মাঝে মাঝেই আমরা পথের শেষ দেখি হতাশ হয়ে যাই । হতাশা জিনিসটাই আপেক্ষিক । একজন ভালো ছাত্র একটা প্রশ্নের উত্তর না পারলে হতাশ হয়ে যায়। সেই একই সময়ে একজন মোটামোটি মানের ছাত্র দুই চারটা প্রশ্নের উত্তর না পারলেও পরীক্ষা দিয়ে এসে বলে ভালো পরীক্ষা হয়েছে ।
হতাশা , দুঃখ - কষ্ট এইসব এগুলা নির্ভর করে আপনি কোন লেভেলের সহ্য ক্ষমতা অর্জন করেছেন । যে প্রতিদিন গাড়িতে আসে তার কাছে রিকশায় চড়াটা যেমন কষ্টকর তেমনি রিকশারোহীর কাছে হাঁটাও সমানভাবে কষ্টকর । একজন পথিকের কাছে এদের উভয়ের কষ্টটাই অনর্থক মনে হবে । ওদের হতাশার লেভেল পথিকের চেয়ে অনেক উপরে ।
একজন ভিক্ষুক হতাশ হয় না । একজনের কাছে ভিক্ষা না পেলে আরেকজনের কাছে চলে যায় । একজন টোকাই সাধারণত কারো কাছে ভালো ব্যবহার আশা করে না । সে আপন মনে তার কাজ করতে থাকে । এরা কখনও হতাশ হয় না । হতাশ হয় উচ্চ শ্রেণীর লোকেরা । হতাশা নিম্নশ্রেণীর লোকদের জন্য নয় ।
এ জগতে হায় সেই বেশী চায় যার আছে ভুরি ভুরি । উচ্চশ্রেণীর লোকেরা কখনও নিচের দিকে তাকায় না । এদের দৃষ্টি থাকে উপরের দিকে । এদের মধ্যে অহংকার থাকে । এই শ্রেনীর লোকেরা যখন হতাশ হয় তখন জীবনের কোন অর্থ খুজে পায় না ।
জীবনে হতাশা আসতেই পারে । হতাশা জীবনের লক্ষ্যটাকে কিছুক্ষণের জন্য অদৃশ্য করে দেয় । এর মানে জীবনের শেষ নয় । এই সময়টাতে নিজেকে নিয়ে, সমাজের যারা আপনার চেয়ে কম সুবিধা ভোগ করে তাদের নিয়ে চিন্তা করতে হয় । পথের শেষে দাঁড়িয়ে থেকে এ নিয়ে দুঃখবোধ না করে নতুন পথের সৃষ্টি করুন যাতে অন্য কেউ আপনার পরে ওই পথ দিয়ে যেতে পারে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯