জংগি সনাক্তকরন নির্দেশিকা নিয়ে আগের পোস্টটা যাদের পড়া হয় নি , তারা দয়া করে নীচের লিংকে গিয়ে পড়ে নিলে , তাদের বুঝতে সুবিধা হবে ।
জংগি সনাক্তকরন নির্দেশিকা , দাড়ি রাখা ও টাকনুর উপর কাপড় পরিধান করা এবং ধর্ম অবমাননা ।
আজ থেকে বৎসর দশেক আগে বাংলাদেশের গোয়ান্দা সংস্থা কর্তৃক জংগি সনাক্তকরনের লক্ষণ সমুহকে নিয়ে একটি নির্দেশিকা সরকারি বাহিণীদেরকে হস্তান্তর করে এবং ১৮টি লক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয় । যদি কারো সাথে ৮০% লক্ষণ ম্যাচ করে যায়, তখন তাদেরকে সম্ভাব্য জংগি হিসাবে সন্দেহ করা হয় । এই তালিকাটি সম্প্রতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায় একটি সামাজিক সংগঠনের প্রধান হিসাবে প্রকাশ করেন এবং সেই অনুষ্ঠানে মন্চে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাসাউদ । লক্ষণ গুলোর বেসির ভাগই আমাদের মমিনদের সাথে ম্যাচ করে যায় এবং ১৮টি লক্ষণের ভিতর ৫ থেকে ৭ টি অন্তত সবার সাথে ম্যাচ করে । এখন এই সনাক্তকরন নির্দেশিকা দিয়ে নাকি ধর্ম অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে , মমিনরা উঠে পরে লেগেছে পীযুষ বন্দোপাধ্যায়কে শাস্তি দেওয়ার জন্য এবং এর পিছনে সম্ভাব্য জংগিদের রক্ষা করার অভিপ্রায় তাদের থাকতে পারে । এই নিয়ে জংগিদের প্রতি সহনুভুতিশীল কিছু ব্লগার লেখা পোস্ট করেছে এই ব্লগে এবং নিমিষের ভিতর এই লিখা হাজার ৩ এর উপরে দেখা হয়ে গেছে এবং অনেকে না বুঝেই সম্মতি প্রকাশ করেছেন ।
এখানে ১৮টি লক্ষণের অন্তত ১০টা লক্ষণ মমিন বান্দাদের মাঝে দেখা যায়, তাই বলে ঐ মমিনরা যে সন্দেহ ভাজন জংগি এই ১০টা লক্ষণ মিলে যাওয়ার জন্য, সেটা কখনো বলা যায় না বা যাবে না , এটা সবাই বোঝে কিন্তু মমিনরা মাতন শুরু করেছে পীযুষ বন্দোপাধ্যায় হিন্দু হয়ে ইসলাম ধর্মকে নাকি অবমাননা করেছে , অতচ এই নির্দেশিকা প্রকাশের সময়ে, সেখানে মন্চে উপস্থিত ছিলেন একজন পরিচিত বিখ্যাত মাওলানা মাসাউদ । গোয়েন্দা সংস্থা এই তালিকা বানিয়েছিল ১০ বৎসর , তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করার সাহস মমিনরা পায় নি, তাই তারা সপ্ট টার্গেট পীযুষের উপর হামলে পরেছে । তাদের আপত্তি মমিনদের লেবাসকে কেন জংগির লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং এটা নাকি উদ্দেশ্য পূর্ণভাবে ইসলমাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার জন্য করা হয়েছে ।
যারা এই নির্দেশিকাকে ধর্ম অবমাননা মনে করে, তাদের কাছে জানতে চাই , ধরুন দেশে গরুর খুরা রোগের প্রাদুরভাব হয়েছে , তখন যে সমস্ত গরুর এই রোগ হয়েছে বা হোতে পারে , সেগুলো সনাক্ত করার জন্য গরু গুলোকে গরুর পালের ভিতর খুজতে হবে নাকি মহিষ , ছাগল বা ভেড়ার পালে খুজতে হবে ? ডাক প্লেগে আক্রান্ত হাস গুলোকে হাসের ঝাকের মধ্যে খুজতে হবে , নাকি মুরগির ঝাকে খুজতে হবে ?
তাহোলে ইসলামি লেভাসধারি জংগিদের হুজুরদের মাঝে খুজতে হবে নাকি , সাধারন মানুষের পালে খুজতে হবে । জংগিদের আচার আচরন এবং একজন সহি মোমেন বান্দার আচার আচরনের অনেক কিছু মিলে যায় তাহোল তাদের খুজতে হোলে কোন ধরনের মানুষের পালের ভিতর খুজতে হবে ? খুরা রোগে আক্রান্ত গরুকে নিশ্চয়ই মহিষের পালে পাওয়া যাবে না অথবা ডাক প্লেগে আক্রান্ত হাসকে নিশ্চয়ই মুরগির ঝাকে পাওয়া যাবে না । এটা যদি পরিস্থিতি হয় , তাহোলে জংগি সনাক্তকরন নির্দেশিকার মাধ্যমে কি ভাবে ধর্ম অবমাননা হয় ।
যারা এই বিষয়ে আগের লিখাটি পড়েননি, তারা দয়া করে উপরের লিংকে গিয়ে পড়ে নিবেন। ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫