পথমালু এইসব কি লিখালিখি করে গো? ষৎ লুকের দলের নেকবন্দ মুরিদানেরা চট্টগ্রামে এইসব কি করে গো? আল্লাহর আরশ তো কাপিতে কাপিতে শ্যাশ গো ভাইটু।
দেখেন পথমালু কি লিখছে।
"চট্টগ্রামে অটোরিকশা ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য
জামায়াত সমর্থিত সংগঠনের তিন নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সিএনজিচালিত অটোরিকশা ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াত সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের তিন নেতাসহ ১৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ও আগের দিন মঙ্গলবার রাতে নগরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে গতকাল দুপুর থেকে সীমিত আকারে নগরে সিএনজি-চালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী গতকাল দুপুরে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জামায়াত সমর্থিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও সিএনজি শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামালউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ ও সহসভাপতি মোতালেব হোসেন। অন্য তিনজন হলেন অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ বশির, গোলাম মোস্তফা ও সোলায়মান।
এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে নগরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও নয়জন চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা সোমবারের ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবারের ঘটনায় পুলিশ ১০৮ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা করে। এর মধ্যে ৪২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. আবদুল জলিল মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, মামলার আসামি ছাড়া আমরা কোনো চালককে গ্রেপ্তার করব না। চালকেরা নির্ভয়ে অটোরিকশা রাস্তায় নামাতে পারবে। তবে অবশ্যই মিটারে গাড়ি চালাতে হবে। আর নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হবে।
পুলিশ সুত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত সমর্থিত সংগঠনের নেতাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
জামায়াত সমর্থিত নেতাদের বক্তব্য: অটোরিকশা শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামালউদ্দিন গতকাল গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, মালিকেরা চালকদের কাছ থেকে দৈনিক জমা বেশি নিয়ে আসছিলেন। এ কারণে চালকেরা সোমবার মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেন। সবাই এ ধর্মঘটে যোগ দেয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, রোববার দুপুরে আমরা দুই হাজার লিফলেট পাঁচটি কার্যালয়ে বিলি করি। আন্দরকিল্লার একটি প্রেসে লিফলেটগুলো ছাপা হয়। পরে চালকেরা নগরের বিভিন্ন জায়গায় তা বিলি করেন। সহসভাপতি মোতালেব স্বীকার করেন, অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও সিএনজি শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন জামায়াত সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের নেতারা আরও জানান, জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের খান অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা। সোমবারের সমাবেশে আবু তাহের খান বক্তৃতা করেন। পুলিশের ভিডিও ফুটেজ ও স্িথরচিত্রে তাঁর উপস্িথতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গতকালের চিত্র: ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে গতকাল দুপুরের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত নগরে অটোরিকশা চলাচল করেনি। তবে দুপুরের পর অটোরিকশা চলাচল কিছুটা বাড়ে। অটোরিকশা কম চলাচলের কারণে গতকাল নগরে যানজট ছিল না। যাত্রীরা বাস, টেম্পো, রাইডার ও রিকশায় চড়ে যাতায়াত করেছে।
উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ময়নুল হক প্রথম আলোকে বলেন, চালকেরা নির্ভয়ে অটোরিকশা নামাতে পারে। সরকারের নিয়মনীতি মেনে তারা রাস্তায় নামলে আমরা সহযোগিতা দেব।
মিটারে গাড়ি না চালানো ও নির্দিষ্ট পোশাক পরা বাতিল ও মামলা না করার দাবিতে অটোরিকশাচালকেরা গত সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরু করেন। ধর্মঘটের প্রথম দিনেই কিছুসংখ্যক চালক শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে নগরজুড়ে নৈরাজ্য চালান।
"