দেহ থংমেই,জীবন মিঙাল, রকতর থৌ থঙ।
ঔগ লাগেয়া দেহিংনে মিতে প্রিয় তোর মেই থঙ।।
আহিয়া নাথাই, হে বিরাহিণী তি রোদন হৃদিৎ আন।
প্রেমরে প্রিয়রে মিত্ররে হায় কাদিয়া হে পানা হান।।
প্রিয়র পথগ চেয়া চেয়া মোর লালছেতা হারদিন।
রাতি এহানৌ লালয়া যারগা এ বিরহ কতি হিন।।
আহিগিৎ পানি,হৃদিগৎ প্রিয় বিসারেয়া আছু তোরে।
হারৌনেয়ছে, নেই তিতে ,পাছু বেদনারে বিরহরে।।
বিরহর জ্বিয়ে জ্বলিয়া মি, হায় ,থাউরিগা পহুরিৎ।
মোর ফাপগই লাগিল উগৌ,নিবেইতু কি পানিৎ।।
মিতে বিরহর অরনিগ অয়া লাগৌরি, থায়া থায়া।
হবা করে জ্বিগ লাগলে মুক্তি পেইতই এরে কায়া।।
বিরহরে তিতে হেলা নাকরিছ,বিরই সুলতান।
যে দেহগরমা বিরহ নেয়ছে উপেই শ্মশান হান।।
তেরার হাদিৎ জোনাক এহানে বড়াই করিয়া আছে।
বেলিহান আয়া ঙালইলে হাবি লুকেইতারাগা লাজে।।
কায়াগই তোর খেতিহান অছে কিষানগ মনহান।
পাপ পুণ্যর যে বীজ বেলার ঔসাদে পার ধান।।
যে গারিৎ নেই ঈশ্বর প্রেম গারি উগ বৃথা জান।
কামারর গরে হাপর নিংসা কারের নেয়য়া প্রাণ।।
কবীর: মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ সাধক কবি কবীরের জন্ম এখনো রহস্যাবৃত হয়ে আছে। এখনো কিংবদন্তীতে ঢাকা। তার দোহা এবং সাখি যুগোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন সম্পদ। তার কবিতা সংকীর্ণ সাম্প্র্রদায়িকতা ও আচার বিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অস্ত্র। তার কবিতার অসাধারণ সাহিত্য মূল্য সম্পর্কে দ্বিমত নেই। রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি এবং কবীরের বাণী সমান্তরাল।গীতাঞ্জলির মূল পান্ডুলিপিতে কবীর, তুলসী দাস প্রমুখ সপ্ত কবির আঠারটি দোহা গ্রন্থিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ কবীরের একশটি বাণীর ইংরেজি অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। কবীরের দোহা নিয়ে পাশ্চাত্য সাহিত্যবিদরা আলোচনা করেছেন। ইংরেজি গীতাঞ্জলি এবং কবীরের রচনার সাযুজ্যতাল রবীন্দ্রনাথর সৃষ্টি কর্মের উপর কবীরের প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয়। ভারতীয় সংস্কৃতির মূল প্রবক্তা কবীর, ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। এখানে মহাকবি কবীরের দোহার কিছু অনুবাদ বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষায় গ্রন্থিত হলো।
অনুবাদ: ধনণ্জয় রাজকুমার
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা: http://www.poetseers.org
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১