ডিম্বানু কখনই শুক্রানুর কাছে কাবিন নামা দেখতে চাই না। যদি দেখতে চাইতো তাহলে এমনটি হত না। মেয়েটি বেশ্যা নয়, প্রেমময় একজন নারী যে একজন পুরুষের দায়িত্বহীনতার স্বীকার। পুরুষ হিসাবে আমি লজ্বিত।
মজা নিচ্ছেন নেন সবাই। মজা নেওয়ার সময় এখন। মজা নেওয়ার আগে একটু উল্টো ভাবে ভাবুন সবাই। জুন মাসের কোন একদিন হয়ত মেয়েটি ছেলেটির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। হয়ত ছেলেটির জন্ম দিনে ছিল বলে দেখা করতে গিয়ে থাকতে পারে। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। পরিকল্পনার ছাড়াই ঘটে গিয়েছিল বলছি কারন পরিকল্পনা থাকলে আজ আমরা এ মজাটা নেওয়ার মওকা পেতাম না।
মাত্রই কয়েক মিনিটের সুখ। তারপর থেকে মেয়েটির মানুষিক যন্ত্রনার শুরু কিছু হবে না তো????? একটি একটি করে সে মাসের বাকি পনের বিশটি দিন পার করেছে। তার মনের ভেতরের ঝড় কেউ দেখতে পাইনি, কেউ না। তারপর কিছু ঘটে গেছে। তার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। মনকে বুঝ দিয়েছে মাঝে মাঝেই তো দেরী হয় মনে হয় এমনই দেরি বলে মনকে বুঝ দিতে চেয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন পর শরীর গুলিয়ে ওঠা বমি তাকে সর্ব ইন্দ্রিয় দিয়ে লুকাতে হয়েছে দিনের পর দিন।
ছেলেটির সাথে হয়ত কথা বলেছে। কি করা যায় পরামর্শ করেছে। ছেলেটিকে পাশে পাই নাই আমি নিশ্চিত। শুধু ছেলেটিকে না বরং এমন কাউকে পাশে পাই নাই যাকে তার এ লজ্বার কথা বলে সমাধানের কোন পথ পায়। একটি একটি করে দিন গেছে, মহাকালের সমান একটি একটি দিন। এ্যাবরশন করতে পারে নাই। সীকৃতিও আদায় করতে পারে নাই। দিনের পর দিন বমি আর পেটটাকে লুকিয়ে রাখতে হয়েছে।
মেয়েটি প্রতারনার স্বীকার হয়েছে। সকল র্ধষনের জন্য দায়ী যেমন পুরুষ মানুষ, মেয়েটির এহন অবস্থার জন্যও দায়ী একজন কুলাঙ্গার পুরুষ মানুষ।
আমরা অনেকেই মেয়েটিকে বেশ্যা, বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ্যা বিদ্যালয় বলছি। বলতেই পারি, আমাদের ফ্রিডম আফটার স্পিচ না থাকলেও ফ্রিডম অব স্পিচ আছে।
আমরা ক’জন ভাল ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সে দিন গুলিতে। মেয়েটি যা করেছিল আমরা ক’জন সুযোগ থাকা সত্বেও তা থেকে মুক্ত ছিলাম? বা এখনও সুযোগ ও নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত হলে মুক্ত থাকতে পারব? খুব বেশী জন না?
পার্থক্য শুধু মেয়েটি বোকা ও পরিস্থিতির স্বীকার। সে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না হয়েই ভালবাসার লীলায় মেতে উঠেছিল। আনকন্ডিশনাল ভালবাসায়। বিশ্বাস করেছিল একজন পুরুষকে যে কিনা সে বিশ্বাসের যোগ্য ছিল না। পুরুষ শব্দের অর্থ দায়িত্ববোধ যা কাপুরুষদের থাকে না। তারা আসলে নপুংষক।
মেয়েটি কেন আত্নহত্যা করে নাই??? কেন করবে??? বিশ্বাস করে, ভালবেসে কেন একজন আত্নহত্যা করবে। প্রতারকের আত্নহত্যা করা উচিত। ঐ কাপুরুষ পশু পুরুষ দেখ তোর ঐরশজাত বংশধর ট্রাংকের মধ্যে কেঁদে কেঁদে মরল। বেঁচে থাকলে বেশ্যা পাড়ায় তোর বংশধর বিক্রিও হতে পারত। রেল ইষ্টিশনে রাতে ঘুমাতেও পারত। পলিথিনে ভরে ডান্ডি শুকে শুকে ধুকে ধুকে মরত। ভাগ্যিস মরে গেছে। কার প্রতি প্রতিশোধ তোর।
মেয়েটিকে বেশ্যা বলে যে একটি আঙ্গুল তুলবে তিনটি আঙ্গুল নিজের অজান্তেই সে নিজের দিকেে তাক করবে।
বিয়ে কঠিন হয়ে গেলে সমাজে ব্যাভিচার বেড়ে যায়। বিয়েকে ও ডিভোর্স কে সহজ করার মধ্যে সমাধান আছে। সন্তান বৈধ বা অবৈধ যায় হোক না কেন তাতে সবচেয়ে বেশী লাভোবান হয় রাষ্ট্র। বিয়ে ও ডিভোর্স কে সহজ করে ও সচেতনতা সৃষ্টি করে রাষ্ট্র তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩