গরু জোয়ান হইছে।সারারাত ডাক পাড়তাছে।
মা- বুঝল,গোরু ধাড়াইতে যাইতে হবে।গোরু ধারানো- এটা আবার কি?
মিলিটারির পুল বলে একখান জাগা আছিলো।সেখানে গোরু ধারানো হয়।
ওখানটাই গিয়া বুঝলাম।গোরু ক্যামনে ধারানো হয়!
ইহা একটা গোরু প্রজনন ব্যবস্থা।মানে গোরুর সেক্স করানোর একটা সুব্যবস্থা করে দেয়া।গোরুর মাতৃত্ব প্রকাশই এর লক্ষ্য।উৎপাদনও এর লক্ষ্য।
সেই মোটা তরতাজা ট্রিপল এক্স সিনেমার নায়কের চেয়েও কম সুন্দর না।কি রং,কি শিং।যেকোন মাইয়া গোরু্ই ওরে ভালবাসি ফেলবে।
ওর সঙ্গ চাইবে।
আমরাও দেখে পুলকিত হইতাম।আসলেই অনেক সুন্দর।
তয় সেক্সখান যেরুপে করাইতো তা পদ্ধতিটা অনেকটা ধর্ষণের মতোন আছিল।মাইয়া গোরুরে বাঁদি রাইখত।
বিরিষরে সেক্স করার আগে কাঁচা ডিম বাঁশের কঞ্চি দিয়া খাওয়াই দিত।তারপর যোনি শুইকা উইঠা যাইতো।হয়ে যেতো গোরু ধারানি!!
[বিশেষ নিয়ম ও আছিলো।সবার আগে করাইতে পারলে বীর্য ভাল থাকে।তাহইলে গোরু পোয়াতি হইত।তা না হইলে একমাস পর আবার যাইতে হইতো---সেটা হলে আমাদের খুব কষ্ট হতো।আবার ভোর বেলা উঠো,আবার আসাযাওয়া মিলে কমসে কম দশকিলো হাঁটো!!]
প্রায়ই শুনি পশ্চিমা বিশ্বে পশু প্রাণীর সেক্সকরানোর স্পেস আছে।আমাদেরও আছে।অথচ আমরা সেসব জানতাম না বা প্রচার করা হতো না।
গৃহপালিত পশুপ্রাণীর ও সেক্স করার অধিকার থাকে।এটা না করাটা প্রকৃতিবিরুদ্ধ কাজ।আমাদের মা’রা অতো পাশ্চাত্য শিক্ষা না জানলেও পাশ্চাত্য শব্দ কি তা না জানলে ও ঠিকই জানত…
উৎপাদন,মাতৃত্ব ও সেক্স সবপশুপাখির প্রকৃতিগত অধিকার।
আহা এই জীবনে কতো বিবিধ স্বাদ পাইলাম………..
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫