somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিম শরীফের প্রথম হাদিস

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইয়াহইয়া ইবনে ইয়া’মার থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, বসরার অধীবাসী মা’বাদ জুহানীই প্রথম ব্যক্তি যে তাকদীরকে অস্বীকার করে। আমি ও হুমাইদ ইবনে আব্দুর রহমান উভয়ে হজ্জে অথবা উমরার উদ্দ্যেশ্য রওয়ানা করলাম। আমরা বললাম যদি আমরা এ সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের যে কোন সাহাবীর সাক্ষাত পেয়ে যাই তাহলে ঐসমস্ত লোকেরা তাকদীর সম্পর্কে যা কিছু বলে সে সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করব। সৌভাগ্যক্রমে আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা: কে মসজদে ঢুকার পথে পেয়ে গেলাম। আমি ও আমার সাথী তাকে এমন ভাবে ঘিরে ‍নিলাম যে আমাদের একজন তার ডানে ও অপরজন তার বামে থাকলাম। আমি মনে করলাম আমার সাথী আমাকেই কথা বলার সুযোগ দেবে ( কারণ আমি ছিলাম বাকপটু )। আমি বললাম হে আবু আব্দুর রহমান-আমাদের এলাকায় এমন কিছূ লোকের আবির্ভাব ঘটেছে তারা একদিকে কুরআন পাঠ করে আরেকদিকে জ্ঞাানের অন্বেষণ ও করে। ইয়াহইয়া তাদের কিছু গুণাবলীর কথা উল্লেখ করলেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে “তাকদীর বলতে কিছু নেই এবং প্রত্যেক কাজ আকস্মাৎ সংঘটিত হয়”। ইবনে উমার রা: বলেন “যখন তুমি এদের সাথে সাক্ষাত করবে তখন তাদেরকে জানিয়ে দিও তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই আর আমার সাথেও তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার আল্লাহর নামে শপথ করে বলেন, এদের কারো কাছে যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এবং দান খায়রাত করে দেয় তবে আল্লাহ তাদের এ দান গ্রহণ করবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তাকদীরের উপর ঈমান না আনবে। অত:পর তিনি বলেন: আমার পিতা উমার ইবনুল খাত্তাব রা: আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: একদা আমরা রাসূল সা: এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় একব্যক্তি আমাদের সামনে হাজির হল তার পরনের কাপড়চোপর ছিল ধবধবে সাদা মাথার চুলগুলো ছিল মিশ কালো। সফর করে আসার কোন চিহ্ন তার মধ্যে দেখা যায় নি। আমাদের কেউ তাকে চিনেও না। অবশেষে যে নবী সা: এর সামনে বসলো। সে তার হাটুদ্বয় নবী সা: এর সাথে মিলিয়ে নিল এবং দুই হাতের তালু তার নিজের উরুর উপর রাখলো এবং বললো হে মুহাম্মদ আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন: রাসূল সা: বললেন ইসলাম হচ্ছে এই যে তুমি সাক্ষদেবে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসূল, নামায কায়েক করবে, যাকাত আদায় করবে , রমজানের রোজা রাখবে এবং যদি পথ অতিক্রম করার সামর্থ হও তবে হজ্জ আদায় করবে। সে বলল আপনি সত্য বলেছেন। আমরা তার কথা শুনে আশ্চার্যান্বিত হলাম কেননা সে প্রশ্ন করছে আবার সমর্থন করছে। এরপর সে বলল আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন, রাসূল সা: বললেন ঈমান এই যে তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতাকুল, তার কিতাবসমূহ, তার প্রেরিত নবী ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখবে এবং তমি তাকদির ও এর ভাল মন্দের প্রতি ঈমান রাখবে। সে বলল আপনি সত্য বলেছেন। সে আবার বললো আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন। রাসূল সা: বললেন ইহসান এই যে তুমি এমনভবে আল্লাহর ইবাদাত করবে যেন তাকে দেখছো যদি তাকে না দেখ তবে তিনি তোমাকে দেখছেন বলে অনুভব করবে। এবার সে জিজ্ঞেস করল আমাকে কিয়ামত সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূল সা: বললেন এব্যাপারে জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসীত ব্যক্তি অধিক জানে না। অতপর সে বললো তাহলে আমাকে এর নিদর্শনসমূহ বলুন। রাসূল সা: বললেন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে, এবং নগ্নপদ বস্ত্রহীন, দুস্থ কাঙালকে বকরীর রাখালদের বড় বড় দালান-কোঠার মালিক হয়ে গর্ব অহংকারে মত্ত দেখতে পাবে। বর্ণনাকারী উমার বলেন এরপর লোকটি চলে গেল। আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম এরপর রাসূল সা: বললেন: হে উমর তুমি কি জানো প্রশ্নকারী কে? আমি বললাম আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন ইনি ছিলেন জিবরাঈল আ: । তোমাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন।

মুসলিম শরীফ-১
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৫
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×