রাজা-রাণীর পরিবর্তন চান নাকি রাষ্ট্রীয় সিস্টেমের পরিবর্তন চান??
কেমন পরিবর্তন দরকার ছিল,যা হয়নি।
স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি কতো কতো আন্দোলন ফান্দোলন করেছেন।তাহলে এই সিদ্ধান্তে কি আসা যায় না যে চেতনাহীন,আর্দশবিহীন,উদ্দেশ্যবিহীন নানা আন্দোলন করে সময় অপচয় করেছে।রাষ্ট্রীয় সিস্টেমের পরির্বতনের আন্দোলন কেন হলো না??
যে পরিবর্তনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন ও হয়েছে নতুন সরকার তৈরি করে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য!কিন্তু রাষ্ট্রীয় সিস্টেমের পরিবর্তনের জন্য মুক্তিযুদ্ধও ওভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি।তবু ও যে আদর্শ,চেতনা,সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের যে সম্ভাবনা ছিল স্বাধীনতা্উত্তোর সে টনিক আর কার্যকর হয়নি।এখানে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতেও জগদ্দল পাথর নামে সরকার পরিবর্তন ও ব্যক্তির ইচ্ছার সরকার পরিবর্তন হয়েছে।রাষ্ট্রীয় সিস্টেম পরিবর্তনের চেতনা ধারণ করে সরকার পরিবতর্ন হয়নি।
এখানকার রাজনীতিতে অল্পশিক্ষিত,খুচরাশিক্ষিত,সাংস্কৃতিক চেতনাবিহীন লোকেরা রাজনীতি করেছে বলে সবসময় দূর্ণীতিগ্রস্ত সরকার দ্বারা রাষ্ট্রটি পরিচালিত হয়েছে।কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সম্ভাবনার মৃত্যু হয়েছে সবসময়।অথচ মুক্তিযুদ্ধ সে দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল যে নতুন রাষ্ট্রটি কল্যাণমূলক ,বৈষম্যহীন,সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তিত রুপে আর্বতিত হতে হতে একটা মজবুত ভিত্তি পেতো।
অথচ দীর্ঘপরিক্রমায় তৈরি হয়েছে রোগাক্রান্ত,মানসিক বৈকল্য,জীর্ণশীর্ণ এক রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা।জনগণের দূর্দশা দীর্ঘায়িত হতে হতে এক উন্নয়ন বিরাগভাজন বিকারগ্রস্ততা অবসাদ আজ ঘিরে ধরেছে জনমানস।এই জনমানসের হাতে রয়েছে আমাদের নতুন আশার প্রদীপ্ত এক নতুন বাংলাদেশ।
সংশয়তো থাকেই যেখানে জনমানস নিজেরাই দীর্ঘঅবসাদে ক্লান্ত।একপ্রকার নিউবিকারগ্রস্ত।
জয়বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৫