মানুষগুলোর সাথে আমার একদম মিলেনা ৷ অসংক্ষ্য অসঙ্গতি নিয়ে নিয়ে বেছে আছি চুপ করে আছি বলেই হয়তো ৷
সেই ছোট বেলা যখন ঘুম থেকে উঠে মসজিদে যেতাম বামপাশের শেষ কর্নারে বসে মানুসের দিকে চেয়ে থাকতাম আমি ৷ হুজুর সাহেব আমাকে আরবি অক্ষর এর উপর অক্ষর সাজিয়ে রিডিং শিখাতেন অভাবেই সৃষ্টি কর্তার উপর বিশ্বাস রেখে শিখে নিয়েছিলাম পড়াটা ৷ কতদিন আমি একা একা মসজিদে বসে অক্ষর সাজিয়েছি কি করছি কিছুই বুঝিনি কেও বুজতে বলেনি তখন ৷
ভালোমানুষ হতে বহুবার মসজিদ-এ সবার আগে গিয়েছি ৷ শুনেছি জান্নাত আর জাহান্নামের লৌকিক গল্প ৷ শুনেছি জান্নাতের হুর পরীদের অনবদ্য সুন্দর্যের শৈল্পিক বর্ণনা ৷ জান্নাত মানেই শুনেছি সুখ সুখ আর সুখ ! তখন আমি শেষ কর্নারেই বসেছিলাম প্রতি মুহুর্তে মনে হয়েছে সৃষ্টি কর্তাকে পেতে জান্নাতের লোভ থাকতে হবে ? মন সায়ে দেয়নি আমি চুপ করে ছিলাম ৷ সেই আমি আজ ও লোভি হতে পারিনি ৷
শুনেছি জাহান্নাম এর আগুন সাপ বিচ্ছু আরো কত ভয় থেকে ভয়ানক বিবিশিখার কথা ৷ তারা আমাকে ভয় দেখিয়েছে এগুলো শুনে-ও আমি চুপ করেছিলাম ভয় পাইনি একদম ৷ আমি কাওকে ভয় পেয়ে ভালবাসতে শিখিনি একদম না ৷
আমি একজোড়া পাখির উড়ে যাওয়া দেখেছি ৷ দেখেছি মা পাখিটি বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিতে আমি বিস্মিত হয়ে বলেছি সুবহানআল্লাহ ৷ আমি দেখেছি কলি থেকে ফুটে উঠা ফুল তার গ্রান নিয়ে বিস্মিত হয়ে বলেছি সুবহানআল্লাহ ৷ সৃষ্টি কর্তাকে ভালবাসার জন্য এরকম অসংক্ষ্য জিনিস আছে যা দেখে তাকে ভালবাসা যায় কিন্তু তারা আমাকে সেটা বলেনি ৷
আমি দেখেছি অসংক্ষ অবৈধ উপার্জন দান করে সাদু সেজে যাওয়া বন্ড ৷ এদের মুখে শুনেছি ধর্মের ফতোয়া দেখেছি নারিস্পর্শী মানুসের নারিবাধি ধর্মের মুখোস ৷ তাদের দেখে আমার ঘৃনা হয়না মায়া হয়না তাদের আমি বিশ্বাস করিনি আমি শুদু চুপ করে থাকি ৷
আমি দেখেছি পাসের বাড়ির মেয়েটার সাথে অন্য বাড়ির ছেলেটার এক সুন্দর পবিত্র ভালবাসা রাত জেগে নামাজ পরে আল্লাহর কাছে একে অপরকে চাওয়া ৷ যেদিন দেখেছি মেয়েটির বাবা ধর্মের দোহাই আর লোভে পরে তাদের সম্পর্ক বেঙ্গে দেয়া তারপর থেকে আমি আর তাকে নামাজ পড়তে দেখিনি কোনদিন বলিও-নি ৷ আমি জানি জান্নাত কিনবা জাহান্নাম এর লোভ কিনব ভয় কোনটাই সে আর করেনা ৷
- কেন জানি এত অসঙ্গতি এত অবিশ্বাসের মাঝে নিজেকে ঠিক মানুস মনে হয়না আমার ৷