খুব করে চাচ্ছিলাম যেন চলমান এই আন্দোলনে রাজনীতি না ঢুকে পড়ে। প্রথম কিছুদিন আশাবাদী থাকলেও ৩/৪ দিন পরেই বুঝতে পারছিলাম কি যেন একটা রাজনীতি এর ভেতর ঢুকে পড়ছে।
আজকে কেন শুধু মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করার দাবি উঠছে? মাহমুদুর রহমান ভালো কি খারাপ সেটা আলোচ্য বিষয় নয়। পত্রিকায় যা লেখা এসেছে তা কি আসলেই মিথ্যা ছিলো? যদি না হয় তবে এই গ্রেফতারের দাবি কতটা যৌক্তিক? আর এই সংবাদ তো ইনকিলাব, নয়াদিগন্ত সহ অনেকগুলো পত্রিকায় এসেছে। তবে তাদের সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন একই দাবি উঠছে না? গণজাগরণ মঞ্চে রাজনীতি ঢুকে নাই বলে যারা গলা ফাটাচ্ছেন তাদের কাছেই এসব প্রশ্ন। ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদ করতে গেলে কথা উঠে সবাই নাকি আন্দোলনকারিদের বিভ্রান্ত করতে চায়। রাজাকারের ফাঁসি যদি এক দফা এক দাবি হয় তবে এসব দাবি করে আন্দোলনের মোড় কোনদিকে ঘুরাতে চান এই ডা: ইমরান সরকার? এখন কি পথ হারাচ্ছে না শাহবাগ চত্বর? উনি ইদানিং বড় নেতা হয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে সাধারণ জনতার লাইনে না দাড়িয়ে উনি মন্ত্রীদের সাথে ভিআইপি সেজে ফুল দিলেন। আন্দোলনের গতিপথ কি হবে জানিনা তবে উনি যে পরের ইলেকশনে একজন আওয়ামি প্রার্থী তাতে কোন সন্দেহ নাই।
টকশো গুলোতে হুজুর, ইমাম এনে দেখানো হচ্ছে রাজিব একজন সজ্জন ছেলে আরো কত কি। কিন্তু আমরা যারা ব্লগ, ফেসবুকে নিয়মিত তারা কি এদের সম্পর্কে কিছুই জানিনা?একজন হুজুর কি করে জানবে ব্লগে রাজিব বা আসিফ কি লিখলো!
সাধারণ মানুষ ভোদাই না। সরকার বা মিডিয়া চাইলেই মানুষকে ভোদাই বানাতে পারবে না।
চলমান গণ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা অমি রহমান পিয়ালের কভার ফটোতে লেখা
"When you play with gentlemen, you play like a gentleman. But, when you play with bastards, make sure you play like a bigger bastard. Otherwise you will lose."
এরপরও কি বুঝতে কিছু বাকি থাকে কে কি নিয়ে খেলছে?
পতাকা পোড়ানো, মসজিদে আগুন কিংবা বইমেলায় আগুন সবই কি এই নোংরা রাজনীতির খেলা নয়??!
জামাতের কাছে যেমন ইসলামের ঝান্ডা কেউ লিজ দেয় নাই তেমনি আওয়ামি লীগের কাছেও কেউ স্বাধীনতা রক্ষার বর্গা দেয় নাই। স্বাধীনতা আর ধর্ম নিয়ে নোংরা রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হোক।