আচ্ছা ধরো, রোজ সকালেই যদি তোমাদের বাড়িতে ছেড়ে দেই একটি সকালের ছড়া,
কখনো ছন্দে, কখনো নিরানন্দে কখনো বিষাদে পূর্ণ শব্দ,
কখনো সুখের দেয়ালে রঙবাহারী রঙ শব্দ তুলির আঁচড়;
কখনো ধোঁয়া ওড়া চায়ের কাপে ঠোঁট রেখে শব্দের ঝংকার,
তোমরা পড়বে আমার ছড়া বা খাপছাড়া পদ্য?
আচ্ছা ধরো, ঠিক দুপুর ছুঁই ছুঁই এবেলা যদি
এই দেশ এই মাটির সোঁদা গন্ধে ভরা ছবিতে লিখে দেই
তাল মাত্রা লয় ছাড়া অকবিতা, যেখানে চোখ রাখলেই দেখ তে পাবে
সবুজ শ্যা মল মনোলোভা বাংলা মায়ের ছবি;
যেখানে মন রাখলেই হারিয়ে যাবে শৈশবে অথবা কৈশোরে
স্মৃতিমাখা দিনগুলো ঘিরে তোমরাও ফিরে যাবে মায়ের আঁচল
জড়ানো দিনগুলোতে.
তোমরা পড়বে অথবা চোখ বুলাবে বাংলা মায়ের ছবিতে
লিখা অজস্র শব্দের অকেবিতা, বলে দেবে কেমন লেগেছে?
দুপুর যখন বিকেলের পথে হাঁটবে, আলস্য তা ধরবে ঝেঁকে,
চায়ের কাপে ঠোঁট রেখে যখন উড়াতে চাইবে জড়তা আলসেমী
ঠিক তখনি যদি লিখে ফেলি এক ভালোবাসার কাব্যছ,
যেখানে ছন্দে ছন্দে লিখা থাকবে প্রেমের শব্দ,
যেখানে চোখ রাখলেই ডুবে যাবে ভালোবাসার সমুদ্দুরে,
সুখের আলতো স্পর্শ পাবে, পাবে প্রেম শিহরণ বুকের মধ্যিখানে,
সব ভুলে নিজ প্রেমীর সাথে মিটে যাবে সহস্র বছরের দ্বন্দ্ব, ভ্রান্তি ভুল,
তেমন এক ভালোবাসার কাব্য যদি তোমাদের সামনে উপস্থাপন করি
তোমরা পড়বে, সুখে আলোড়িত হয়ে মন্তব্যে জানিয়ে দেবে
ভালোবাসার কাব্যে কথায় ভালোবাসার কথা?
বিকেল ছুঁই ছুঁই বেলায় মেঘের কাছে রোদ্দুরের লিখা একশত দুই চিঠি
যদি নীল খামে ভরে সেই চিঠিদের পাঠিয়ে দেই মেঘ হরকরার কাছে
তোমরা কী জং ধরা ডাকবাক্সের তালা খুলবে,
যে চিঠিতে লিখা থাকবে দৈনন্দিন যাপনা কথন,
যে চিঠিতে ছন্দে আনন্দে লিখা থাকবে দৈনন্দিন সুখ দুঃখের লহর,
যে চিঠিতে লিখা থাকবে টুংটাং সঙ্গীতের সুর,
যে চিঠির বুকে ছড়ানো থাকবে জীবনে তৃষ্ণা অথবা বিতৃষ্ণা,
অথবা সুখ কাব্য, অথবা বিরহ, দুঃখ আর মুগ্ধতা
এই তোমরা কী সেই চিঠিগুলো ছুঁয়ে দেখবে, খুলবে ভাঁজ?
যে চিঠি পড়লে ভালোবাসতে চাইবে আরও অথৈ যে যার প্রেমীকে,
যে চিঠি পড়লে কবিতার, পদ্য অথবা ছড়া পড়ার আনন্দও পাবে,
পড়বে যতন করে আমার লিখা মেঘের কাছে লিখা রোদ্দুরের সেই চিঠিগুলো?
পড়বে আমার নৈমিত্তিক কর্মগুলোর ফিরিস্তি?
জানাবে কেমন লেগেছে চিঠি? যে চিঠির উত্তর চিঠি মেঘ দেয়নি,
তোমরা উত্তর চিঠি পাঠাবে রোদ্দুরের ঠিকানায়?
না, বিকেলে আর জ্বালাবো না তোমাদের, সন্ধ্যাার ছায়াতেও জ্বালাবো না,
আসবো না এখানে, যখন রাত হবে, আঁধারে ছেয়ে যাবে শহর নগর,
ঠিক তখনই এক অকাব্যের বাগাড় তুলে দেবো তোমাদের হাতে,
কখনো ছন্দে, কখনো মাত্রা ছাড়া শব্দে শব্দে বাক্য ,
কখনো দেশের কথা, কখনো নিজের কথা, কখনো সমসাময়িক
কখনো প্রার্থনা, কখনো আবোল তাবোল পাগল কথন,
যেখানে মন রাখলেই নিজের জীবনের কথাই মনে হবে,
মনে হবে এতো আমারই মনের কথা, য হদিও সে অকবিতা, তোমরা তো জানো
আমি লেখিকা নই, নই কবি, কেবল কিছু শব্দ এলোমেলো সাজালেই কবিতা হয় না
সে আমি জানি তবু্ও তোমরা পড়লে সে অকাব্য বড্ড সুখ পাই মনে,
তেমন লেখাগুলো কি তোমরা পড়ে নেবে এক টানে?
মন্তব্যের জলে ভাসিয়ে দেবে আমায়?
মধ্যিরাতের সিঁড়ি বেয়ে যখন তোমরা ঘুমোতে যাবে ঠিক এই মুহুর্তে
যদি আমি আকাশ নিয়ে লিখে ফেলি দু'চার কাব্যে,
নীল ভালোবাসা সেঁটে দেই কবিতার গায়ে, যেখানে উঁকি দিলেই দেখতে পাবে
এক আকাশ ভরা ভালোবাসার কাব্য , দেখতে পাবে সাদা মেঘফুলেদের ফুটে থাকা,
দেখতে পাবে অজস্র মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানো ছবি,
দেখতে পাবে রাতের আকাশে চন্দ্র তারা, আরও দেখতে পাবে কালো মেঘের গর্জন,
যেখানে মন রাখলেই মেঘের ভেলায় ভেসে যাবে শূন্যে কল্প রাজ্যে,
কল্প ডানায় উড়ে বেড়াবে আকাশ হতে আকাশে,
তেমন আকাশকাব্যয পড়তে কি খুব মন্দ হবে, মন বিতৃষ্ণায় ভরে যাবে?
সে আকাশকাব্য্ পড়ে কী বলবে কিছু?
ঘুম ছুঁই ছুঁই বেলায় দুটো মন কথনিকা যআদি উড়িয়ে দেই তোমাদের ভার্চুয়াল আকাশে,
মাত্র আটলাইন, অথচ সেখানে দেখতে পাবে কখনো প্রার্থনা, কখনো মনোমালিন্যে
কখনো খুঁনসুটি, ঝগড়া, কখনো সমসাময়িক কথন,
এসব অলেখা পড়ে তোমাদের মন কি খুব বিচলিত হবে কষ্টে?
পড়ে নেবে সকাল হতে রাত পর্যন্ত আমার সব জীবন কাব্যম,
পড়ে জানিয়ে দেবে কেমন লাগলো? লাইক চাইনে বাপু
শুধু তোমাদের মন এতটুকুন খুশি হলেই আমি হবো
স্বার্থক অলেখক একজন।
(এই লেখাটি মা. হাসান ভাইয়াকে উৎসর্গীকৃত। সব সময় আগের কবিতা পোস্ট করি ভাইয়া, আজ নতুন দিলাম
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬