somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিভিতে রাজনৈতিক পর্ণোগ্রাফী দেখি......

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওয়ান ইলেভেন এর পরে টিভি দেখার ব্যাপারে আমার আগ্রহ কমে গিয়েছিল। বিভিন্ন চ্যানেলের সাংবাদিকরা কোন হট আইটেম দিতে পারে না। সব কেমন যেন ম্যান্দা ম্যান্দা মনে হয়। যুব মহিলা লীগের একশন নাই,মওদুদের সুললিত বাণী নাই ..ধ্যাত্তেরি।

তো,গতকাল থেকে হঠাৎই আমার অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। নতুন পর্ণোগ্রাফী খুজে পেলাম টকশো গুলোতে। দেখে ফেললাম তৃতীয় মাত্রা,অন্য দৃষ্টি আর পাবলিক ফোরাম নামের তিনটি টক শো।

আমি আগে আশ্চর্য হতাম যে বাঙালির মাঝে কেন মেরুদন্ড অলা মানুষের এতো অভাব।ইদানিং আশ্চর্য হই না,বিনোদিত হই।

তৃতীয় মাত্রায় কালকের আলোচক ছিলেন শফিকুল গনি স্বপন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কলিমুল্লাহ ।আরে ভাই,তাদের গদগদ অবস্থা যদি দেখতেন!!!! দুজনেই গলায় রক্ত তুলে বলছেন, আর্মিকে স্থায়ী ভাবে দেশের প্রশাসনে রাখতে হবে। গনতন্ত্র ফিরলেও,একটা চেক আর ব্যালেন্স এর জন্য নাকি আর্মি বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যাবে সিভিল প্রশাষনের মধ্যে!!! আমাদের সেনাবাহিনী নাকি পৃথিবঅর সবচেয়ে দক্ষ সেনাবাহিনী,এরা একটি শৃংখলা পূর্ণ জীবন যাপন করেন এবং এদের নাকি এখন সময় এসেছে দেশ কে কিছু দেবার!!!!!

আমি প্রথমে মনে করলাম ভুল শুনেছি,তারপর কান রগড়ে দেখি নাহ্,আমাদের তালেবররা ঠিক এ কথাগুলোই বলছেন।এই ছাগল দুটিকে কেউ কি বলে দেয়নি যে সেনাবাহিনীরে পেলেপুষে বড়ো করেছি দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য,দেশের পাছায় মরিচ ডলা দেয়ার জন্য নয়।দেশের ভিতরে সিভিল প্রশাষনে ছড়ি ঘুরাবার জন্য তাদের কে ডেকে আনার কোন দরকার নেই।

তৃতীয় মাত্রায় এর আগের দিন আরো দুই আলোচক ছিলেন। এদের একজন একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং নিউনেশন পত্রিকার বিশেষ সংবাদাতা। অন্য জন সাবেক উপমন্ত্রী।(স্যরি,দুজনেরই নাম মনে নেই। দেশে সাবেক মন্ত্রী আর বর্তমান অধ্যাপকের অঢেল সাপ্লাই,আমার পক্ষে তো সবার নাম মনে রাখা সম্ভব না।)

কালকের দুই আলোচককে ছাগল বললে আগের রাতের দুইটারে বলতে হয় বদ্ধ উম্মাদ!!! অধ্যাপক যেজন,তার মানসিক সুস্থতা যে নেই,এ ব্যাপারে আমি যে কাউকে চ্যালেঞ্জ করতে রাজি আছি।

এই উম্মাদ অধ্যাপক বললেন,আর্মির উচিত সব নদী পাহারা দেয়া। কোন জেলে জাটকা ধরলে তাকে তৎক্ষনাত গুলি করে মেরে ফেলা যাতে সে পরের দির সুর্যোদয় দেখতে না পারে।

লা হাওলা অলা কুয়াতা...যে দেশের এক অধ্যাপক কাম সাংবাদিক এই লেভেলে চিন্তা করে,সে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আল্লাহর পরিকল্পনাটা যে কী,সেটা বুঝতে পারছি না।

অধ্যাপকের উল্টোপাশে যে সাবেক মন্ত্রী বসেছিলেন,তার মহা আগ্রহ আর্মিকে ডাইরেক্ট ক্ষমতায় দেখতে।তার কথা হচ্ছে,এদেশে নির্বাচনের কোন দরকার নেই।আর্মিই দেশ চালাবে সবসময়!!!!


পাবলিক ফোরাম আর অন্যদৃষ্টির আলোচনা আরো হৃদয়গ্রাহী। সেগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট দিতে হবে ।

তো,পাঠক; আপনার যদি রাতে ঘুম না আসে;বাসায় যদি ইন্টারনেট না থাকে,বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যদি আগ্রহ না থাকে,আপনার মন খুব খুব বিষন্ন থাকে,তাহলে এই টকশো গুলো দেখতে বসুন।

মুখ দিয়ে এই বুদ্ধিজীবি আলোচকরা যেভাবে চাটাচাটি করে ,সেটা দেখে নিশ্চয়ই বিমল আনন্দ পাবেন।

(পোস্ট কনভার্টেড বাই এস এম মাহবুব মুর্শেদ এন্ড অরুপ কামাল)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৬
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রবাসীর মৃত্যু ও গ্রাম্য মানুষের বুদ্ধি!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০



একজন গ্রামের মানুষের মাথায় ১০০ জন সায়েন্টিস্ট, ৫০ জন ফিলোসফার, ১০ জন রাজনীতিবিদ এবং ৫ জন ব্লগারের সমপরিমাণ জ্ঞানবুদ্ধি থাকে, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এসব লোকজন বাংলাদেশের এক একটি সম্পদ।

বিস্তারিত:... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন নারী শিক্ষিকা কীভাবে কন্যা শিশুর সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করতে পারেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩


বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এমন সব মানুষ রূপী শয়তানের সন্ধান মেলে যাদের দেখে আসল শয়তানেরও নিজের উপর হতাশ হওয়ার কথা। এমন সব প্রজাতির মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করেন যাদের মস্তিষ্ক খুলে দেখার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×