দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয় তবে দাগ ই ভালো,
.
গুজব রটালো করোনা মুক্তিতে থানকুনি পাতা খাবেন কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করবেন থানকুনি পাতা ঠান্ডা ও কাশি সারাতে আদিকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে,
.
নতুন করে গুজব সৃষ্টি হলো, করোনা মুক্তিতে গোল মরিচ লং কালোজিরা মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে বলে একটি শিশু মারা গেছে, তবে এই উপাদানগুলো কিন্তু সর্দি কাশি ঠান্ডা নিরাময়ের টোটকা!
.
কয়েকটা গুজব মার্কেট পাইনি, যেমন গরম পানির সাথে হলুদের গুড়া মিশিয়ে খাওয়া, তবে মনে রাখবেন করোনা কিন্তু ফুসফুসে আঘাত হানে আর ফুসফুস রক্ষায় হলুদের বিকল্প নেই,
.
বাদ দেন করোনা, একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে এসব উপাদানগুলো যেমন পরিমিতভাবে আদা রসুন দারচিনি এলাচি খাওয়া দরকার যা আপনি পৃথিবী বিখ্যাত ডাক্তারদের টিউবিং চ্যানেল নিয়ে একটা ঘাঁটাঘাটি করলে পরিষ্কার হয়ে যাবেন!
.
অদ্ভুতভাবে করোনা মুক্তির এসব গুজবগুলো কিউট ছিলো, সেগুলো অন্তত ছেলে ধরা সন্দেহে পিটিয়ে মানুষ মারার মতো না,
.
তারপর বলা হলো ভাইরাসটি কন্ঠনালীতে চারদিন অবস্থান করে সুতরাং বেশী বেশী গরম পানি দিয়ে গলগলা করবেন, এটা আরো চমৎকার ছিলো! স্বাস্থ্য উপকার আছে,
.
তারপর দেখেন সার্জারিক্যাল মাস্ক নেই তাই নিরুপায় হয়ে প্রায় সবাই কাপড়ের কিংবা বাজারের ব্যাগের মাস্ক যা বলেন না কেনো, ভাইরাস মুক্তির গ্যারান্টি না থাকলেও কিন্তু ব্যাকটেরিয়া কিংবা ধূলোবালি থেকে তো মুক্তি মিলবে,
.
আমি মন্দের ভালোর মধ্যেও আশার আলো দেখি!
.
যদি গুজব রটে ১৪ দিন আগে ঘর থেকে বের হলেই জ্বিনে ধরতেছে, তাতেও আমি খুশি হবো,
.
ছোট বেলায় নানু দাদুরা বাহিরে মিথ্যে কাল্পনিক বিড়ালের ভয় দেখিয়ে আমাদের মতো ডানপিটে ছেলেদের বাসায় আটকিয়ে রেখেছিলো!
.
কিন্তু ভারতে যে গোমুত্র পানে করোনা ভালো হবে গুজব লক্ষ লক্ষ শেয়ার হয় সেগুলোর তুলনায় আমাদের গুজবগুলো কতটা উপকারী একবার ভেবে দেখুন,
.
বিদেশে অ্যালকোহলে করোনা মুক্তি গুজবে কত মানুষ অসুস্থ হলো সেই তুলনায় আমাদের গুজবগুলো তো মাখন,
.
করোনা ভাইরাস নিয়ে সমগ্র পৃথিবীতে অসংখ্য গুজব রটেছে, এমন কি গুগুল সৃষ্ট গুজব বা ভুল তথ্য অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে!
.
আইসক্রিম, দুধ খেলে করোনার ঝুঁকি বেশী এমন ভাইরাল হওয়া তথ্যগুলোকে স্বয়ং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে,
.
করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে তিন বছর থেকে শুরু করে যাবত জীবন সাথে ৭ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা ঘোষণা করেছে আরব আমিরাত!
.
কারণ তারা মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে জনমনে প্যানিক সৃষ্টি করে,
.
তবে মৃত্যুর সংখ্যা লুকিয়ে জনগনকে আশ্বস্ত করার ফলও সুফল বয়ে আনবে না!
.
সত্য তুলে ধরতে হবে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা খুঁজে বের করে, সামগ্রিক অবস্থা জানার অধিকার সব নাগরিকের...!
.
আরেকটি কিউট গুজব মনে পরলো, ফ্রিজে বেশী মাছ মাংস মজুদ দেখলে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ এসে জরিমানা এবং ফ্রিজ ভেঙ্গে দিচ্ছে তারপর যে যার মতো রান্না কিংবা বিলানো শুরু করলো,
.
পণ্যদ্রব্য মজুদ নিয়ে এমন গুজব ছড়িয়ে দিলে বাজারে অন্তত জিনিসের দাম বাড়তো না!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৩