somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেট্রো-ভূত

২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবার metro-mayhem? উফ্... রোজ রোজ আর ভাল লাগেনা! মিনিট খানেক এদিক ওদিক ভীড়ে ধাক্কা খাওয়ার পরই বুঝলাম কী সমস্যা। সুইসাইড! “মরবিতো মর কিন্ত‍ু অফিস আওয়ার্স-এ কেন ভাই?” একজন ক্ষিপ্ত যাত্রীকে বিড়বিড় করতে শুনলাম। বেচারা আত্মহননকারী রেলের আঘাতে না মরলেও লোকের অভিসম্পাতে নির্ঘাৎ মরবে।

নাহ্, সুইসাইডের চেষ্টা টি সফল হয়নি। সেই বীর আত্মহননকারীর মেট্রো-মিশনে ভিলেন গার্ডরা শেষমেষ বাদ সাধে! ভারী অন্যায়!

একটা সুইসাইড অ্যাটেম্পট সফল হয়নি তাঁর মানে কিন্ত‍ু এই নয় যে কোনো অ্যাটেম্পটই সফল হয়না। আরে কেউ কেউ সত্যিই মরার জন্যও ঝাঁপ দেয়। তারপর বৈদ্যুতিক ঝটকা আর নিত্যযাত্রীদের শাপশাপান্ত তো আছেই...

কিন্ত‍ু পাতাল রেল-ই কেন? নচিকেতা গেয়েছেন বটে “রেললাইনে বডি দেবো মাথা দেবো না...”, কিন্ত‍ু উনি কী আর জানতেন মহান বঙবাসী তাঁকে এত সিরিয়াসলি নেবে!

আবার মরেও শান্তি নাই... একটা সুইসাইড হল, ট্রেন চলাচল ঘন্টাখানেক ব্যাহত হল, লোকজন একটু ভীড়ে বডি ম্যাসাজ পেল, এবার থাম। না এখনো যে অতৃপ্ত আত্মার বাসনাপূর্তি বাকী...


রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো... শহরের প্রায় ৭০%-৮০% সুইসাইড এখানেই ঘটে। একবার সাহস করে ট্র্যাকে ঝাঁপ মারতে পারলেই হল, তারপর ৪,০০০ ভোল্টের ঝটকা থেকে বাঁচায় কে। এতজন যখন সুইসাইড করছে তখন একটু আধটু ভুতের গপ্প থাকবে না তা কী হয়? গুগল বলে দিয়েছে, কলকাতার অন্যতম একটি ভুতুড়ে এলাকা হল রবীন্দ্র সরোবর লেক আর মেট্রো স্টেশান। মেট্রো সিটির পশ্ ভুতেরা মেট্রো স্টেশানে থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তাই না?

আচ্ছা ভুতেরও মেট্রো চড়তে ইচ্ছা করতেই পারে। জীবদ্দশায় মেট্রো চাপা পড়ার পর হয়ত সেই বাসনা পুরণ করতেই আবার তারা ফিরে আসে... রাতের লাস্ট মেট্রো চেপে।

ভুতেদের অলীক ক্ষমতা থাকে না? সেই ক্ষমতা দিয়ে তারা তো বাকী মেট্রো যাত্রীদের একটু সাহায্য করতেই পারে। ধর কম্পেনশেসান, জীবদ্দশায় নিরীহ যাত্রীদের নাকাল করার জন্য। বেশী কিছু না, এই যেমন অফিস টাইমে ভীড়টা একটু সামলালো বা মেট্রোর ভাড়াটা কমালো। স্মার্টকার্ডে নিজে থেকেই ভুতুড়ে রিচার্জ হয়ে গেলেও চলত। কিন্ত‌ু হায়... এসব তো হয়না। তাহলে ভুত আছে মানবো কেনো? ধুর! মাঝখান থেকে রবীন্দ্র সরোবরের নাম খারাপ আর অফিস টাইমে বাড়তি ঝামেলা! Hopeless!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×