সোনার চামচ নীতি:
আধা কৃষকের পোলা আর যদি পিতামহকে টেনে আনি পুরোদমে কৃষকের পোলা আমরা।বাপ দাদা লাঙল,কোদাল,কাঁছতে,সাবল দিয়ে তো জীবন কাটিয়ে দিল।তিন বেলা ঠিক মত ডাল-ভাত মুখে দিতে পারলেই জীবনের সার্থকতা বুঝতো।ফাতেমার বাপ,সুমনের বাপ ,লোকমানের বাপেরে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে আপনি কি এ্যাডাম স্মিথ,রিকার্ডো,হ্যাবারলার,হেকসার-ওলিন,টমাস মুনকে চেনেন! যে বলবেন তারে দৌড়ান দেয়া ,পাগল বলা তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।সারা বিশে্বর অর্থনীতি নিয়ে যারা চিন্তা করে তারা এসব সাধারণ জ্ঞানের কথা সবাই জানে ।কিন্তু ফাতেমার বাপ,সুমনের বাপ ,লোকমানের বাপ নামক কৃষকের তো জানার কথা না।দেশে যদি ১৬ কোটি মানুষ থাকে তার মধ্যে যদি ১০লাখ মানুষের জন্য যদি আপনারা ১০০ শত ভাগ বেতন বাড়ান তাহলে এদেশে বাকি যুক্ত থাকা মানুষেকে অপমান করা হয়। দুনিয়ার সব জায়গায় Inflation দেখে বেতন ঠিক করে আর আমরা সোনার চামচ মুখে দেয়া বড়লোকের পোলা আজ যখন অর্থদায়িত্ব পেয়েছেন তারা তো আর ভরসার বাপেরে চিনার কথা না !তাদের এতবড় ধ্যানধারণায় মজবুত মগজ থেকে উৎসারিত অর্থচিন্তকরা বেতন বাড়িয়ে Inflation ডেকে আনে।দ্রব্যমূল্য আগামী পাঁচ বছরে নিশ্চয় ১০০ ভাগ উর্ধ্বমূখী হবে তাতে কি ! নাভিশ্বাস গেলে,কপাল পুড়লে মরণের আগ পর্যন্ত শুধু যদি তিন বেলা খাওয়নের চিন্তা করি তাহলে উৎপাদন করব কি সে সব কথা তাদের জানার কথা না।মরলে আমারা মরব বাঁচলে আমরা বাঁচব তাদের লাগায় দেয়ার কথা লাগায় দিল আর চলে গেল ।কি লাগায় দিল সেটা তো তাদের জানার কথা না!! এতে ক্ষমতার হয়ত কয়েক বছর বাড়বে,কিন্তু জনগণের পেছনে হনুমানের মত আগুন লাগাইদিলে কেমনে হবে? দৌঁড়ালেতো আগুন কমে না আর বাড়ে ........ জ্বইল্যা পুইড়্যা মারার সব ব্যবস্থা কইরা আস্তে আস্তে নিজেরা সটকে পড়বেন ...... বুঝতাছি কিন্তু উপায় খুঁজে পাচ্ছি না ।।।
নাম কথন প্রসঙ্গ:
আল্লাহর ৯৯ টা নাম ,ফেরেশতাদের ১০১টি নাম আছে ।আমাদের অনেক মা-বাপ আছে তারা তাদের পোলাপাইনের নাম আদর করে ৩-৪ টা রাখে! তো প্রতিটি ধর্মেই তো আল্লাহ,খোদা,ভগবান আর ঈশ্বর আছে !তো তাদের ও তো ৯৯, ১০১, ৫০১ নাম থাকতে পারে তাতে কি ধর্ম বা মানুষের জাত যায়!! বেশির ভাগ ধর্মের উৎপত্তি ও তো প্রায় এক জায়গায় সে হিসেবে ভাষাগত মিল থাকতে পারে নামে ধাম আর কর্ম বেলায় আর তার জন্য মোল্লা আর সংসদের সমালোচনার দরকার কি ??? ........আর কোথাও না গেলেও , বঙ্গরঙ্গ দেশে হয়ত যায়।ধর্ম এখানে র্দূনীতিতে,সুদে-লাভে,খুনোখুনিতে,অন্যকে ল্যাং মারতে, ভারী মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।গত তিন-চারশ বছর ধরে উপমহাদেশের নানা প্রেক্ষাপটে ও শিক্ষা হল না এ অঞ্চলের মানুষের আর হবে বলে ও মনে হয় না।দুনিয়াতে যত আর্দশ হোক মনুষ্য বা আর্শীয় সব আদর্শই সংশয়ী,সংকটাপূর্ণ,সংকীর্ণতায় বেড়ায় কমবেশি আবব্ধ যা কোনটাই এক মানুষের জীবনের পরিপূূর্ণ আর্দশ নয় তার পরও এখানে ছোরা ,তলোয়ার,কাফনের কাপড় ,খন্ডিত মস্তক আর ধড় রেডি..........কেননা এখানে ভারী মোল্লা আর ভারী প্রগতি এক ঘাটে জল খায়!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭