবে আমাদের ভালোটাকে ঠিক রেখে, খারাপগুলোকে দূরে সরিয়ে বেটার জাতিতে পরিনত হব সে আশা নিয়ে শেষ করছি।

শেষ কথা: আগের বেশ কিছু পর্বের থেকে বেশ আলাদা এ পর্বটা। আগের পর্বগুলোতে আমি পার্শ্বচরিত্রে ছিলাম, এবং অন্য কারও দুঃখ, কষ্ট তুলে এনেছি। আজকে নিজেকে আবার মূল চরিত্রে ফিরিয়ে আনলাম। সিরিয়াস বিষয়গুলো নিয়ে লেখার সময় কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে করে অনেক কেঁদেছি, আবেগী হয়েছি। আজকে হালকা কিছু মজার স্মৃতি শেয়ার করলাম। কোন কান্নাকাটি ছাড়া বেশ অনেকদিন পরে একটা পর্ব লিখলাম। পেছনে তাকালে সেই সমস্যাগুলোকে আসলেই দুষ্টমিষ্টি মনে হয় আজকের তারিখে।

ধাঁধা: যেতে যেতে একটা ধাঁধা দিয়ে যাই। আমি আমার স্কুল ব্যাগে সামলে রাখা কাগজের হার্টটা স্কুলের একজনকে দিয়েছিলাম সেদিন। কাকে বলুনতো? মানুষটার কথা বিস্তারিত অথবা সংক্ষেপে পুরো সিরিজের কোথাও দেওয়া আছে এই হিন্টটুকু দিয়ে দিলাম।

ধাঁধার জবাব ৩৩ নম্বর কমেন্টে দেওয়া হয়েছে। কৌতুহলি পাঠক চেক করে নেবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪২
৪০টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×