somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুরু দক্ষিণা

০৩ রা মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গুরু দক্ষিণা

মানুষ মানুষের জন্য। সহমর্মিতা মানুষের একটা মহৎ গুণ। প্রাকৃতিক নিয়ম ও ছেলেবেলায় বড়দের কাছ থেকে এ গুণটা অর্জন করা হয়। ধর্মীয় বিষয়াদি বইপুস্তক ও মহৎ ব্যক্তিদের জীবনদর্শন থেকেও মানুষের এই মহৎ গুণের সন্ধান পাওয়া যায়। ছেলেবেলায় পিতা-মাতা সন্তানদের এরূপ বিষয়ে উৎসাহ ও শিক্ষাদান করলে পরবর্তী জীবনে এরা অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সহমর্মিতা শেখে। মানুষকে ঘৃণা অবজ্ঞা না করে সম্মানের চোখে দেখে। কোনো মানুষ নিজের বিপদ-আপদে অন্যের সহানুভূতি পেতে চাইলে অন্যের বিপদেও নিজকে নিয়োজিত করার মানসিকতা থাকতে হবে। এভাবেই সমাজে সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে। মমত্ববোধ বা সহানুভূতি দেখাতে অর্থ খরচের দরকার পড়ে না। একজনের সুন্দর ভাষা ও ব্যবহারের মাধ্যমেই এটি প্রকাশ পায়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ধনীর দুলাল দুলালী সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে জীবন যাপন করে চলেছে। এরা কি কখনও এমন পরিণতির কথা আগে চিন্তা করেছে? এদের জীবন যাপনের ধরন দেখে মনে হতো মৃত্যুর পরও এরা বিশেষ ব্যবস্থার মধ্যে পরপারে যাবে। নিষ্ঠুর পরিণতি এদেরকে রেহাই দেয়নি। অভিভাবক বা অগ্রজরা ঐশ্বর্যপূর্ণ বিলাসী জীবন ধারণে অনুজদেরকে উৎসাহী করে তুললে নিষ্ঠুর পরিণতি অবশ্যম্ভাবী। বিলাসপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্তরা ছোটদেরকে প্রাকৃতিক জীবন সম্বন্ধে কিইবা শিক্ষা দিতে পারে। সহজ সরল সাধারণ জীবনকে ঘৃণা করার মানসিকতা একটা রোগ বলে মনে হয়। এরূপ ব্যক্তিরা তাদের পরিবার ও অনুজদেরকে কী শিক্ষা দেবে? তাই স্বাভাবিকভাবে এখনকার অনুজরাই আগামীতে বড়দের জন্য কষ্টদায়ক হবে। অর্থাৎ অনুজদের কাছ থেকে তখন ভালো দক্ষিণা আশা করা ঠিক হবে না। তাই করুণ পরিণতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজ-নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক-মানবিক মূল্যবোধে অনুজদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারলে সামাজিক অবক্ষয় এড়ানো সম্ভব হবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনা থেকেও আমরা ছোটদেরকে এই মহৎ গুণ সম্পর্কে বোঝাতে পারি। মহৎ গুণাবলিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবন দর্শন সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি, যাতে এসব স্মরণীয় ব্যক্তিত্বের মহান দিক কচি মনে রেখাপাত করে। অনেক প্রতিষ্ঠিত সম্পদশালী ব্যক্তি নিজ আত্মা ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ধর্মের বিশেষ স্থান দেখে চলেছেন। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে কী পেয়েছি? অনুকরণযোগ্য কোনো মহৎ কাজ কি তারা সমাজের জন্য রেখে যেতে পারেন না? তাই সার্বিক মঙ্গলের উদ্দেশ্যে অগ্রজ-অনুজ শিক্ষক-অভিভাবক সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এর মাধ্যমেই আগামী সোনালি দিনের আবির্ভাব হবে বলে মনে করি।

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:০৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×