রাসেল সাহেব অনেক অন্যরম লিখেন। তার কোরানের সমালোচনা অনেক সময় আমি উপভোগ করি। তার ভ্রমণ কাহিনী প্রায়শঃ ইন্টারেস্টিং হয়। উনার মন্তব্য গালির অন্তরালে অনেক ইনসাইট নিয়া থাকে। এইসব সত্য কথা। আমি নিজে অবশ্য সব ধরনের গালিতেই কোন না কোন ইনসাইট পাই। গালাগালি নিয়া আমার কোন মধ্যবিত্তসুলভ ছ্যাঃ ছ্যাঃ নাই। আমি বড় হইছি পুরান ঢাকার বস্তির আশে পাশে। মায়ে স্কুল শিক্ষিকা হইলেও দিনের একটা বড় সময় আমার যাইতো রাস্তার উপর ডাংগুটি খেইলা সেইখানে আর সবাইর মতোই আমি হতাশা-ক্ষোভে-আনন্দে গালি দিতাম। আর সেই গালি শুইনা আমার মায় একবার আমারে আগাপাশতলা পিটাইছিলেন! কিন্তু পিটানিটা আসলে কোন সলু্যশান না...আমার গালি বিষয়ে বরং মায়ের মধ্যবিত্ত সুলভ রুচীর ঘেরাটোপ নিয়া নেগেটিভ ধারনা আছে। গালিরে আমি শব্দের, আবেগের এক্সপ্রেশান কিম্বা একটা চিহ্নায়ক হিসাবেই দেখতে পাই অহরহ।
রাসেল সাহেব অন্যগো গালি দেন এক্কেরে যৌনতা বিষয়ে তার শারিরীক আর শ্রুত অভিজ্ঞতা নিয়া। অনেকের কাছেই তারে অশালীন মনে হয়...অনেকেই তারে আবার পাল্লা লাগাইয়া সমর্থন করে। আমি তার কোনটাই করি না। কারন আমি নিজে আসলে গালি ব্যাপারটারে মানবজীবনের কোন বাড়তি ফিকির হিসাবে দেখতে পাইনা, চাইলেও...আমার কাছে ঐটা একটা সামাজিক ভাষার পার্সেপশান।
এইবার রাসেল সাহেব আমারে যখন গালি দিলেন ঐটা আমার কাছে কেরম জানি লাগলো। আমার মনে এই প্রশ্ন উঠছে...তাইলে কি আমি নিজেরে গালি দিলে সহ্য করবার পারি না!? নাকি অন্য কোন কারন আছে এর বাইরে? আমি বহুতবার পড়লাম তার মন্তব্য। রইস কবি আর মালিশদার নামক গল্পে আমার মন্তব্যজাত তার জবাব। কিন্তু আমি দেখলাম। এইখানে উনি ঠিক গালি দেন নাই! উনি আমার সুনির্দিষ্ট অভ্যাস আছে এইরূপ ধইরা নিয়া, সেইটারে নেতিবাচক ধইরা নিয়া মন্তব্য করছেন। আমার কাছে এই ধরনটা আসলে ঠিক যৌক্তিক ঠেকে নাই।
আমি তার মন্তব্য মুছনের এই বাই লইয়া কইছিলাম যে অশোভন, অপ্রাসঙ্গিকতা আর অপ্রয়োজনীয়তার মান লইয়া আমি কনফিউজড হইলাম। তিনি কইলেন আমি নাকি চাটাচাটিতে এতো ব্যস্ত থাকি যে ঐটা একটা অর্থহীন কর্মকলাপ হয় আর তাতে আমি অপ্রাসঙ্গিক অশোভনতাকে ধইরা উঠতে পারি না।চমৎকার রেটোরিক্যাল একটা এক্সপ্রেশন! কিন্তু আমার মনে হইছে উনি ধইরাই নিছেন আমি চাটাচাটিতে ব্যস্ত থাকি...মানে আমি পদলেহন টাইপ কিছু করি...এই চাটাচাটি আমার অন্য যেকোন অপ্রাসঙ্গিক অশোভনতাকে দেখতে দেয় না। উনি সম্ভবতঃ বলতে চাইছেন আমি রাইসুর পদলেহনে ব্যস্ত থাকি তাই রাইসুর কোন খারাপ আমি দেখতে পাই না। কথাটা রাসেল সত্য কন নাই। রাইসুর সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয় সূত্রে ঢাকা শহরের অনেকেই জানেন আমাগো কিরম সম্পর্ক। আমরা দুইজন এক্কেরে দুই দুনিয়ায় কাজ করি। কোন কালেই আমার সাহিত্যিক হওনের বা নিজের লেখা ছাপা অবস্থায় দেখনের সাধ হয় নাই, একান্ত পেটের দায় ছাড়া। এই ব্লগে কিছু লেখা তুলছি হয় তো, কিন্তু তা অনেক কমেন্ট পাওনের আশায় না, একটা জায়গা পাওন গেলো যেইখানে সংরক্ষণ করা যায় কিছু লেখা। পরবর্তীতে তা পড়তে গেলে বা কাউরে যদি নিজের কুশলতা দেখাইতে চাই তাইলে তার সহজলভ্যতা দেইখা। রাইসুর সাথে আমার সম্পর্ক অন্য অনেকের মতোই তর্কমূলক সম্পর্ক। কখনোই তা প্রশ্নাতীত না। এখন দেখি অনেকেই অনেক বিষয়ে রাইসুর লগে বিরোধীতায় যায়, রাইসুরে গালাগালি করে, যেই প্রসঙ্গ গুলি নিয়া অতীতে আমরা বহুত তর্ক করছি। যেই বিষয়ে রাইসু কিম্বা আমি দুইজনেই বহুত নিজেগো পূর্বতন অবস্থা থেইকা সইরা আসছি। কিন্তু চাটাচাটি কাহিনীটা মনে হয় না আমাগো মধ্যে আছে। যাউগ্গা রাসেল যদি সুনির্দিষ্ট ভাবে আমারে দেখাইতে পারেন...তাইলে আমি উপকৃত হইতাম। চাটাচাটিটা যৌক্তিক হয় কি না তা দেখতাম। কারন চাটচাটি তো আমরা নিশ্চয় সকল সময় মন্দ বইলা জ্ঞান করি না...(আক্ষরিক অর্থেই কইলাম)
এর বাইরে উনি আমারে কইলেন আমার মধ্যে তস্কর মনোভাব আছে। আর পলায়নবাদী মানসিকতা চিরকালই ছিলো। আমি জানি না উনি এই তস্কর মনোভাব বলতে কি বুঝাইছেন। বহুত ভাবলাম তাও নিজের নামের সাথে একটু অনুপ্রাসিক সম্পর্ক ছাড়া আর কোন মিল পাইলাম না। জীবনে আমি চুরি কইরা চলছি বইলা মনে পরে না। এই ক্র্যাফট টা আমি খুব ভালো পারি না। জীবনে একবার ট্রাই করতে গিয়া ধরা খাইছিলাম...তার দগদগে সমৃতি আজো আছে আমার মনে! আর কইলেন পলায়নবাদী মানসিকতার কথা...আমিও মানছি তার কথা, এইক্ষণে আমার রাজনৈতিক জীবন থেইকা দূরে সইরা আসনে পলায়নবাদী মানসিকতা হয়তো কিছুটা হইলেও সম্পর্কযুক্ত এই স্বিকারে আমার বরং মনোকষ্ট বাড়ে...কিন্তু আর যা'ই হোক মিথ্যা কইতে চাহি না। কিন্তু এইটারে দেখলাম রাসেল আমার চিরকালীন মানসিকতা কইতে চাইছেন। জানি না তিনি এই সিদ্ধান্তে আমারে কতোটুক জাইনা পৌছাইছেন। কিন্তু পলায়নবাদী মানসিকতা আমি খুব বেশিদিন আগে লালন শুরু করি নাই সাহেব! আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি কি ছিলাম সেই তথ্য আপনের জানতে খুব বেশিদূর যাইতে হইবো না। আপনের পরিচিত বন্ধু বান্ধবগো কাছে গেলেই জানবেন।
আপনে আমার অসুবিধা করবেন বইলা প্রায় হুমকী দিলেন...এইরম হুমকী দিয়েন না ভাই...বড় ভয় লাগে! মনে হয় মানুষ কি আমার অবচেতনেও প্রবেশাধিকার পাইলো নাকি! আপনে সোজাসুজি কইয়া দেন আমারে কিরূপে অসুবিধায় ফালাইবেন । অথবা যদি এই ব্লগের অনেক কালচারে যেইরম অসুবিধায় ফেলন যায় সেইটা হয়, তাইলে সেইটা ট্রাই করেন। অথবা আমারে ব্যক্তিগত জীবনে অসুবিধায় ফালাইবেন সেইটা ট্রাই মারেন। আমার কোন সমস্যা নাই। আমি বরং আপনারে চেষ্টারে স্বাগতঃ জানাইবো। কিন্তু হুমকী দিয়েন না ভাই। আগেই কইছি আমি হুমকীরে আমি বহুত ডরাই!!!!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০