somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কিশোর মাইনু
মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

প্রাণীজগতের বৈচিত্রময়তা - ২য় পর্ব

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুনিয়াতে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের মধ্যে আমরা গুলিয়ে ফেলি। কিছু প্রাণীর মধ্যকার পার্থক্য জানিনা। কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে মিলসমুহ জানিনা। কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে জানিই না যে তাদের অস্তিত্ব আছে। আবার কিছু প্রাণীকে অন্য একটি প্রায় একই রকম দেখতে প্রাণীর সাথে গুলিয়ে ফেলি। এরকম ই কিছু প্রাণীর মধ্যকার কিছু পার্থক্য/ মিল/ অমিল নিয়ে আলোচনা করার চিন্তাধারা নিয়ে শুরু করেছিলাম এই সিরিজটি,

যেখানে আমরা আমাদের অতিথিদের সম্পর্কে প্রথমে আলাদা আলাদা ভাবে জানার চেষ্টা করি হাল্কা পাতলা ভাবে। তারপর তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলোর ব্যাবচ্ছেদ করার চেষ্টায় রত হয়। তার-ই ধারাবাহিকতা হিসেবে এই পর্বটি। এবং এবারের অতিথি কচ্ছপ এবং কাছিম। So, lets start, eh?

আজ আমরা জানব কচ্ছপ ও কাছিম সম্পর্কে। এখন এইখানে অনেকেই বলবে কচ্ছপ আর কাছিম-র মধ্যে আবার পার্থক্য কিসের? দুটো তো একই। Well, কথাটা ঠিক আবার ঠিক ও না। কারণ সকল কচ্ছপ ই কাছিম, কিন্ত সকল কাছিম কচ্ছপ নয়।


হ্যাঁ?!? এ আবার কেমন কথা?!? তাইলে কচ্ছপ কোনটা, কাছিম কোনটা? এদের মধ্যে পার্থক্য কী? আজকে এই নিয়েই জানব। কিন্তু শুরুতে এদের বৈশিষ্ট্যগুলো জানতে হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
কচ্ছপ(Tortoise):
Kingdom: Animalia
Phylum: Chordata
Class: Reptilia
Order: Testudines
Suborder: Cryptodira
Superfamily:Testudinoidea
Family: Testudinidae

কচ্ছপ এক ধরনের সরীসৃপ প্রাণী যারা জল এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই বাস করে । এদের শরীরের উপরিভাগ শক্ত খোলসে আবৃত থাকে যা তাদের শরীরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রক্ষা করে। কচ্ছপ পৃথিবীতে এখনও বর্তমান এমন প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি পৃথিবীতে রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি মারাত্মক ভাবে বিলুপ্তির পথে রয়েছে। কচ্ছপ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে। এদের শরীরের উপরিভাগ শক্ত খোলসে আবৃত থাকে, যা এদের শরীরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রক্ষা করে।

খোলসের ওপরের অংশকে (Carapace) ক্যারাপেস এবং নিচের অংশকে (Plastron) প্লাস্ট্রন বলে। এরা কয়েক সেন্টিমিটার থেকে দুই মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। কচ্ছপ সাধারণত দিবাচর প্রাণী। দলবদ্ধ থাকতে এরা পছন্দ করে না। একাকী জীবনেই এরা অভ্যস্ত। কচ্ছপের অনেক প্রজাতি পানিতে বা পানির আশপাশে বাস করলেও ডাঙায় ডিম ছাড়ে। এদের খোলসের ওপরের অংশে যে সমকেন্দ্রবিশিষ্ট রিং থাকে তা থেকে এদের বয়স সম্পর্কে একটি ধারণা করা যায়; যেমনটা গাছের ক্ষেত্রে তাদের বর্ষবলয়ে দেখা যায়। ডাঙায় বসবাসকারী বেশির ভাগ কচ্ছপ তৃণভোজী। এরা সাধারণত ঘাস, আগাছা, পাতা, ফুল ও ফল খেয়ে বেঁচে থাকে। যদিও কিছু সর্বভুক কচ্ছপও এই পরিবারে আছে। পোষ্য কচ্ছপ সাধারণত ঘাস, পাতা, আগাছা ও কিছু প্রজাতির ফুল খায়।
কাছিম (Turtles):


পৃথিবীর প্রায় সকল সমুদ্রেই এদের বিস্তৃতি রয়েছে এবং এরা বাসা বানানোর জন্য সাধারণত তুলনামূলক উষ্ম অঞ্চল পছন্দ করে। খাবার গ্রহণ, বিপরীত লিংগের সাথে মিলন থেকে শুরু করে সকল আনুষঙ্গিক কাজই সাগরে করলেও ডিম পাড়ার সময়ে স্ত্রী কাছিমকে দ্বীপে আসতেই হয়। এরা ডিম পাড়ার সময়ে খুব নির্জন স্থান বেছে নেয় এবং যদি সেখানে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখে তাহলে সাথে সাথে ডিম পাড়া বন্ধ করে মা কাছিম আবার সাগরে ফেরত চলে যায়।

ডিম পাড়ার সময় বালিতে গর্ত করে ডিম পাড়ে এবং শেষ হবার সাথে সাথে বালি দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে করে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সাথে সাথেই বাচ্চাগুলো আবার সাগরে চলে যেতে পারে। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার জন্য মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়ে। কুমিরের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার সামান্য হেরফের হলে লিঙ্গের রূপান্তর অর্থাৎ পুরুষ থেকে স্ত্রী কিংবা স্ত্রী থেকে পুরুষ হলেও এদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা পরিলক্ষিত হয়না। গড়ে ৬০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে বাচ্চাগুলো সাগরে পাড়ি জমায়। বলে রাখা ভাল যে, পুরুষ কাছিম একবার ডিম ফুটে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার পরে আর কখনো দ্বীপে ফেরত আসেনা, সমগ্র জীবনচক্র তার সাগরেই কেটে যায়।
কচ্ছপ ও কাছিমের মধ্যে পার্থক্যঃ

কচ্ছপ এবং কচ্ছপ দুটিই Testudines ক্রমের সরীসৃপ, তবে বিভিন্ন শ্রেণিবদ্ধ পরিবারের। কচ্ছপের বৈজ্ঞানিক নাম হল Testudinidae এবং কাছিমের বৈজ্ঞানিক নাম Chelonioidea। কচ্ছপ এবং কাছিমের দেহ উভয়ই একটি খোল দ্বারা রক্ষা করা হয়, যার উপরের অংশটিকে ক্যারাপেস বলা হয়, নীচের অংশটিকে প্লাস্ট্রন বলে। ক্যার্যাপেস এবং প্লাস্ট্রন একটি ব্রিজ দ্বারা সংযুক্ত থাকে, যার অর্থ যে কচ্ছপ বা কাছিমের মাথা এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গটি শেল থেকে প্রত্যাহার করা যেতে পারে তবে পুরো শরীরটি কখনও এ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে না। এই সরীসৃপগুলি সাধারণত ধীর গতির ও লাজুক প্রকৃতির।
১। দুজনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল বাসস্থা। কচ্ছপ হলো স্থলজ প্রাণী। এরা বেশিরভাগ সময় স্থলেই কাটায়। অন্যদিকে, কাছিম হলো জলজ প্রাণী। এরা পানিতে থাকতেই পছন্দ করে।
২। কচ্ছপ স্থলে থাকে বলে এর কোষগুলো গম্বুজযুক্ত এবং গোলাকার। কচ্ছপের পা ছোট ও বলিষ্ঠ, সোজা এবং সরাসরি শরীরের নীচ থেকে বাঁকানো হয়। অন্যদিকে, কাছিমের কোষগুলো পাতলা এবং পানিতে চলাচলের উপযোগী। এছাড়াও সহজে সাঁতার কাটার জন্য কাছিমের কোষ গুলো হলো স্ট্রীমলাইন্ড। একটি কাছিমের খোলের তুলনায় কচ্ছপের খোলা টি বেশ ভারী। কাছিমের খোলা ডুবে যাওয়া এড়াতে এবং সাঁতারের গতি বাড়ানোর জন্য হালকা হয়।
৩। কচ্ছপের পিছনের পা বড় হওয়ায় এটি সহজেই ভারী কচ্ছপের অতিরিক্ত ওজন বহন করতে পারে। অন্যদিকে, কাছিমের পা গুলো ফ্লিপার বা ওয়েব্ড হওয়ায় এরা সহজেই পানিতে চলাচল করতে পারে। কাছিমের সমতল শেল এবং লম্বা নখর যুক্ত ওয়েব যুক্ত পা রয়েছে।


৪। কচ্ছপের খোলস গম্বুজ আকৃতির। অন্যদিকে, কাছিমের খোলস সমতল ও সুষম আকৃতির।
৫। কচ্ছপ অধিকাংশই তৃনভোজী, তবে কোন কোনটি মাংস পছন্দ করে। অন্যদিকে, কাছিম ফল-ফুল, শাক-সবজি এবং মাংস অর্থাৎ সর্বভূক।


৬। কচ্ছপ এবং কাছিমের মা উভয়ই মাটিতে ডিম দেয়। মা একটি বড়ো গর্ত খনন করে এবং সেখানে দুটি থেকে বারোটি ডিম দেয়। ৯০ থেকে ১২০ দিনের পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। ইনকিউবেশন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাচ্চাগুলো নিজেরাই গর্ত থেকে বের হওয়ার পথটি খনন করে। কচ্ছপ মায়েরা প্রায় ৮০ দিন ধরে হ্যাচলিংগুলিকে সুরক্ষা দেয়, তারপরে তারা নিজেরাই বেঁচে থাকে। তবে কাছিমের হ্যাচলিংগুলি ( বাচ্চাগুলো) জন্ম থেকেই নিজেরাই বেড়ে ওঠে,মা ডিম দিয়েই জলে চলে যায়। কাছিমের ডিমগুলি কিছুটা নরম এবং চামড়ার মতো, অন্যান্য সরীসৃপ এর ডিমের সমান। কচ্ছপের ডিমগুলো পিংপং বলের মত বড়ো আর শক্ত খোলার হয়।
৭।কচ্ছপগুলি প্রায় ৬০/৮০ বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে, তবে কেউ কেউ ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকতে পরিচিত। দীর্ঘতম যাচাই করা কচ্ছপের আয়ুষ্কালটি ছিল ১৮৮ বছর।
বিপরীতে, কাছিমের সাধারণ জীবনকাল প্রায় ২০/৪০ বছর হয়, যখন সমুদ্রের কাছিমগুলি গড়ে ৬০ থেকে ৭০ বছর হয়, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর পূর্ণতায় পৌঁছতে পারে।
৮। কচ্ছপ বেশিরভাগ এশিয়া এবং আফ্রিকাতে পাওয়া যায়, এবং কাছিম আফ্রিকা এবং আমেরিকাতে পাওয়া যায়। কাছিম মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং আধা-গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে পাওয়া যায় কারণ দেহের সঠিক উষ্ণতা বজায় রাখতে তাদের উষ্ণ বাহ্যিক তাপমাত্রা প্রয়োজন। তবে কিছু কিছু কাছিম সাধারণত নদীর তীরে শীতকালে হাইবারনেটিংয়ের জন্য পরিচিত। কচ্ছপগুলি হাইবারনেটিংয়ের জন্য পরিচিত নয়, কারণ তাদের আবাসস্থলগুলি প্রায় পুরোপুরি উষ্ণ, যদিও কিছু প্রজাতি অল্প পরিমাণে খাদ্য ও জলের মধ্যেই তাদের বিপাক ক্রিয়া কে সীমাবদ্ধ করতে পারে।


তথ্যসূত্র:
১। Turtle:New World Encyclopedia
২। All about sea turtles
৩। Tortoise:New World Encyclopedia
৪। Turtle Vs Tortoise
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
৬টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×