somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি। ক্রুর অট্টহাসি। লাগাতার। অনবরত। দাঁত কেলিয়ে। শয়তানও পারে না এমন হাসি হাসতে। বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে এমন জঘন্য হাসির ফোয়ারা বইয়ে দিচ্ছে খুনি ফয়সাল করিম মাসুদ। তাকে ভারত জামাই আদরে আশ্রয় দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত কেন খুনিদের আশ্রয়স্থল? বলছি হাদির কথা। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অকুতোভয় যোদ্ধা শরীফ ওসমান বিন হাদি আর আমাদের মাঝে নেই। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় ভাড়াটে খুনিদের গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসা নিলেও ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ রাতে তিনি শহীদ হন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

হাদি ছিলেন ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁর স্বপ্ন ছিল, আধিপত্যবাদ আর গোলামির নাগপাশ ছিন্ন করে বাংলাদেশ একদিন বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপরিচয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু আধিপত্যবাদীদের ক্রিড়নকরা তার স্বপ্নকে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। ফুল হয়ে ফোটার আগে অঙ্কুরেই হাদিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। কিন্তু একজন হাদিকে সরিয়ে দিলে কী লাভ? ভারতের মনে রাখা উচিত, এদেশের লাখো কোটি তরুণের রক্তে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন- ঘরে ঘরে জন্ম নিচ্ছে নতুন হাদি! এদেশের ঘরে ঘরে এমন কোটি কোটি হাদি আজ দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। ভারতের এটাও মনে রাখা উচিত, এটা সিকিম কিংবা ভুটান নয়, এটা বাংলাদেশ। আগ্রাসন আর আধিপত্যবাদ কীভাবে হটিয়ে দিতে হয়, এদেশের মানুষ তা ভালো করেই জানে।

যখনই এদেশের সাহসী সন্তানেরা ভারতের আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে, তখনই তারা খুনিদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিটি কলঙ্কিত অধ্যায়ে ভারতের কালো হাত স্পষ্ট। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকেও একই কারণে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদ করলেই নিশ্চিহ্ন করার এই রক্তাক্ত নীতি তাদের পুরনো অভ্যাস। এক্ষেত্রে মজার বিষয় হচ্ছে, একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে ভারতের অপরাধবোধের চিহ্নমাত্র নেই। লজ্জা-শরমেরও কোনো বালাই নেই! চক্ষুলজ্জা বলতে একটা টার্ম আছে, নির্লজ্জ এই দেশটির অভিধানে এই শব্দটিরও স্থান নেই সম্ভবতঃ। তারা সবসময় বাংলাদেশীদেরকে করদ রাজ্যের গোলাম হিসেবে দেখতে চেয়েছে। হাদির খুনিকে সীমান্ত পার করে আশ্রয় দিয়ে, ভারতে নিরাপদে লুকিয়ে রেখে তারা আবারও প্রমাণ করেছে- তারা এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শত্রু। হাদি চলছে কবরে, খুনি হাসছে ভারতে!

ভারতের ধারাবাহিক শয়তানির মুখে এদেশের নিপীড়িত মানুষ মুখ খুললেই আওয়ামী লীগ আর ভারতের নিকৃষ্ট ল্যাসপেন্সাররা শেয়ালের মত হুক্কাহুয়া করে ওঠে। এটা এই ব্লগেও প্রায়শই দেখা যায়। তাবেদারি মানসিকতার ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিক্ষিপ্ত আনাগোনা দেখলেই বুঝা যায়, এরা দেশবিরোধী ভারত প্রভূর কেনা দাস। এই শ্রেণির আত্মবিক্রিত অপদার্থদের জন্য করুনা হয়। এই নগ্ন আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ আরও জোরালো হবে। শহীদ হাদির রক্ত বৃথা যাবে না- এই রক্ত থেকেই জন্ম নেবে নতুন বিপ্লব। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এ লড়াই চলবে, অব্যাহত থাকবে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জয় এদেশের নিপীড়িত জনতারই হবে, জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭
১৬টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×