somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্যাশনই আপনার জীবনে সাফল্য নিয়ে আসবে

২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কম্পিউটার/ সফটওয়্যার/ ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করেন তাদের বেশিরভাগ এর পড়ালেখার ব্যাগরাউন্ড এই ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড না। তাহলে কিভাবে তারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো করতেছে? উত্তর একেবারে সহজ। তাদের প্যাশন ছিলো এই ইন্ডাস্ট্রিতে। এইখানে তারা কখোনোই টাকা ইঙ্কামের জন্য আসেনাই। এখন কথা হচ্ছে প্যাশন কি? আসলে প্যাশন হচ্ছে যেই কাজটাকে ভালো লাগে তাকে প্যাশন বলে। আমাকে অনেকেই বলে ভাই কোন কাজ করলে/ শিখলে ভালো হবে। আমি বলি টাকা ইঙ্কামের জন্য আস্তেছেন না অন্য কিছু। যারা বলে টাকা ইঙ্কামের জণ্য আস্তেছেন তাদের আমি কোন আন্সার দেই না। যারা বলে এই কাজ ভালো লাগে তাই। তো অনেকেই জানেনিনা আসলে কোন কাজ তার প্যাশন। অনেকের গ্রাফিক্স এর কাজ প্যাশন হইতে পারে অনেকের প্রগ্রামিং এর কাজ অনেকের মার্কেটিং এর কাজ আবার অনেকের দেখা যায় এই ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড কোন কাজই তার প্যাশন না।
আমার সোজাসোজি উপদেশ হচ্ছে যদি আপনার প্যাশন না থাকে তাহলে আপনি এই কাজে আসবেন না। আপনার প্যাশন যদি অন্যদিকে থেকে থাকে তাহলে সেদিকে আগান তাহলে ঐদিকে ভালো করতে পারবেন।





একটা উদাহারন দেই। আমার অফিসের ম্যানেজার মাঝে মধ্যে সকাল ৮ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত অফিস করে। এতে সে ক্লান্ত হয়না বা বিরক্তি লাগেনা। কিন্তু আমার অফিসের অনেকেই আছে যারা সন্ধ্যা ৬ টা বাজার ১৫ মিনিট আগেই দৌড়। আসলে তাদের জব করতে হবে তাই এইখানে আসছে। এইটা তাদের প্যাশন না। আমি চিন্তা করে রেখেছি নেক্সট থেকে শুধু তাদেরকেই প্রমোশন দিবো যাদের প্যাশন হচ্ছে অফিসের কাজ।



যায় হোক। অনেকেই বলে ভাই আমার প্যাশন যে কি আমি নিজেই জানিনা। এখন কি করবো? তাদের জন্য প্যাশন খোজার সহজ উপাই বলতেছি।

আপনি আপনার মনের কাছে কয়েকটি কোয়েশ্চেন করেন। এর উত্তর গুলো যেটি হবে সেটিই আপনার প্যাশন।

১। আপনার সময় ও টাকার অভাব যদি না থাকে তাহলে আপনি কোন কাজ গুলো করবেন?
২। আপনার মৃত্যুর পর আপনার কোন কাজ গুলোর জন্য আপনাকে মানুষ মনে রাখলে আপনি সবচাইতে খুশি হবেন?
৩। আপনাকে যদি বিধাতা মাত্র একটা সমস্যা সমাধানের সুপার পাওয়ার দিতো তাহলে আপনি কোন সমস্যাটা বেছে নিতেন?
৪। এমন একজন মানুষ যার জীবন আপনার জীবনের আইডল।
৫। কোন কাজটি করলে আপনার সময় কিভাবে চলে যায় তা বুঝতেও পারেন না।

এই কয়েকটা প্রশ্নের জবাব খুজুন যেটি আন্সার হবে সেটিতেই আপনার প্যাশন।

যেমন ধরেন আমি ফার্মাসিতে মাস্টার্স শেষ করেও এই লাইনে কাজ করতেছি। আমার উচিৎ ছিলো যে কোন একটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে জব করা। ভালো বেতনে কাজ করা শুখে শান্তিতে থাকা। কিন্তু আমার প্যাশন ফার্মাসিতে ছিলোনা। ফার্মাসিতে যখন অনার্সে ভর্তি হয় তখন ফাস্ট সেমিস্টারে একটা ব্যাসিক কম্পিউটার স্কিল নামে একটা সাবজেক্ট ছিলো। সেখানে সিনহা ম্যাডাম ক্লাস নিতো। তার ক্লাস গুলো খুবই ভালো লাগতো। ইভেন ম্যাডাম যখন প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিয়েছিলো ৪ মিনিটে তার দেওয়া সমস্যা আমি ইজিলি সমাধান করে নিয়েছিলাম। যেখানে অন্যান্য স্টুডেন্ট রা প্রায় ঘন্টাখানেক টাইম লাগিয়ে দিয়েছিলো অনেকেই পারেনাই। আমি সেই পরীক্ষায় A+ পেয়েছিলাম। ফাস্ট সেমিস্টারে আমি একটা সাবজেক্ট এ A+ পেয়েছিলাম তা হচ্ছে ব্যাসিক কম্পিউটার।

এছারা লাইব্রেরীতে যখন সবাই বিগ বিগ ফার্মাসিউটিক্যালস ক্যামিস্ট্রি, ফিজিওলজি, বায়ো ক্যামিস্ট্রি নিয়ে বিজি তখন আমি সি এস ই ডিপার্টমেন্ট এর বই নিয়ে পড়তে বিজি। এই ঘটনার কিছু কিছু সাক্ষি Masud Alam ভাই। আমি আর তিনি মাঝে মাঝে সেইম টেবিলি পড়তাম। মাসুদ ভাই যেহেতু CSE এর স্টুডেন্ট সেহেতু মাঝে মাঝে তাকে অনেক কোয়েশ্চেন করতাম। সেই সময় মাসুদ ভাই সর্ব প্রথম আমাকে YouTube এর কথা বলেছিলো। যে এমন নতুন একটা ওয়েব সাইট আছে যেখান থেকে তুমি ভিডিও দেখতে পারবা তোমার ইচ্ছামত সাইটে। তখন ২০০৭ এর প্রথম দিকে। নেটের স্পিড সর্বচ্চ ১২৮ কিলোবাইট। এর পর আমি বিভিন্ন স্থানে ট্রেনিং নেই। রাত জেকে বিভিন্ন অফিসে বিনা বেতনে চাকুরী করি। অনেক বই পড়ি, অনেক টিউটোরিয়াল এর ভিডিও দেখি। এমন অনেক সময় গেছে মাগরীবের নামাজ পড়ে কম্পিউটারে কাজ করতে বসেছি একটু পর দেখি এশার আজান পড়ে গেছে। আমি মনে মনে করতেচ্ছি এত দ্রুত দেড় ঘন্টা চলে গেলো। এশার আজান দিয়ে দিলো। পরে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি না এইটা এশার আজান না এইটা ফজরের আজান। মানে সারারাত পার করে দিয়েছি কিন্তু আমার কাছে এক থেকে দেড় ঘন্টা মনে হয়েছে।





এইরকম আপনি আপনার প্যাশন টা খুজে বের করুন। এর পর সেখানে লেগে থাকুন। আপনি টাকার পিছনে ঘুরবেন না টাকা আপনার পিছনে ঘুরবে। তবে অবশ্যই একটা সার্টেন টাইমের পর। আজকে থেকে প্যাশনের পিছনে লেগে গেলে কালকে থেকে যদি টাকা ইনকাম করার চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে হবে এইটা আপনার রিয়েল প্যাশন না ফেইক প্যাশন। শুধু টাকা ইঙ্কামের ধান্দায় আপনি এইটাকে ফেইক প্যাশন বানিয়েছেন।




প্যাশন হল আগুনের মতন। আপনি নিজেই একটা বারুদের গোলা। ঐ গোলায় দরকার একটু আগুন। আগুন না হলে ঐ বারুদে আগুন লাগবে কি করে? আর আগুন না লাগলে সেটা বিস্ফোরিত হয়ে কিছু করতে পারবে না। তাই নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে বিস্ফোরিত করতে ঐ প্রতিভারূপী বারুদের গোলায় আগুন দিতে চাই প্যাশন।


সাজ্জাদ হোসেন
সকাল ৯:২৪
মে ২০, ২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×