অর্থনৈতিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হওয়া বাংলাদেশের জন্য এবারই প্রথম নয়। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চ ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ, যার অংক সাড়ে চারশো কোটি ডলার। এ ঋণ নিয়ে এখন আইএমএফ এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে আইএমএফ বাংলাদেশকে শর্ত দিয়েছে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি তুলে নেবার জন্য। এজন্য সরকার এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অতীতেও ঋণ দেবার সময় ভর্তুকি তুলে নেয়া এবং নানা ধরণের সংস্কারের শর্ত বাংলাদেশকে মানতে হয়েছিল। এই ভাবে যদি ঋণের বদলে দেশের ভিতরের পরিচালনা কার্যকর্মে নাক গলায় তাহলে ত বলায় যায় যে আইএমএফ এর হাতে চলে চলে যাচ্ছে দেশ। নয় কি??
কিন্তু আমার প্রশ্ন হল বাংলাদেশ সরকার কেন ঋণ নিতে চাইছে??? আসছে কঠিন পরিস্থিতিতে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া কি আসলেই কণ্যণকর হবে?? নাকি হিতে বিপরিত হয়ে এই ঋণ গলায় কাঁটা হয়ে বধবে?? বিষয়টা ভাবনার।
এইদিকে আবার এই দেশেরঅই কিছু মানুষ আছে যারা দেশে বিভিন্ন পদের ক্ষমাতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে। অবশ্যই সরকার সব জানেন।
সুইস ব্যংকে এক বছরের ব্যবধানেই বাংলাদেশিরা জমা করেছেন আরও ৩০০০ কোটি টাকা, মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখিনা!!! “সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা টাকার পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালে সুইটজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আট হাজার দু'শ ৭৫ কোটি টাকা। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে, এই অর্থের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার তিনশ ৪৭ কোটি টাকা। সুইস ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে কয়েক বছরের যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে তাতে এই বৃদ্ধি এক বছরের ব্যবধানে সর্বোচ্চ। এই হিসেব অনুযায়ী, এক বছরেই সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ দু'হাজার নয়শ ২৮ কোটি টাকা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সেই পটভূমিতে পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার উদ্দেশ্যে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও কিছু সুযোগ রাখা হয়েছে।“
আপনি সরকার গুটি কয়েক জনকে দিবেন দেশের অর্থ অন্য দেশে নিয়ে লুকিয়ে রাখতে আর অন্য দিকে নিজ দেশের অবস্থা খারাপ বা ধ্বংস এর হাত থেকে বাচাতে আইএমএফ থেকে নিবেন ঋণ!!! হাসব নাকি কাঁদব??
সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ দিন। পরে না আবার পচলাতে হয়। অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিন।
তথ্যসুত্রঃ বিবিসি বাংলা (অনলাইন)