somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাস ‘অভিনেতা’ ~ মুনীরা কায়ছান

১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গতরাতে ঘুমাবার আগে, এবং আজ সকালে ব্রেকফাস্টের আগের সময়টুকুতে যে বইটা পড়ে শেষ করলাম, তার নাম অভিনেতা। এটি একটি উপন্যাস। রচয়িতা, মুনীরা কায়ছান। যেহেতু যা ই পড়ি, তার ব্যাপারে কিছু না কিছু ট্রেস আমার প্রোফাইলে রেখে দেই, সেই সূত্রে এই বইটির ব্যাপারেও কিছু লেখার প্রয়োজন বোধ করছি।
.
সত্যি বলতে, দারুন কিছুর প্রত্যাশায় বইটি পড়া আমি শুরু করি নি। আমাদের বইমেলাকেন্দ্রিক পুস্তক প্রকাশনা ব্যবসায় প্রচুর বই জানুয়ারি - ফেব্রুয়ারি মাসে বের হয়। মেইনস্ট্রিম সাহিত্যের জগতে খুব একটা পরিচিত নন (বিশেষত আমি এই লেখকের আগে কোন লেখাপত্রের সঙ্গে একদমই পরিচিত ছিলাম না), এমন একজন লেখকের লেখা পড়ছি এমন একটা মাইন্ডসেট থেকেই বইটা পড়া শুরু করেছিলাম। আমি আমার রিভিউয়ে বাড়িয়ে চাড়িয়ে কথাবার্তা বলি না। সত্যি বলতে, বইটা আমার বেশ সুখপাঠ্য লেগেছে।
.
শুরুতে উপন্যাসের বিষয়বস্তুর এক সার সংক্ষেপ দিই। প্লটটা মোটের ওপর ইন্টারেস্টিং। বাংলাদেশের সিনেওয়ার্ল্ড নিয়ে লেখা। উপন্যাসের প্রধান দুই চরিত্র - ঢালিউডের এক কল্পিত মহানায়ক 'ঋদ্ধ' , এবং সময়ের জনপ্রিয়তম পরিচালক 'অনন্য খান' , ওরফে 'একে'। এই দুজনের মধ্যে চলতে থাকা ব্যক্তিত্বের ঠাণ্ডা লড়াই নিয়েই উপন্যাসের ঘটনা এগোয়। নায়ক ঋদ্ধের পরিচয় ঔপন্যাসিক এভাবে দেন - "ঋদ্ধ। তার বয়েসটা যেন থমকে গেছে। তার একটাই পরিচয় প্রায় দুইদশক ধরে একই রকম - নায়ক। এখনো টিনএজ মেয়েদের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। মাঝবয়েসি নারীদের বিগত যৌবনের প্রেম ও আবার নতুন করে জেগে ওঠে ঋদ্ধের ছবি দেখে। 'আর সে বদলালো না, সেও আগের মতোই আছে' - মায়েদের চায়ের কাপে এই কথা চলছে প্রায় এক যুগ। তবে আবেগ আর বাস্তবতা ভিন্ন মেরুর। ঋদ্ধ এখন আর সবসময় বাজিতে জেতা ঘোড়া নেই, তার জন্যে বাজিকর ও আর উঁচু দর ডাকে না। সে এখন মিউজিয়ামে সাজানো অমূল্য রত্নের মত। শুধুই আকর্ষণীয়। আর কিছুই নয়।" এই প্রায় ফুরিয়ে যাওয়া নায়ক, প্রদীপের নিভু নিভু সলতের পুরো নিভে যাওয়ার আগে যেমন জ্বলে উঠতে চায় শেষবারের মতো, তেমনি একটা সিনেমায় নিজের প্রতিভার সঠিক প্রয়োগ ও মূল্যায়নের আশায় এসে হাজির হয় ডিরেক্টর অনন্যর কাছে। অনন্য এমন এক পরিচালক, সে যাই বানায়, দর্শক হামলে পরে দেখে সিনেমাহলে গিয়ে। অনন্য এর মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তার নতুন ছবি নিয়ে। বাণিজ্যিক ধারার নায়ক নির্ভর সে গল্পের ঘোষণা মিডিয়াপাড়ায় যথেষ্ট শোরগোল তুলে ফেলেছে এরই মধ্যে। ঋদ্ধ কি পাবে এই সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে নাম লেখানোর সুযোগ? আমিই ইন্ডাস্ট্রি, আমার জোরেই সিনেমা চলে - এককালের এরকম অহংকারী মানসিকতার নায়ককে আজ তার পড়ন্ত বেলায় শেষ সুযোগ দিতে চায় না পরিচালক অনন্য। ঋদ্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তার দিন শেষ। এই বরফ কি গলে আদৌ, দু'জনের মাঝে? মহানায়ক ঋদ্ধের কি সুযোগ হয়, অনন্যের সিনেমায় কাজ করার? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উল্টোতে হবে বইয়ের বাকি পৃষ্ঠাগুলি।
.
উপন্যাসটির কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরি।
.
প্রথমত, এ উপন্যাসের সবচে শক্তিশালী দিক আমার যেটা লেগেছে, তা হচ্ছে উপন্যাসটির বুনট। ঔপন্যাসিক প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলেন, তিনি কোন গল্পটি কীভাবে বলতে চাচ্ছেন তার পাঠকদের। ছোট ছোট, ২-৩ পাতার এক একটি অধ্যায়। বেশ ক'জন মানুষের জীবনের কাহিনী ৫ ফর্মার ছোট ফ্রেমে বলেছেন তিনি। অথব গল্পের ফ্লো খুবই মসৃণ, কোহিয়ারেন্ট। কোন জায়গায়ই খাপছাড়া লাগে নি। পেইজ টারনিং নভেল বলতে যা বোঝায়, একদম সেটাই।
.
দ্বিতীয়ত, অনন্য আর ঋদ্ধ - এই দুই মূল চরিত্রের নির্মিতির পাশাপাশি, উপন্যাসটিতে আরও যে সমস্ত চরিত্র উপস্থিত - তাদের নির্মিতিতেও যথেষ্ট যত্নের ছাপ ছিল। পরিচালক অনন্য'র স্ত্রী ঋতু, ফুটন্ত গোলাপের মতো সুন্দরী নবাগতা নায়িকা নিম্মি, মেকআপ আর্টিস্ট বান্টি, নায়ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্যেও সাইড নায়কের রোল প্লে করে জীবন পার করা অভিনেতা অমল, শরীর সর্বস্ব অভিনেত্রী জুলিয়া - এদের সবার হয়ে ওঠার গল্প আছে এই উপন্যাসে। পূর্বপর, মোটামুটি যত্ন সহকারে ডিটেইলিং এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
.
তৃতীয়ত, উপন্যাসের ছোট ফ্রেমের মাঝেও চরিত্রগুলির অন্তঃদ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তুলেছেন ঔপন্যাসিক বেশ সুচারুভাবে। ঋদ্ধ - অনন্যর ইগোর ক্ল্যাশ ছাড়াও, নায়ক হবার সম্ভাবনা থাকা সত্যেও পার্শ্ব নায়কের জীবন পার করা অমল, অমলের স্ত্রী - নিপাট সাধারণ মেয়ে সঞ্চিতা - যে নিজের স্বামীর আলো ঝলমলে জীবনের সঙ্গে বেমানান হওয়ায় স্ত্রীর মর্যাদাটুকু যেমন করে চেয়েছে তা পায় নি কোনদিন, ব্যস্ত পরিচালক অনন্যকে কাছে না পাওয়ায় , এবং অনন্যকে ঘিরে অন্য নায়িকাকে নিয়ে গুজব রটে যাওয়ায় অনন্যের স্ত্রী ঋতুর একটা ফ্যাশন হাউজ খুলে অনন্যের স্ত্রী'র ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজের পরিচয়ে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা, নায়ক ঋদ্ধের পরিণত বয়সের মনের টান আবার ঋতুকে ঘিরে - এ সব, এবং আরও অনেক ছোট ছোট ঘটনায় উপন্যাসের চরিত্রগুলি জীবন্ত হয়ে ওঠে।
.
চতুর্থত, উপন্যাসে একজন ঔপন্যাসিক যে রেফারেন্সগুলো ব্যবহার করেন, তা থেকে তার পঠনপাঠন, অভিজ্ঞতা ও মানসজগতের ব্যাপারে বেশ ধারনা পাওয়া যায়। ঔপন্যাসিক উপন্যাসে বিখ্যাত সিনে ম্যাগাজিন বলতে বারবার উল্লেখ করেন আনন্দধারা পত্রিকার নাম, আমার বাবা যে পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার জন্মলগ্ন থেকে, এবং আমি নিজেও এই পত্রিকায় লিখেছি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও, উপন্যাসে হুটহাট চলে আসে কোল্ডপ্লে ব্যান্ডের গানের কথা, মহাভারতে অর্জুন - দ্রৌপদির রেফারেন্স। খাবারের নাম, এমনকি মদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম এতো দারুন নৈপুণ্যের সঙ্গে ঔপন্যাসিক বর্ণনা করেন যে, বোঝা যায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে তিনি লিখেছেন এই উপন্যাস।
.
পঞ্চমত, উপন্যাসটির অধ্যায়গুলো প্রায়ই শেষ হয় কাব্যিকতা ও দার্শনিকতায় মোড়ানো ছোট ছোট পঙক্তি দিয়ে, যা উপন্যাসটি রচনার করবার সময়ে লেখকের সিরিয়াসনেসের চিহ্ন বহন করে।

উদাহরণত - পরিচালক অনন্যের প্রেমে কাতর নতুন নায়িকা নিম্মির বিরহ সংক্রান্ত একটি অধ্যায়ের শেষ দুটো লাইন -
.
"সব রাতে জোছনা নামে না। তবে জোছনার অপেক্ষায় কালরাত্রিগুলোও ঠিক কেটে যায়।"
.
সমালোচনার মধ্যে আমার এই বলার আছে যে - দেশের সবচে বড় পরিচালক হিসেবে অনন্যর উত্থানের গল্পটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নি। সিনেমার ডিরেকশনে আসার আগে সে সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করতো। সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করা থেকে শুরু করে নায়ক হওয়া সম্ভব, কিন্তু পরিচালক, বিশেষত অনন্যকে যে ক্লাসি রুচিশীল পরিচালক হিসেবে উপন্যাসে উপস্থিত করা হয়েছে, ওরকম জহির রায়হান, ফারুকি, বা সৃজিত মুখারজি টাইপের পরিচালকে পরিণত হওয়া খুবই খুবই রেয়ার। এছাড়াও, বাংলা ভাষায় লেখা এ উপন্যাসে ব্যবহৃত ইংরেজি শব্দ ইংরেজি বানানে লেখাটা চোখে খটকা সৃষ্টি করেছে। এটা দস্তুর নয়। যে ইংরেজি শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহৃত বাংলায় ঢুকে গেছে, আমরা তা বাংলাতেই লিখি। আরও খুঁটিনাটিতে গেলে সমালোচনা করবার মতো আরও কিছু পয়েন্ট হয়তো খুঁজে পাওয়া যেতো, তবে, আমার মনে হয় না তার প্রয়োজন আছে।
.
উপন্যাসটি একটি রেগুলার এন্টারটেইনমেন্ট ঘরানার বই। পাঠককে জ্ঞান দেবার কোন আকাঙ্ক্ষা লেখকের ছিল না। বরং পাঠ শেষে পাঠক একটা তৃপ্তি নিয়ে বইটা গুছিয়ে রাখবেন বুক শেলফে, এটাই ছিল লেখকের আকাঙ্ক্ষা। যেমনটা কিনা উপন্যাসের শুরুতে, মুখবন্ধে ঔপন্যাসিক নিজেই বলেন -
.
"'ভিন্নধর্মী' শব্দটা নিয়ে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। এক লেখক ভূমিকায় তার উপন্যাস নিয়ে লিখেছিলেন, 'অত্যন্ত ভিন্নধর্মী'। আমিও অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়লাম এবং যারপরনাই হতাশ হলাম। শেষ পাতা অবধি যেতে পারি নি। তাই বলতে পারছি না এ উপন্যাস ভিন্নধর্মী। বিভ্রান্ত করতে চাই না। তবে পাতা উল্টাবার এ যাত্রা পাঠককে হতাশ করবে না আশা রাখছি।"
.
হুমায়ুনীয় ঘরানার একটি উপন্যাস এটি, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলা, সংলাপ রচনা, অথবা চরিত্র নির্মাণের কোন ছাপ নেই এই উপন্যাসে। ভাষা ঝরঝরে, আত্মবিশ্বাসী। বইটা যে কোন ক্লান্ত অবসন্ন, অথবা অখণ্ড অবসরের দিনে পাঠককে এন্টারটেইন করতে সক্ষম হবে।
.
শব্দভূমি প্রকাশনা এবং তার সত্ত্বাধিকারী শারমিন তানিকে শুভেচ্ছা এ সুখপাঠ্য উপন্যাসটি প্রকাশে। উপন্যাসের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট কাভার ডিজাইনের জন্যে প্রচ্ছদ শিল্পী সাদিতউজ্জামানকেও অভিনন্দন। পুনরায় অভিনন্দন মুনীরা কায়ছানকে, তার এ উপন্যাসের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×