নাস্তিকদের অদ্ভুত যুক্তি শুনলে আর কথা বলতে মন চায় না। আমি তর্ক করি জানার জন্য মানার জন্য কিন্তু আপনারা তর্ক করেন তার উল্টো।
নাস্তিক্য মানসিকতায় যারা ভুগছেন তাদের বলছি।কোন কিছু স্বীকার করার চেয়ে অস্বীকার করা সহজ কারন অস্বীকার করতে কোন যুক্তি লাগেনা আমি অস্বীকার করলে তোমার কি বলে পার পাওয়া যায় কিন্তু স্বীকার করতে যুক্তি লাগে কেন তুমি স্বীকার করছ, এখানে এটা বললে পার পাওয়া যাবেনা যুক্তি দিতে হবে। তাই আমি খুবই সাধারণ কিছু যুক্তি দিচ্ছি তবে বুঝতে চাইলে এটুকুনই যথেষ্ঠ আর না বুঝতে চাইলে হাজার যুক্তিতেও লাভ হবেনা।
একটা জিনিষ কিভাবে নিজ থেকে হতে পারে এটা কি কখনো ভেবেছেন? আচ্ছা আপনি কিভাবে হয়েছেন? নিশ্চই বলবেন প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী পিতামাতার মিলনের মাধ্যমে হয়েছেন। তাহলে সর্ব প্রথম যে মানুষটা হয়েছিল সে কিভাবে হয়েছে? তখন তো আর কেউ ছিলনা যে তাদের মিলনের মাধ্যমে হয়েছে। এখন আপনি যদি বলেন প্রকৃতিগত ভাবেই হয়েছে তাহলে আমার প্রশ্ন সব মানুষ তাহলে এভাবে প্রকৃতিগত ভাবেই হচ্ছেনা কেন পিতামাতার মিলনের মাধ্যমে কেন হচ্ছে?
আর আপনারা বলেন ধর্ম হল অলীক কল্পনা মাত্র তাছাড়া কিছুই নয়, যারা ধর্মানুসারী তারা সসকলেই মূর্খ তাহলে আমি বলব আপনারা কি পৃথীবির অধিকাংশ মানুষকেই মূর্খ বলছেন? আর আপনারা সংখ্যায় গুটি কয়েকজনই জ্ঞানি? আচ্ছা মানলাম আপনারাই জ্ঞানি তাহলে আপনারা তখন কোথায় ছিলেন যখন মানুষ ধর্মের অনুসারি ছিল আপনারা তখন তাদের কেন বুঝাননি যে তারা ভুল পথে চলছে। আর আপনারা বুঝাবেনই বা কি করে আপনারাতো তখন ছিলেনই না। আপনাদের ইতিহাসতো কয়েক শতাব্দি বা তার কিছু বেশি থেকে শুরু।
আপনারা আরেকটা কথা বলেন যে বিজ্ঞান যত প্রসারিত হচ্ছে ততো মানুষ বুঝতে শিখেছে এবং ধীরে ধীরে নাস্তিক হচ্ছে, আচ্ছা এই বিজ্ঞানের শুরু জানেন কোথা থেকে? এই বিজ্ঞানের শুরু হল সব আস্তিকদের থেকে পরবর্তিতে আপনারা তার ভুল ব্যাখ্যা বুঝে নাস্তিক্য মানসিকতায় ভুগছেন।
পরিশেষে বলছি কথার নাম লতা যতই বলবেন ততোই বাড়বে তাই আর কিছু বলতে চাচ্ছিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩