somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একঘেঁয়েমি কাটিয়ে উঠা দরকার খুব ( পুরানো সেই দিনের কথা) ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কদিন , আসলে বেশ কদিন ধরেই অনুজপ্রতিম সহকর্মী রিফাত প্রতিসপ্তাহে একাধিকবার ফোন করে খোচাচ্ছে একটা ছোটখাট ট্যুরে বের হওয়ার জন্য । তবে রিফাতকে মন্ত্রণাদাতা হচ্ছে আমার আরও এক অনুজপ্রতিম সহকর্মী মহসিন আর সদাহাস্যময় সহকর্মী সুমনভাই । রিফাত এর সাথে আমার সম্পর্ক খুবই আন্তরিক বিধায় আমাকে ট্যুরে বের হওয়ার জন্য চাপাচাপি করার দায়িত্ব রিফাতের উপর । আমি নিজে সবাইকে আপনি বলেই সম্বোধন করি এবং আমার সহকর্মীরাও আমাকে তাই করলেও কেবলমাত্র রিফাত আমাকে অন্যদের সামনে আপনি বললেও নিজেরা একান্তে থাকার সময় তুমি বলেই সম্বোধন করে । আমি অবশ্য আপনিই বলি । সবচে মজা লাগে যখন অন্যদের সামনে রিফাত আপনি বলে কথা শুরু করে নিজের অজান্তেই তুমি বলা শুরু করে দেয় । যাহোক ওদেরকে নিয়ে কোথাও একটু বের হলে আমারো ভালোই লাগবে , কাজের চাপে আমিও অতিষ্ঠপ্রায় , তাই ভাবলুম আমারো একটু বিরতি নেয়া দরকার ।

কিন্তু যাবোটা কোথায় ! রিফাতকে বল্লুম, "যাবেন কোথায়"?
উত্তর পেলুম, "আমি কি জানি ! অইটা তোমার দায়িত্ব , কই নিয়ে যাবা তাড়াতাড়ি ঠিক করো, আর মহসিনরে তোমার ফোন করা লাগবে না, তুমি কই নিয়ে যাবা ঠিক করে জানাও তাড়াতাড়ি, আমরা সময়মতো হাজির হয়ে যাব "।
সুমনভাইকে ফোন করলুম,উত্তর পেলুম, "ভাই আমি একটু জরুরী কাজে কাল ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছি, মালয়েশিয়া হয়ে ডিসেম্বার ২০শে ফিরবো , আপনিই সব ঠিক করেন যাতে ডিসেম্বার এর শেষে আমরা বের হতে পারি"
সাথে যোগ দিল আরও দুই অনুজপ্রতিম বন্ধু উজ্জল আর মাসুদ , তারাও যাবে আমাদের সাথে । ভালোই হলো , ছ জন মিলে বেশ একটা আনন্দময় ট্যুর আশা করলুম । আর কাউকে না পেয়ে ১৩ই ডিসেম্বার সন্ধায় উজ্জলের সাথেই বসলুম সবকিছু চুড়ান্ত করতে । ঠিক করলুম অন্যসময়ের চাইতে এবার একটু ভিন্নধাঁচের ভ্রমণ হবে ।

কোথায় আমি ভেবেছিলুম ওরা সব ঠিক করবে ! তা না , আমাকেই এখন সবকিছু ঠিক করতে হবে ।
" রানাভাই সেন্টমার্টিন যাই চলেন " প্রথমেই প্রস্তাব উজ্জলের ।
পুরনো স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে ছুটে এলো , কোনটা রেখে কোনটাকে বেছে নেই !

সেটা ২০০২ সনের কথা , ছাত্রত্বের অন্তিম পর্যায় তখন । তিন বন্ধু মিলে রোজার ঈদের চাঁদরাতে তুর্নানিশিথায় চড়ে ঈদের দিন ভোরে নামলুম চিটাগংয়ে । স্টেশনে অপেক্ষা করছিলো আরেক বন্ধু আতিক , ওর সাথে গেলাম ওদের বাসায় , ওয়াসার মোড়ের কাছেই । তাড়াতাড়ি গোসল করে ঈদের নামাজে গেলুম , জমিয়াতুলফালাহ মাঠে যে জামাত টা হয় ওখানে নামাজ শেষে আতিকদের বাসায় পেট ভরানোর পর এবার চারজনে মিলে চলে গেলুম কক্সবাজার যাবার বাস এর খোঁজে । সিনেমা প্যালেস মোড়ে অনেকক্ষন বসে থেকে অবশেষে বাস ছাড়লো । কক্সবাজার বাসস্ট্যান্ডে পৌছে ওখান থেকেই মাইক্রোবাস পেয়ে গেলুম , সোজা টেকনাফ । হিলটপ হোটেলে উঠে বাসায় আম্মাকে ফোন করে আশস্ত করলুম । পর্যটনের নেটং মোটেলটা তখন ছিল কিনা মনে করতে পারছিনা ।

সেদিন সন্ধেটা কাটলো বার্মিজ মার্কেটে ঘুরেফিরে , এক ট্যুরিস্ট মওলানা সাহেবের সাথে পরিচয় ও হলো, তারপরই জানলুম উনি আমাদের এলাকার ই অর্থাৎ নরসিংদির ই এক মাদ্রাসার শিক্ষক । পরদিন খুবই ভোরে রাতেই ঠিক করে রাখা রিকশা চেপে সবাই হাজির হলুম টেকনাফ সি বীচে , লোকে কক্সবাজার যায় , কিন্তু টেকনাফ সি বীচ অনেক বেশি সুন্দর । অনেকক্ষন সমুদ্রে ঝাপাঝাপি আর সি বীচে ছুটাছুটির পর হোটেলে ফিরে কোনমতে ফ্রেশ হয়েই ছুটলুম নৌকা ঘাটে (এখনকার মত জাহাজ সার্ভিস তখন ছিলই না ), কাঠের তৈরী ট্রলারে চেপে রওয়ানা হলুম সেন্টমার্টিনের পথে । ট্রলার ছাড়ার পরে আমাদের খেয়াল হয়েছিলো যে সকালে নাস্তা করা হয়নি , কিন্তু কাঠের তৈরী ট্রলারে চেপে এপথ পাড়ি দেয়ার অনুভুতি ক্ষিধেও ভুলিয়ে দিয়েছিলো । সাঁতার না জানা সত্বেও ভয় পাইনি একটুকুও । সেন্টমার্টিনে পৌছে হাটতে হাটতে হাজির হলুম দ্বীপের একমাত্র হোটেল 'অবকাশ' এ , যতদুর মনে পড়ে তখন এই একটাই হোটেল ছিল , প্রাসাদ প্যারাডাইস তখন তৈরী হচ্ছে কেবল ।

এবং হোটেল 'অবকাশ' এ কোন সীট খালি নেই , অবকাশ এর ম্যানেজার আলমভাই বারবার বলছেন , বেলা হয়ে গেছে আপনারা খাওয়া সেরে নিন । অর্থাৎ আমাদের থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেয়ার চাইতে খাবার বিক্রি করাটাই লাভজনক । যাহোক , খেতে বসে পরলুম , সকালে নাস্তা করিনি তাই যা খেলাম তাই অমৃততুল্য । খাবার পর আবার আলমভাইকে সবাই মিলে চেপে ধরলুম , একটা ব্যবস্থা করে দিতেই হবে , অগত্যা উনি বললেন পরদিন 'অবকাশ' এর মালিক নিজে আসবেন তাই উনার জন্য একটা রুম রেখে দেয়া হয়েছে , সেটায় আমরা থাকতে পারি তবে শুধু আজ রাতের জন্য , কাল রুম খালি করে দিতে হবে । তাই হোক তবে , আজ রাতের তো একটা ব্যবস্থা হলো , কালকের ভাবনা পরে ভাবব । হোটেল রুম এ ব্যাগ রেখে বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে পরলুম । সন্ধ্যায় আবার আলমভাইকে সবাই মিলে চেপে ধরলুম , একটা ব্যবস্থা করে দিতেই হবে । আলমভাই বললেন , " আপনারা এক কাজ করেন, দ্বীপের দক্ষিন দিকে শেষ প্রান্তে একটা রিসোর্ট তৈরী হচ্ছে , এখনো কাজ চলছে তবে কয়েকটা রুম তৈরী হয়েছে , আপনারা গিয়ে বলে দেখেন যদি থাকতে দেয় "

সেরাতেই ওখানে গেলাম , রিসোর্টের মালিক নিজেই উপস্থিত ছিলেন সেদিন , স্বপন ভাই পেশায় আর্কিটেক্ট্ , চমৎকার একজন মানুষ , আমাদের কথা শুনে বললেন , " আসলে আমরা এখনো রিসোর্ট ওপেন করিনি ,কয়েকটা রুম তৈরী হয়েছে কেবল , ঠিকআছে তোমরা থাকতে এসো কাল কিন্ত আমাদের ক্যান্টিন এখনো চালু করিনি, তোমাদের কে 'অবকাশ' এ যেয়ে খেয়ে আসতে হবে" । পরদিন 'অবকাশ' থেকে নাস্তা করে চলে গেলুম সেই রিসোর্ট এ , ঘনসবুজ কেয়াবন দিয়ে সীমানা ঘেরা অসাধারণ সুন্দর লোকেশনের এ রিসোর্ট মন কেড়ে নেয়ার জন্য যথেস্ট । রিসোর্টের সামনেই বালি আর প্রবাল ঘেরা সি বীচের পর খোলা সমুদ্র । পুরো বীচে কোথাও কেও নেই , মনে হচ্ছিল যেন এটা এ রিসোর্টের নিজস্ব সি বীচ । পাশেই কচ্ছপ প্রজনন প্রকল্প , স্বপন ভাই জানালেন , রাতে সামুদ্রিক কাছিম এই বীচে ডিম পাড়তে আসে । শুনেই মনে হলো যদি দেখতে পারতাম ! স্বপন ভাই তার লোকজন দিয়ে রিসোর্টের সামনেই সি বীচে বালির ওপর ত্রিপল দিয়ে তাঁবু টানিয়ে দিলেন , বললেন, "তোমরা চাইলে রাতে এখানেও থাকতে পারো"।

আমরা ঠিক করলুম হেটে ছেঁড়াদ্বীপ যাবো , তখন সকাল ১০টা , একটুপর বেড়িয়ে পড়লুম , স্বপন ভাই অবশ্য বলছিলেন যে তোমরা টাইমিং এ ভুল করছো , একটুপরেই সমুদ্রে জোয়ার আসবে । কে শোনে ওসব , বেড়িয়ে পড়লুম , এবং হেটে হেটে ছেঁড়াদ্বীপ পৌছেও গেলুম , যাবার পথে সমুদ্রে জোয়ার থাকার কারনে যাবার পথ পানির নিচে , পা টিপে টিপে , ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে সে পথ পার হওয়া এক অসাধারণ অনুভূতি । ছেঁড়াদ্বীপ থেকে ফেরার পথে অবশ্য সমুদ্রে ভাটা পড়ে গিয়েছিল ।

রাতে 'অবকাশ' এর ক্যান্টিন থেকে খেয়ে এসে রিসোর্টের বারান্দায় বসলুম , স্বপন ভাইও এসে আমাদের সামনে বসলেন , অনেক গল্প হল , নিজের কথাও বললেন , আমাদের কথাও জানতে চাইলেন, তারপর জানতে চাইলেন আমরা কেউ গান গাইতে পারি কিনা , ওদিকে আমরা সবাই অপারগ হওয়াতে, স্বপন ভাই নিজেই গীটার বাজিয়ে গেয়ে শোনালেন অনেকগুলো গান , শেষ করলেন 'সীমানা পেরিয়ে' গানটি দিয়ে । রাতের সমুদ্র গর্জনের আবহসঙ্গীতে গানমুখর সে রাত । ও হ্যা রিসোর্টটার নামও ছিল সীমানা পেরিয়ে ।

পরদিন সকালে হাটতে বেড়িয়ে জেলেদের কাছে পেয়ে গেলুম বিশাল সাইজের দুই লবস্টার এবং কিনেও ফেললুম । কিনে তো ফেললুম এখন খাবো কি করে ! 'অবকাশ' এর ক্যান্টিন থেকে বললো তারা রান্না করে দিতে পারবে না , এবার ট্রলার ঘাটের সাথেই একটা দোকান থেকে ছোট বোতল সরষে তেল কিনে আবার স্বপন ভাই এর শরণাপন্ন হলুম , ওনার রান্নার সরন্জাম থেকে একটু গুড়া মশলা আর একটা কড়াই ধার নিয়ে , ইটের টুকরো দিয়ে চুলো বানিয়ে , শুকনো কেয়াপাতা পুড়িয়ে মাছ ভেজে ফেললুম । আমরা খুবই বোকা ছিলাম তখন , তা নাহলে লবস্টার দুটো খাবার সময় স্বপন ভাইকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভুলে গিয়েছিলাম কি করে ! সেদিন ই দুপুরে ফেরার জন্য ট্রলার এ উঠে পড়লুম । টেকনাফে ফেরার পথেও দুরাত ছিলুম । টেকনাফ থেকে ছোট জীপ( চাঁদেরগাড়ী) ভাড়া করে সি বীচ দিয়ে সাগরের ঢেউ ছুঁয়ে শামলাপুর বাজার পেরিয়ে আরো কিছুদুর পর্যন্ত গেলুম ।

সেন্টমার্টিনে এর পরেও আরো কয়েকবার গিয়েছি । প্রতিবারই 'সীমানা পেরিয়ে'তেই উঠি । ওই রিসোর্টের প্রথম গেস্ট আমি হওয়াতে অতিরিক্ত খাতির যত্নও পাই । শেষবার যখন যাই , স্বপন ভাই বলেছিলেন , " তুমি যখনি আসবে , শুধু তোমার জন্য ডিসকাউন্ট থাকবে , সীজনে রুম ভাড়া তে ২৫% আর অফ সীজনে এলে তুমি শুধু ফুডচার্জ দেবে , রুম ভাড়া তে ১০০% ডিসকাউন্ট থাকবে শুধু তোমার জন্য । কিন্তু আর যাওয়া হয়ে উঠেনি ।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×