somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগ থেকে ব্লগার ভাইরা যদি এই বিষয়গুলি মিডিয়ার সামনে আনেন তবে হয়তো সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কর্ণ গহ্বরে ঢুকবে নয়তো আর কোন দিন ঢুকবেই না।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি সব সময় দোয়া করি কেউ যেনো বেকার জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলি না অনুভব করে।

এককালে আমিও বেকার ছিলাম, কি যে দিন গেছে তা আমি আর আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কতটা অসহায়ত্বের ভিতর দিন কাটিয়েছি তার হিসাব কেউ রাখে নি। একে তো বেকার জীবনের চাবুকের আঘাত তার উপর সাত বছরের আস্ত একটা প্রেমের কষ্ট।

একেকটা রাত যেনো আমার জন্য বিভেষিকাময় ছিলো। একেকটা নির্ঘুম রাতের ঠ্যালা যে কতখানি তা কিভাবে আমি বুঝিয়ে বললো ?? সেই ভাষাও আমার জানা নেই।

মা বাবা বলে কী পড়াশুনা করলি যে চাকরী জুটাতে পারিস না, আত্নীয় স্বজন বলে ওমুকের ছেলে এই হইছে অমুকের ছেলে ঐ হইছে তোরা কি করিস ??? পকেটে টাকা নেই মনে শান্তি নেই । উফ সেই দিনগুলি…… ভাবা যায় না।

চাকরীর আবেদন করতে গেলে লাগতো গাদা গাদা টাকা। বাবা বলতো লেখাপড়ার পিছনে একগাদা টাকা তখরচা করে আবার চাকরীর আবেদন করতে গাদা টাকা দিতে হচ্ছে।

তবে সব থেকে বেশি রাগ হতো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকরীদাতা/চাকরীর বিজ্ঞাপন দাতাদের একটি অপশন দেখলে। বলা হতো প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক চারিত্রিক সনদ পত্রের কথা।

একটা নমুনা দিলামঃ

চারিত্রিক সনদ পত্র

প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত

এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, নামঃ অমুক পিতার নামঃ তমুক মাতার নামঃ সেমুক গ্রামঃ ------- পোষ্টঃ --------- থানাঃ ------- জেলাঃ---------- সে আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র ভাল। আমার জানা মতে সে কোন প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত না।

আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।

এবার বলেন এমন একটা সনদ নিতে হবে এমন লোকের কাছ থেকে যে জানেই না আমি আসলে কে? আমার স্বভাব চরিত্রই বা কেমন। আবার দেখেন সব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।

এগুলা কেনো দরকার ?? আমি এটাই বুঝি না।

আচ্ছা বাবা আমি যদি ডুপ্লিকেট কাগজ ফটোকপি করে চাকরীর আবেদন করি এবং আমি যদি ধরা পড়ি তবে তারা দরকারে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। দরকারে আমাকে জেল জরিমানা করবে। আমার কোন আপত্তি নেই। তবুও কেনো এই সত্যায়িত করার ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।

অনেকেই তো নকল সীল প্যাড বানিয়ে আরামসে সনদ সত্যায়িত করে। আর এ বিষয়টা সবারই জানা কথা। আজ যে লোকটা প্রথম শ্রেনীর অফিসার হইছে সেই ব্যাটাও জানে হয়তো তাদের ভিতরেও কেউ কেউ একই পন্থায় সত্যায়িতও করেছে।

এমনিতেই ছাত্ররা / বেকাররা নানান ঝামেলায় থাকে তার উপর সত্যায়িত আর চারিত্রিক সনদপত্র জোগাড় করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। অনেক শয়তান মার্কা অফিসার আছে যারা মুখের উপর বলে দেয় আমি সত্যায়িত করি না। আমরা তখন আরেক জনের কাছে দৌড়াই সত্যায়িত করার জন্য।

মানলাম অনেকের মামা খালু আছে অনেকের সত্যায়িত করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আবার অনেকের কাছেই এটা ব্যাপার। অনেক লোয়ার ফ্যামিলীর ছেলে/মেয়ে আছে যাদেরকে অনেক অফিসার পাত্তাই দেয় না । অথবা তারা দিশা পায় না সত্যায়িত করার জন্য কার কাছে যাবে। আবার অনেকেই আছে যারা শুনলো অমুক জায়গায় আবেদন করা যাবে চাকরী কিংবা ভর্তির জন্য। কিন্তু দেখা যাবে সময় সংক্ষেপ তখন সত্যায়িত করবে নাকি আবেদনপত্র জমা দিবে।

উফ এর একটা বিহীত হওয়ার প্রয়োজন। এর একটা সহজ সমাধান হওয়া উচিৎ।

আমি শিক্ষা কষ্ট করে শিক্ষা অর্জন করে সনদ পাইলাম আবার চাকরী কিংবা উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার জন্য ভর্তির আগে সত্যায়িত করতে হবে। ভাবলেও তো কেমন লাগে।

ঐ সব ব্রিটিশ প্রিয়ডের নিয়ম কানুন যে কবে দেশ থেকে যাবে আল্লাহয় ভালো জানেন………

-ফরুদা
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×