আর মাত্র ২৫ দিন পরই দেশের মাটিতে বসবে যুব ক্রিকেটর সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এর আগে ৯ বার অংশগ্রহণ করে সেরা সাফল্য বলতে গেলে ২০০৬ সালে ৫ম হওয়া। এছাড়া প্রতিবারই ভালো কিছু করার আশা নিয়ে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে শূন্য হাতেই। কিন্তু এবার পরিস্থতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।গতবছরটা জাতীয় দলের পাশাপাশি যুবদেরও কেটেছে স্বপ্নের মতই। সেই দুর্দান্ত ফর্ম ও গতবছরের ম্যাচ জয়ের আত্নবিশ্বাস টনিক হিসেবে কাজ করবে এবারের বিশ্বকাপে। যে দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ান দঃ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে ও দেশের মাটিতে শোচনীয়ভাবে হারাতে পারে। যে দল লংকানদের মত শক্তিশালী দলকে তাদের মাটিতে গিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে। আর যে দলে আছে সম্ভাবনাময়, প্রতিভাবান এক ঝাঁক ক্রিকেটারের সাথে জুনিয়র মাশরাফি খ্যাত মেহেদী হাসান মিরাজের মত ক্যাপ্টেন, সেই দলকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি। তারাই এনে দিতে পারে আমাদের প্রথম একটি বিশ্বকাপ। আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে অধিনায়ক মিরাজ। মিরাজ বলেন- “২০১৫ সালে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। জাতীয় দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ জিতেছে। নতুন বছরের শুরুতেই স্বপ্ন দেখি, এ বছরটা আরও ভালো যাবে ইনশা আল্লাহ। স্মরণীয় করে রাখতে চাই বছরটা। সবচেয়ে বড় স্বপ্ন, ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়তে চাই। যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, সারা জীবন মানুষ মনে রাখবে এ বছরটা। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”
.
আগে হয়তো আমাদের কোন দলই এভাবে “এবার বিশ্বকাপ জিততে চাই” বলতে পারেনি। কিন্তু মিরাজরা পারে, কারণ তারা জানে সামর্থ্যনুযায়ী খেলতে পারলে কাপ থাকবে আমাদের দেশেই। ২৭ তারিখ বিশ্বচ্যাম্পিয়ান দঃ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে যুবদের এবারের বিশ্বকাপ মিশন।
.
নতুন বছর, নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন ও নতুন আশা। আমাদের সবার সেই আশা, সবার সেই স্বপ্ন যুবরা পূরণ করবেই ইনশাল্লাহ। সেই প্রত্যাশা রইল।দোয়া করবেন অামি যেন ভালো ভালো পোস্ট লিখতে পারি।