করোনায় প্রায় সব দেশ আক্রান্ত হয়েছে আমি যা চেষ্টা করেছি তা হলো কমপক্ষে ১০০ জনের উপরে মারা গিয়েছে সেসব দেশের মার্চ মাসের আবহাওয়া সম্বন্ধে একটু ধারণা নেওয়ার চেষ্টা!
.
ইতালীর উত্তরে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ১৩, মধ্যমে ৭ থেকে ১৬ আর দক্ষিণে ১০ থেকে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫০৩ জন,
.
স্পেনে উত্তরে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৪ থেকে ২০ আর দক্ষিণে ৯ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬৪৭ জন,
.
চায়না'তে উত্তরে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ থেকে ১২ আর দক্ষিণে ১০ থেকে ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩২৮৭ জন,
.
ইরানে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০৭৭ জন,
.
ফ্রান্সে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৮ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৩১ জন,
.
আমেরিকায় মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৬.৮ থেকে ১৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০৩২ জন,
.
যুক্তরাজ্যে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবরং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬৫ জন,
.
নেদারল্যান্ডে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫৬ জন,
.
জার্মানিতে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০৬ জন,
.
বেলজিয়ামে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসকরোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৮ জন,
.
সুইজারল্যান্ডে মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ থেকে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৩ জন,
.
সাউথ কোরিয়ায় মার্চ মাসের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৩১ জন,
.
একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবেন সর্বোচ্চ মৃত্যুহারের প্রায় সব দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কিন্তু ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে,
.
বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস হলো গ্রীষ্ম কাল এবং এই সময়গুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ৩৮ ডিগ্রা সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে,
.
আমাদের দেশে করোনাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যদিও আমরা অনেকে তা বিশ্বাস করিনা কারণ অাক্রান্ত নির্ভর করে সনাক্তের উপর ভিত্তি করে, মৃত্যু হারও তেমনি!
.
তবুও আমরা সবাই খুবি ভয়ের মধ্যে আছি কারণ আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল ডাক্তারদেরও পর্যাপ্ত পিপিই কিংবা চিকিৎসা, সচেতনতা নেই, করোনা রুগী মনে হলে এখন হাসপাতালগুলোতে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা ৷
.
আমাদের একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো সচেতনতা, বাসায় থাকা আর শেষ ভরসা আবহাওয়া,
.
আল্লাহর রহমতে তাপমাত্রা আমাদের পক্ষে আছে, অশেষ শুকরিয়া নাহলে মনে হচ্ছে বাসায় রাস্তায় রেস্তোরায় কেবলি লাশের পাহাড় পরে থাকতো....!
.
এখনো ভয়ে আছি....., বাসায় আছি, ইনশাল্লাহ কাজ ছাড়া বের হবো না, চবির শোভাকলোণীতে আমার বাসার কয়েক বাসা পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে আছে একটি প্রবাসীর পরিবার....!
.
এলাকাবাসী প্রশাসন প্রক্টর যথেষ্ট সচেতন, বেপারটা আশার আলো! আমি আপাতত ফ্যান বন্ধ করে ঘামছি...! হট্ লাগছে!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫