ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষক অভিমানে যখন ধানের ফসলের জমিতে আগুন দেয় তখন বেপারটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে,
.
সহজ সরল প্রতিবাদ, 'আর করবো না ধান চাষ, দেখবো তোরা কি খাস!'
.
তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন 'ভারত দুই বছর পর পর গুদাম খালি করে, সেই পুরনো চাল বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে এনে আমাদের খাওয়ায়' ফলস্বরূপ বাংলার কৃষক দাম পাচ্ছে না ধানের,
.
কৃষক বাঁচাতে চাল আমদানির উপর তখন দশ শতাংশ টেক্স চালু করা হয়েছিলো!
.
সেই সময় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলো,
.
এরপর হঠাৎ করে দেশে বন্যা বৃষ্টি দেখা দেওয়ায় দুই বছর আগে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় ফলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে সরকার চাল আমদানির উপর শুল্ক কমিয়ে আনে!
.
কিন্তু সরকার দশ লাখ টন ঘাটতির আশংকায় ট্যাক্স বাদ দেওয়ার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রায় ষাট লাখ টন চাল আমদানি করে বসে আছে,
.
এদিকে দেশে খাদ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে! ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণ! কিন্তু আরো কয়েক লাখ টন চাল আমদানির অপেক্ষায় আছে! ভাবা যায়!
.
একদিকে ভারত স্বার্থ, অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সর্বোপরি কৃষকের স্বার্থ মিলে ত্রিমুখী গেরাকলে বাংলাদেশ,
.
কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ অপরদিকে ভারত বাঁচলে বাঁচবে....(কমুনা)...সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা লালে লাল হচ্ছে বেশ্
.
এবার বাজেটের আগে আলোচিত হচ্ছে প্রায় দ্বিগুন ট্যাক্স আরোপের পর বেনসন বিশ টাকা গোল্ডলিপ সতের টাকা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনার বিষয়টি,
.
কিন্তু, কোথাও চাল আমদানির উপর ট্যাক্স বাড়ানোর দাবী চোখে পড়লো না!
.
উল্টো দেখলাম 'ধানের বাম্পার ফলন হওয়াকে কম দামের জন্য দায়ী করা হচ্ছে' মর্মে বিভিন্ন চটকদার নিউজ! ভিউজ!
.
এদিকে এক মন ৫০০ টাকার ধান খোসা ছাড়িয়ে চাল বানালে ২৭ কেজি হয় তা প্রায় ১৫০০ টাকা বিক্রী করে মাঝখান দিয়ে ১০০০ টাকা লাভ করে নিচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা,
.
অথচ এক বিঘা জমিতে ধান চাষে কৃষকের খরচ যদি আঠারো হাজার টাকা হয় তাহলে সে তার সময় শ্রম সাধ্য সব উজাড় করে দেওয়ার ফসল ধান বিক্রী করে পাচ্ছে সতের হাজার টাকা মাত্র!
.
তারপরেও নাকি বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ! কৃষক নাকি আমাদের গর্ব!
.
সত্যি বলতে, কৃষকের কান্না হয়তো রোদে শুকায় নতুবা বৃষ্টিতে মিশে রয় আর মাঠিতে পড়লে ফসল দ্বিগুণ ফলে অভিশাপ বয়ে আনে!