১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো বৈধ হোক আর অবৈধ হোক স্ত্রী নিয়ে নিজ কর্মস্থল/জেলা থেকে দূরে অন্য জায়গায় রিসোর্টে সময় কাটানোর?
২. ধরা খাওয়ার পর সবাই জানতে পারল, তিনি নাকি বন্ধুর বউকে 'মানবিক বিয়ে' করেছিলেন (মুরীদ দের বয়ান)। ইসলামে ৪ স্ত্রী রাখা জায়েজ আছে, তবে অবশ্যই সবার সাথে ইনসাফ করতে হবে। মাওলানা হওয়াতে এ ব্যপারে তেনার চেয়ে ভাল কেউ জানার কথা নয়। তো, সেই তিনি যদি ১ম স্ত্রীর কাছে অন্য বিয়ের কথা গোপন রাখেন বা দুই স্ত্রীর সাথে অর্থনৈতিক ও শারিরীক অসমতা করেন তাহলে সেটা কি ’ইনসাফ’ হল?
৩. মামুনুল হকের মুক্তিতে অনেকেই দেখলাম আলহামদুলিল্লাহ বলছে। অবশ্য বিশাল সংখ্যক ভক্তের কাছে তেনার ঐ কান্ড (৫০১) ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অপরাধ নয়। তাদের আর দোষ দিয়ে কী হবে? আমাদের দেশে কাদিয়ানীর যেমন অনুসারী আছে, ভন্ড দেওয়ানবাগীরও ভক্ত আছে অনেক, জাকির নায়েকের বিরোধীও আছে লাখ লাখ, আবার ডিজে তাহেরী কিংবা জোকার আফসারীরও অনেক ভক্ত আছে…
৪. শিরক ছাড়া যে কোন গুনাহ আল্লাহ মাফ করতে পারেন। মামুনুল হকও ক্ষমা চাইলে আল্লাহ মাফ করবেন। তবে এই কেলেংকারির পর তেনার আর উচিত হবে না ইসলামী রাজনীতি করা। কারণ, এসব লোক ইসলামী রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর…
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:১১