যে পুরুষ সিংহীর তুলনায় সিংহকে সুন্দর বলে, হরিণীর চেয়ে হরিণ কে সুন্দর বলে, কপতীর চেয়ে কপতকে সুন্দর বলে, ময়ূরীর চেয়ে ময়ূরকে সুন্দর বলে, মুরগীর চেয়ে মোরগকে সুন্দর বলে, গাভীর চেয়ে ষাঢ়কে সুন্দর বলে। সেই পুরুষ মানুষই কবিতায় লিখেছে “তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি গো প্রিয়া”, “চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার নিশা”।
মানুষের চর্ম চক্ষু প্রানীজগতের অধিকাংশ পুরুষ প্রজাতিকে সুন্দর আখ্যা দিলেও পুরুষ মানুষ নিজের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো আচরন করে যৌক্তিক কারনে। নিজের ডিএনএ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করার মাধ্যমে আপন চিহৃ দুনিয়ায় রেখে যেতে যে ভুমির প্রয়োজন তার মালিক মেয়ে মানুষ।
শুধুমাত্র এই একটি কারনে সিংহের চোখে সিংহী সুন্দর, হরিনের চোখে হরিনীর টানা টানা চোখ বুকে ঝড় তোলে, ময়ূরীকে মজাতে ময়ূর পেখম মেলে নাচে, গিরিবাজ কৈইতর আকাশে উঠে ডিগবাজী খায়, মোরগ কক কককক কক করে ডাকে, আর আমরা পুরুষ মানুষ বলি “তোমার জন্য মরতে পারি ও সুন্দরী তুমি গলার মালা, তোমার জন্য বাজার থেকে আনছি সবরি কলা, কন্যা ছ্ল্লিা খাও।
এ সকল আচরন আসলে নিজের ডিএনএ পরবর্তী প্রজম্মে সঞ্চালিত করার জন্য ভুমি বর্গা নেওয়ার ফন্দি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩