মনে আছে বিএনপি আমলে পহেলা বৈশাখের দিন সকাল দশটার পর পর বৈশাখি মেলা এলাকায় গাড়ি পথ উন্মুক্ত করে দিত। সহজ টেকনিক। এদিন রমনা শাহবাগ এলাকায় কয়েক লক্ষ মানুষ ঘোরাফেরা করে। এর ভিতরে গাড়ি চললে অবস্থা হয়ে উঠে ভয়াবহ। ফলস্বরূপ পরের বছর বিরক্তিতে অনেকেই আসবে না। উৎসব আমেজ ধীরে ধীরে কমে আসবে। এটা ছিল বাঙালির ভিত্তির উপর খুবই সূক্ষ্ম আঘাত। এখন আমরা 26 মার্চ, 16 ডিসেম্বরে হরতাল দেখছি।
প্রকাশক, ব্লগার, লেখক হত্যা রাষ্ট্রের ভিত্তির উপর আঘাত। চরম অবস্থার প্রকাশ। 3 নভেম্বর শোকের দিন। মহান মানুষদের হত্যা করে 75 এ রাষ্ট্র ব্যবস্থা দখল করে বাঙালি ভিত ভাঙ্গতে থাকে। যা এখন বিনাশ এবং পরিশোধনের চেষ্টা চলছে।
আজ স্বাভাবিক ভাবে অনেকেই চার নেতার কবরে যাবেন দোয়া করতে, ফাতেহা পড়তে, ফুল দিতে। কোথাও কোথাও মিলাদ হবে। কিন্তু আজ হরতাল....... । এতে স্বাভাবিক ভাবে নেতাদের কবরে যাওয়া, মিলাদে, স্মৃতি চারন অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠানে জনসমাগম কম হবে।
প্রকাশক, ব্লগার, লেখক হত্যা তথা দেশের এ অরাজক অবস্থার প্রতিবাদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে হরতাল অবরোধ মিছিল না হওয়াটা অস্বাভাবিক। তেমনি রাষ্ট্রের ভালো চেয়ে, দেশের চরম শোকের দিনে হরতাল ডাকাটাও অস্বাভাবিক এবং ন্যাক্কার। হরতাল একদিন পর ডাকা যেত। ডাকা যেত 7 নভেম্বর।
এমন দিন হরতাল তালের আড়ালে আসলে কোন চাল?!!