আজ রায় হলো বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচারের। জানিনা কতটুকু ন্যায়বিচার হলো। আমার বুঝতে খুব কষ্ট হয় পিন্টু আর তোরাব আলী'র মত লোকেরা এতবড় একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে?
অনেকগুলো প্রশ্ন মনের মাঝে, উত্তর খুঁজে পাই না কিছুতেই।
১। গোয়েন্দা বাহিনীর ভুমিকা:
২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, ঘটনার ২ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী পিলখানায় এক অনুষ্ঠানে যান। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী যে জায়গায় যায় তার অনেক আগে থেকেই ঐ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয় থাকে। এখন প্রশ্ন হলো এতবড় একটা ঘটনা ঘটবে এটা কি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কেউ টের পাননি? এত লিফলেট ছড়ানো হলো সেটাও কারো চোখে পড়ে নাই? সাহারা খাতুন, নানক, তাপস, আজম এদের সাথে দফায় দফায় এত মিটিং হলো সেটাও কারো নজরে পড়লো না??
যদি সত্যি তারা না জেনে থাকেন তাহলে এসব অকর্ম লোকদের কেন রাখা হয়েছে? কেন তাদের কোন বিচার হয় নি? আর যদি তারা জেনে থাকেন তবে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়া হলো না?
২। ফোনের সূত্র:
তদন্তে এসেছে তোরাব আলি ঘটনার আগের কয়েকদিন বিদেশে থাকা এক মন্ত্রীর সাথে কয়েক দফা ফোনে কথা বলেছেন। তখন বিদেশে থাকা মন্ত্রী ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ! যিনি ঘটনা ঘটার ২ মাস পর দেশে আসেন ব্যক্তিগত ছুটি কাটিয়ে!! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন মন্ত্রী কি করে এতবড় একটা ঘটনা ঘটার পরও ব্যক্তিগত কারনে ছুটি কাটান আমার বোধগম্য নয়।
৩। আইএসআই যোগসাজগ:
এতদিন পর একটা রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে আইএসআই এর যোগসাজগে সাকা চৌধুরীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটেছে! যদি তাই হয় তবে বিচার প্রক্রিয়ায় কেন এগুলো আগে এলোনা একবারের জন্যেও যেখানে তাপস, সাহারা, নানক, আজমদর নাম এসেছে বারবার?
৪। সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট:
কি আছে সেনাবাহিনী'র তদন্ত রিপোর্টে যেটা প্রকাশিত হয়নি এখনও? জনগনের কি জানার অধিকার নাই আসলেই কি ঘটেছিল সেদিন?কেন এতগুলো সেনা সদস্যদের মেরে ফেলা হলো নৃশংসভাবে?
সত্য কখনো চাপা থাকে না। একদিন সত্যটা সবাই জানবে। প্রতিক্ষায় আছি সেদিন টার।যারা জীবন দিলেন নিহত সেনাসদস্যসহ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাও।